ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

বিভিন্ন খাদ্যপণ্যে বিএসটিআই স্ট্যান্ডার্ড না থাকায় বিপদে কোম্পানি

নাজমুল হুসাইন | প্রকাশিত: ০৪:১৪ পিএম, ১৩ জুন ২০২৪

দেশে কত ধরনের খাদ্যপণ্য আছে, তার সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান নেই। তবে ধারণা করা হয়, এর পরিমাণ কয়েক হাজার হবে। কিন্তু বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) বাধ্যতামূলক মান সনদের আওতাভুক্ত পণ্য ২৭৩টি। এর মধ্যে অর্ধেকেরও কম খাদ্যপণ্য। অন্যগুলো পাটবস্ত্র, রাসায়নিক পদার্থ এবং বৈদ্যুতিক প্রযুক্তির পণ্য। বাধ্যতামূলক পণ্য বাজারজাতকরণে বিএসটিআই সার্টিফিকেশন মার্কস (সিএম) লাইসেন্স নিতে হয় উৎপাদনকারী, মোড়কজাতকারী অথবা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে।

তবে বাধ্যতামূলক এ তালিকার বাইরে অন্য কোনো খাদ্যপণ্য বাজারজাতকরণে বিএসটিআইয়ের সিএম লাইসেন্স গ্রহণ স্বেচ্ছাপ্রণোদিত। অর্থাৎ কোনো প্রতিষ্ঠান চাইলে এ লাইসেন্স গ্রহণ করতে পারে, না নিলেও কোনো সমস্যা নেই। সেজন্য বিএসটিআই আইনে কোনো বাধ্যবাধকতা রাখা হয়নি। শুধু খাদ্যপণ্য প্রস্তুতের ক্ষেত্রে বিএসটিআই প্রণীত বাংলাদেশ মান বা বিডিএস অনুসরণ করতে হবে।

তবে সম্প্রতি বেশ কিছু পণ্য নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। বিএসটিআইয়ের মানদণ্ড বা নীতিমালা নেই, এমন পণ্য বাজারজাত করে বিপাকে পড়েছে কোম্পানিগুলো। যদিও তাদের পণ্যের অনুমোদন নেওয়ার কোনো সুযোগ ছিল না।

আইন কী বলছে?

বিএসটিআই ও নিরাপদ খাদ্য আইনের কোথাও বলা নেই যে, সিএম লাইসেন্সের বাইরে থাকা পণ্যগুলো অনুমোদন ছাড়া বাজারজাত করা যাবে না। তবে পণ্য বিপণনের পরে যদি তাতে কোনো ধরনের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি প্রমাণিত হয়, তবে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবে এ দুই কর্তৃপক্ষ।

অর্থাৎ কোনো পণ্য লাইসেন্স পাওয়ার পর উৎপাদন শুরু করবে এমনটা নয়। বাজারে বিপণনের পরে পণ্যসামগ্রীর মান প্রণয়ন, প্রণীত মানের ভিত্তিতে পণ্যের গুণাগুণ পরীক্ষার পর বাধ্যতামূলক মান সনদের আওতাভুক্ত করা হবে। এরপর কোম্পানিগুলোর আবেদনের ভিত্তিতে পণ্যগুলো পরীক্ষার পর মান সনদ দেওয়া ও ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। সেটাই হয়ে আসছে এতদিন।

মান প্রণয়নের আগে কোনো পণ্যের লাইসেন্স দিতে পারে না বিএসটিআই। এ ব্যাপারে সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. রিয়াজুল হক জাগো নিউজকে বলেন, ‘কোনো পণ্য বাধ্যতামূলক পণ্যের আওতায় না পড়লে আমরা সেটার অনুমোদন দিতে পারি না। এটি বাজারজাতেও কোনো বাধা নেই। বিএসটিআইয়ের আইনে করণীয় কিছু নেই।’

রিয়াজুল হক বলেন, ‘বিএসটিআই দুই ধরনের লাইসেন্স দেয়। একটি সিএম লাইসেন্স, যা কোম্পানি নিতে বাধ্য। এমন পণ্য রয়েছে ২৭৩টি। আরেকটি স্বেচ্ছাপ্রণোদিত লাইসেন্স (ভলান্টারি লাইসেন্স)। সর্বমোট এমন চার হাজার ৩০০ পণ্য রয়েছে, যদি কোনো কোম্পানি এ লাইসেন্স নিতে আগ্রহ দেখায় তবে আমরা সে লাইসেন্স দেই। এটি বাধ্যতামূলক নয়।’

