ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

ছলচাতুরি করে কোরবানির পশুর দাম হাঁকালে মাথায় হাত পড়বে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:৪৯ পিএম, ১৩ জুন ২০২৪

যারা কৌশলে বা ছলচাতুরির মাধ্যমে কোরবানির পশুর চড়া দাম হাঁকাচ্ছে তাদের মাথায় হাত পড়তে বাধ্য, বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশে কোরবানির পশু উৎপাদন নিয়ে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রয়োজনের তুলনায় পশু সরবরাহের ব্যবস্থা বেশি আছে। কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা এক কোটি ৭ লাখ। গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ সব মিলিয়ে। সেখানে আমাদের প্রস্তুত আছে প্রায় এক কোটি ৩০ লাখ। অনেক পশু বাড়তি রয়েছে।

বাজারে এখন কোরবানির গরুর যে দাম চাওয়া হচ্ছে, তাতে প্রতি কেজির দাম এক হাজার টাকা পড়ে যাচ্ছে। তাহলে কোরবানির পশু বাড়তি থেকে লাভ কী? একজন সাংবাদিক এমন প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন, এই পরিসংখ্যান আপনি কোথায় পেলেন?

তখন ওই সাংবাদিক বলেন, যারা বিক্রি করছে এবং যারা কিনছেন তারা জানাচ্ছে। এসময় প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, আপনি এত ডিটেইলসে গেলেন কী পরীক্ষায় বা কোনভাবে আপনি জানতে পারলেন?

এর পরিপ্রেক্ষিতে আরেকজন সাংবাদিক বলেন, মাননীয় মন্ত্রী, লাইভ ওয়েটে সাড়ে ৫০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। একটা গরুর প্রায় ৬০ শতাংশ বাদ যায়। সে হিসাবে যদি আপনি দাম ধরেন কেজি এক হাজার টাকার ওপরে চলে যায়।

এর উত্তরে মন্ত্রী বলেন, বাজারে যে কোনো পণ্যের দাম নির্ধারিত হয় চাহিদা এবং সরবরাহের ওপরে। আমার দায়িত্ব হলো প্রয়োজনের তুলনায় সেই সরবরাহ আছে কি না। আমি তো পরিসংখ্যান দিলাম। আরও ২২ লাখ পশু বাড়তি আছে, উদ্বৃত্ত আছে।

তিনি বলেন, আজকে হয়তো কেউ নানানভাবে হ্যান্ডলিং করে গরুর দাম বাড়াতে পারে। চড়া দাম হাঁকাতে পারে। কিন্তু দিন শেষে ওদের মাথায় হাত পড়বে। কারণ গরু-তো আমার যোগান আছে।

মিঠাপানির মাছ: উৎপাদন বেড়ে ১.৩২ মিলিয়ন টন, চীনকে টপকে দ্বিতীয় বাংলাদেশ

তিনি আরও বলেন, যারা কৌশলে বা নানান ছলচাতুরির মাধ্যমে দাম হাঁকাচ্ছে, ওদের মাথায় হাত পড়তে বাধ্য।

আরেক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, দাম নির্ধারণ করার দায়িত্ব আমার না। দাম নির্ধারণ করবে বাজার। আমরা সাধারণত অর্থনীতির সংজ্ঞায় বুঝি সরবরাহ ও চাহিদার যদি সমন্বয় থাকে সে ক্ষেত্রে বাজারই মূল্য নির্ধারণ করে। আমি কীভাবে বাজারমূল্য নির্ধারণ করবো?

ডিমের দাম নিয়ে করা এক প্রশ্নে উত্তরে আব্দুর রহমান বলেন, আমরা যখন তাদের (খামারি) সঙ্গে বসি, তারা একটা অজুহাত দেয় খাদ্যশস্যের দাম বেশি। আমদানি করতে হয়। আমি আমার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে একটা বৈঠক করবো। তাদের এই অজুহাত কোনো অবস্থায় গ্রহণযোগ্য না। প্রয়োজনে আমরা তাদের সঙ্গে আবার বসে একটা ডিমের জন্য কত খরচ হয় এবং লাভ কত করতে হয়... তারপর দাম নির্ধরণ করবো। এই ব্যাপারে নিশ্চয় আমাদের নজরদারি থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার, অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর প্রমুখ।

এমএএস/এমএইচআর/জিকেএস