ফরিদা ইয়াসমিন
সরকার থেকে গাড়ি বরাদ্দ করলে এমপিদের আমদানির প্রয়োজন নেই
সরকার থেকে বরাদ্দ করলে সংসদ সদস্যদের গাড়ি আমদানির প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন।
সংসদ সদস্যদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে গাড়ি বরাদ্দ দেওয়ার যুক্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, এবারের বাজেটে সংসদ সদস্যদের গাড়ি আমদানিতে শুল্ক ধার্য করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। হয়তো মহৎ উদ্দেশ্য থেকে এটা করা হয়েছে। যেহেতু উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়ররা সরকার থেকে বরাদ্দ করা গাড়ি পান, অনেক সংসদ সদস্যের গাড়ি কেনার সামর্থ্য নেই। কিন্তু তাদের এলাকায় ঘুরে বেড়াতে হয়। গাড়ি তাদের বিলাসিতা নয়, প্রয়োজন। সরকার থেকে গাড়ি বরাদ্দ করলে তার গাড়ি আমদানির প্রয়োজন নেই।
বুধবার (১২ জুন) জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এদিন বিকেল ৪টায় বাজেট অধিবেশন শুরু হয়।
ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, বেসরকারি হাসপাতালগুলো থেকে ঠিকভাবে কর আদায় করতে হবে। বেসরকারি হাসপাতালগুলো লাগামহীনভাবে রোগীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করলেও কর দেয় না। এই বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সব বাজেটই চ্যালেঞ্জের। তবে এবার চ্যালেঞ্জ একটু বেশি। কারণ বিশ্ব এখন উথাল-পাথাল, যুদ্ধের কারণে অস্থির অর্থনীতি। বাংলাদেশ এর বাইরে নয়। তবে বাজেটের সবচেয়ে বড় ইতিবাচক দিক হচ্ছে প্রণীত বাজেটে কোনো উচ্চাভিলাষ নেই। তিনি প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রস্তাবনা দেন।
এছাড়া রাজস্ব আয় বাড়ানোর জন্য বোর্ড অব ইনভেস্টমেন্টকে ঢেলে সাজানো, প্রয়োজনে থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ার মডেল অনুসরণ করা, কালো টাকা সাদা করার বিষয়টি সুনির্দিষ্ট করা যে কোনো কোনো খাতে এ টাকা ব্যয় করা যাবে তা নির্দিষ্ট করার অনুরোধ জানান তিনি। উদাহরণ হিসেবে শেয়ারবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি।
বাজেটের ওপর আলোচনায় সংসদ সদস্য এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, এবারের বাজেটে শিক্ষা খাতে বেশ কিছুটা বাড়ানো হয়েছে যেটা ভালো দিক।
সংসদ সদস্য সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে তারই সুযোগ্যকন্যা প্রধানমন্ত্রী অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তারই নেতৃত্বে দেশ আজ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে।
সংসদ সদস্য আবদুল হাফিজ মল্লিক বাজার সিন্ডিকেট ভাঙা, পথে-ঘাটে চাঁদাবাজি বন্ধে সরকারের পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান। তাহলে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমবে বলেও মনে করেন তিনি।
খুলনার মতো উপকূলীয় অঞ্চলের জন্য বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানিয়ে সংসদ সদস্য ননী গোপাল মন্ডল বলেন, দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়নের দিকে অর্থ️মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বাজেটের ওপর আরও বক্তব্য দেন এমপি দ্রৌপদী দেবী আগরওয়ালা, এমপি শামসুন্নাহার, ফিরোজ আহমেদ স্বপন, শারমিন সুলতানা, শাহাদাব আকবর, উম্মী ফারজানা সাত্তার।
আইএইচআর/এমএএইচ/