অন্যদিকে দেশে খাদ্যপণ্যের তদারককারী আরেক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। এই প্রতিষ্ঠানের নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ তেও কোথাও বলা নেই, খাদ্যের মান নির্ধারণ না থাকলে সেটি বাজারজাত করা যাবে না। বরং আইনের ১৩ ধারায় খাদ্যের গুণগত মান ও নির্দেশনা না থাকলে সেটি নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে কর্তৃপক্ষকে। যদিও এখনো কোনো খাদ্যের মান এ কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করেনি।

এসব বিষয়ে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য (আইন ও নীতি) নাজমা বেগম জাগো নিউজকে বলেন, ‘আসলে বাজারে হাজার হাজার খাদ্যপণ্যের মান হুট করে নির্ধারণও সম্ভব নয়। আবার সেগুলো বন্ধ করাও যাবে না। আমরা যেগুলো স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি মনে করছি, সেগুলো বন্ধে পরীক্ষা করি। পরীক্ষার পরে ক্ষতিকর প্রমাণিত হলে তবেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এছাড়া বাকিগুলোর সমস্যা নেই।’

তাহলে সমাধান কী?

সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দিন যত যাচ্ছে, দেশে খাদ্যপণ্যের তালিকা তত বড় হচ্ছে। যেখানে হুটহাট কোনো পণ্যের মান নির্ধারণ অসম্ভব। একটি পণ্যের মান নির্ধারণ বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে করতে হয়। অন্যদিকে দেশের আবহাওয়া, ক্রেতাসহ অনেক বিষয় সমন্বয় করতে হয়। রপ্তানি পণ্যের জন্য আন্তর্জাতিক মান (আইএসও) মেনে চলতে হয়। যেসব কারণে মান প্রণয়ন কমিটির অনেক বিচার–বিশ্লেষণের প্রয়োজন হয়। দরকার হয় খাদ্যপণ্য ও এর নানা উপাদান পরীক্ষা-নিরীক্ষারও।

যখন এমন পরিস্থিতি, তখন মান প্রণয়নকারী সংস্থা বিএসটিআইয়ের সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে সংস্থাটি ভুগছে জনবল, প্রযুক্তিগত উন্নত ল্যাবরেটরি ও দক্ষ গবেষকের অভাবে। যে কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তুলনায় বাংলাদেশের বাধ্যতামূলক পণ্যের তালিকা অনেক ছোট।

এ ব্যাপারে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান জাগো নিউজকে বলেন, বেশি প্রয়োজনীয় ও জনগুরুত্বপূর্ণ সব পণ্য বিএসটিআইয়ের তদারকির মধ্যে থাকার কথা, সেটা হয়নি। সংস্থাটির সক্ষমতা আরও বাড়ানো দরকার। কারণ এটি দেশের একমাত্র মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থা।

ক্যাব সভাপতি বলেন, ‘খাদ্যপণ্য ও নিত্যব্যবহার্য পণ্যগুলোর মান নিয়ে মানুষ খুবই শঙ্কায় থাকে। সেগুলোর মান বিএসটিআইকে দেখতে হবে। যদি সব পণ্য মানের আওতায় আনা যেত, তবে সব সমস্যার সমাধান হতো। তবে সেটা এখনকার প্রেক্ষাপটে বিএসটিআইয়ের পক্ষে অসম্ভব।’

বিএসটিআই সূত্রে জানা গেছে, জনগুরুত্বপূর্ণ পণ্যগুলো মান প্রণয়নের জন্য বিএসটিআইয়ের ৭৬টি কমিটি রয়েছে। তারাই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পণ্য বাধ্যতামূলক করতে সুপারিশ করে। পাশাপাশি বিএসটিআই বাজারের পরিস্থিতি বুঝে বিভিন্ন নতুন পণ্য বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করে। এরপর বিএসটিআইয়ের গভর্নিং কাউন্সিল সেগুলো চূড়ান্ত করে এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আইন মন্ত্রণালয় সেসব বাধ্যতামূলক তালিকা নিশ্চিত করে।

অর্থাৎ কোনো পণ্যের মান নির্ধারিত নেই বলে সেই পণ্য বিপণন বন্ধ থাকবে না। গুরুত্ব ও বাজারচাহিদার ভিত্তিতে পণ্যের মান নির্ধারণের দায়িত্ব বিএসটিআইয়ের।

বিএসটিআইয়ের মান উইংয়ের পরিচালক সাইদুল ইসলাম বলেন, পণ্য বাধ্যতামূলক তালিকায় না হলে, যে স্ট্যান্ডার্ড (বিডিএস) আছে, সেভাবে কোম্পানিগুলো উৎপাদন, মোড়কজাতকরণ ও বাজারজাত করবে। এতে বিএসটিআইয়ের পক্ষে কোনো বাধা নেই।

যা বলছে কোম্পানিগুলো

কয়েক বছরে বেশ কিছু পণ্য বিপণন নিয়ে সমস্যায় পড়েছে দেশের সুপ্রতিষ্ঠিত কোম্পানিগুলো। সেসব পণ্যের লাইসেন্স নেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল না, এমনকি কিছু পণ্যের ‘বিডিএস’ হয়নি। সর্বশেষ ইলেকট্রোলাইট পানীয় বিক্রির অভিযোগে কিছু কোম্পানির মালিকদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এর পরপরই প্রশ্ন উঠেছে, অনুমোদন নেওয়ার সুযোগ না থাকলে, সেসব পণ্য কি বাজারজাত বন্ধ থাকবে?

কোম্পানিগুলো বলছে, দেশি-বিদেশি বাজারে টিকে থাকতে হলে পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ জরুরি। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্যও কম, যে কারণে দেশ রপ্তানিতে পিছিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাজার দখল করে নিচ্ছে বিদেশি নানা কোম্পানি। যার জন্য দেশে মান প্রণয়নে দীর্ঘসূত্রতা ও সক্ষমতার অভাব একটি বড় বাধা।

মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের জ্যেষ্ঠ সহকারী মহাব্যবস্থাপক তসলিম শাহরিয়ার জাগো নিউজকে বলেন, ‘লাইসেন্সিং নিয়ে আমরা বড় সমস্যায় আছি। কোম্পানি নতুন নতুন পণ্য আনবে, ইনোভেশন হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সরকার এর মান ঠিক করতে পারছে না, এটা তাদের ব্যর্থতা।

তসলিম শাহরিয়ার বলেন, ‘নতুন নতুন প্রচুর আমদানি পণ্য আসছে। সেগুলো বন্ধ হচ্ছে না। আমরা যখন ভালো কিছু উদ্ভাবনে যাচ্ছি তখনই সমস্যা। এ বিষয়টি সরকারের গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, “অনেক পণ্য নিয়ে বিএসটিআইয়ের স্ট্যান্ডার্ড নেই। তাহলে অনুমোদনের অপশনই নেই, সেখানে আমরা কীভাবে অনুমোদন নেবো? এর আগে একটি পণ্যের জন্য যখন অনুমোদনের চেষ্টা করেছিলাম, তখন তারা (বিএসটিআই) আমাদের বলে, ‘আপনারা চালু করেন, যখন এই ক্যাটাগরির মানদণ্ড তৈরি করা হবে, তখন অনুমোদন দেব।’ কিন্তু পরে এ পণ্য বাজারজাত করে সমস্যায় পড়তে হয়েছে।” ওই কর্মকর্তা বলেন, “আমাদের আইনে যেমন ‘অস্পষ্টতা’ রয়েছে, এটার ব্যস্তবায়নেও স্বপ্রণোদিত হয়ে কোম্পানিগুলোর বিপক্ষে কাজ করার প্রবণতা রয়েছে আইন প্রণয়নকারী সংস্থাগুলোর কিছু কর্মকর্তার।”

বাংলাদেশ এগ্রো-প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক ইকতাদুল হক জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিশ্বের সবখানে নতুন নতুন বৈচিত্র্যময় পণ্য উৎসাহিত করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশে নতুন পণ্য বাজারে আনলে এর লাইসেন্স নিয়ে প্রচুর ঝামেলায় পড়তে হয়। এরপর আরও অনেক ঝামেলা রয়েছে।’

মান প্রণয়নে দীর্ঘসূত্রতা নিরসন করার দাবি জানিয়ে ইকতাদুল হক বলেন, ‘এমন একটি সিস্টেম হতে পারে যে নতুন পণ্যের ক্ষেত্রে যেসব উপাদান পণ্য তৈরিতে ব্যবহারের ঘোষণা থাকে, সেগুলো ক্ষতিকর না হলে প্রাথমিকভাবে একটি অনুমতি দেওয়ার ব্যবস্থা করা। পরে পণ্য পরীক্ষা করে চূড়ান্ত মান প্রণয়ন করা দরকার।’

ইকতাদুল হক বলেন, ‘অহরহ বিদেশি নতুন পণ্য আমদানি হচ্ছে, তাতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু বাংলাদেশি পণ্য এভাবে সমস্যায় পড়ছে, যাতে স্থানীয় উদ্যোক্তারা বড় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অভ্যন্তরীণ বাজার যাচ্ছে বিদেশি কোম্পানির দখলে।’

ইলেকট্রোলাইট ড্রিংকস নিয়ে যা হচ্ছে

গত ১৪ মে বাজারে পাঁচ ধরনের ইলেকট্রোলাইট পানীয় বিক্রির অভিযোগে কোম্পানির মালিকদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এসব কোম্পানি লাইসেন্স না নিয়ে ওই পানীয় বিক্রি করছিল অভিযোগ করে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে মামলা করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক কামরুল হাসান। অভিযুক্ত কোম্পানিগুলোর বক্তব্য হচ্ছে, বিএসটিআইয়ে ইলেকট্রোলাইট পণ্যের নির্দিষ্ট মানদণ্ড না থাকায় লাইসেন্স নেওয়া যায়নি। এ ধরনের পানীয়র অনুমতি নিতে তারা চেষ্টাও করেছেন। লাইসেন্স না পেয়ে বেশিরভাগ কোম্পানি পরে বিএসটিআইয়ের কাছে পণ্যটির মান প্রণয়নের জন্য আবেদন দিয়েছিল।

বাজারে ইলেকট্রোলাইট ড্রিংকস বিক্রি করা এসএমসি গ্রুপের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমে বলেন, ‘বিএসটিআইয়ে যে ওই পণ্যের অনুমোদন নেওয়ার অপশনই নেই, সেখানে আমরা কীভাবে অনুমোদন নেবো? আমরা অনুমোদনের জন্য চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু পাইনি।’

এমন অবস্থায় ওই সময় মামলার শুনানি শেষে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত ওই পাঁচ প্রতিষ্ঠানের মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।

অন্যদিকে ওই ঘটনার পরে গত ৩০ মে বিএসটিআইয়ের টেকনিক্যাল কমিটি ‘Electrolyte Drinks (Sports Drinks)’-এর খসড়া মান (স্ট্যান্ডার্ড) প্রাথমিকভাবে অনুমোদন দিয়েছে। এ খসড়া মান বাংলাদেশ জাতীয় মান হিসেবে চূড়ান্ত ভাবে অনুমোদনের জন্য ৭ জুনের মধ্যে মতামত চেয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থায় চিঠি পাঠায় বিএসটিআই।

এ বিষয়ে বিএসটিআইয়ের উপপরিচালক রিয়াজুল জাগো নিউজকে বলেন, ‘এই পণ্যটি (ইলেকট্রোলাইট ড্রিংকস) বাজারে নতুন হওয়ার কারণে তখন পণ্যটির মানদণ্ড নির্ধারণ করা হয়নি। এখন যেহেতু এটি আলোচনায় এসেছে, শিগগির এটির মান প্রণয়ন হচ্ছে। সে কার্যক্রম চলছে।’

এমন অবস্থায় কোম্পানিগুলো বলছে, দেশে এ ধরনের ইলেকট্রোলাইট বিদেশি পণ্য বিক্রি হচ্ছে বহুদিন ধরেই। যেগুলো আমদানি করা। কিন্তু তিন বছর আগে স্বল্প পরিসরে দেশে এটির উৎপাদন শুরু হয়, যা গত বছরের গরমে পরিচিতি পায়। এরপর এটি উৎপাদনে যায় কয়েকটি কোম্পানি। যারা এখন মামলা জটিলতায় পড়েছে। যদিও বিদেশি ড্রিংকসগুলো এখনো বাজারে ‘বহাল তবিয়তে’।

এনএইচ/এমএমএআর/জিকেএস