ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ডিএনসিসির যে ৬ পশুর হাটে করা যাবে ডিজিটাল লেনদেন

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:০২ পিএম, ১২ জুন ২০২৪

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৬টি অস্থায়ী পশুর হাটে ডিজিটাল লেনদেন করা যাবে। বুধবার (১২ জুন) বিকেলে ডিএনসিসির নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে এই ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থার উদ্বোধন করা হয়। এসব হাটে ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থা থাকায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপদ লেনদেন নিশ্চিত হবে বলে জানান মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

হাটগুলো হলো-উত্তরা দিয়াবাড়ি ১৬ ও ১৮ নম্বর সেক্টর তৎসংলগ্ন পর্যন্ত খালি জায়গায় কোরবানি পশুর অস্থায়ী হাট, ঢাকা পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউট তৎসংলগ্ন পর্যন্ত খালি জায়গায় কোরবানি পশুর অস্থায়ী হাট, মিরপুর সেকশন-৬, ৬ নম্বর ওয়ার্ড (ইস্টার্ন হাউজিং) খালি জায়গায়, ভাটারা সুতিভোলা খাল সংলগ্ন খালি জায়গায় (ভাটারা সুতিভোলা), মিরপুর গাবতলী গবাদি পশুর হাট (স্থায়ী), মোহাম্মদপুর বছিলার ৪০ ফুট রাস্তা সংলগ্ন খালি জায়গা।

এ বিষয়ে মেয়র বলেন, কোরবানির পশুর হাট কেন্দ্র করে প্রচুর টাকা লেনদেন হয়। ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপদ লেনদেন নিশ্চিত করতে ডিএনসিসির কোরাবানির পশুর হাটে ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নগদ অর্থ বহনের ঝুঁকি, নকল বা ছেঁড়া বা ফাটা নোট সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান হবে। ছিনতাই, মলম পার্টির খপ্পর থেকে রক্ষা পাবে ক্রেতা ও বিক্রেতারা।

ডিএনসিসির যে ৬ পশুর হাটে করা যাবে ডিজিটাল লেনদেন

তিনি বলেন, হাটে ডিজিটাল বুথ স্থাপন করে অর্থ তাৎক্ষণিকভাবে ক্রেতার হিসাব থেকে বিক্রেতার হিসেবে পৌঁছে দেওয়া হবে। হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের নগদ টাকা বহন করতে হবে না। হাটের বুথ থেকে ক্রেতারা ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে এটিএম বুথ, মেশিন ব্যবহার করে, মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস, কিউআর কোডের মাধ্যমে নগদ অর্থ তুলে হাট থেকে কেনা গরুর মূল্য পরিশোধ করতে পারবে। পাশাপাশি হাটের হাসিলও দিতে পারবেন এ পদ্ধতিতে। একই সুবিধা ব্যবহার করে বিক্রেতারা তাদের কোরবানির পশু বিক্রির অর্থ গ্রহণ করতে পারবে।

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এবার ঈদে ৬ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণের সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ঈদে বর্জ্য অপসারণের জন্য ১০ হাজারের অধিক কর্মী কাজ করবে। ১০ লাখ ৪০ হাজার পলিব্যাগ বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্লিচিং পাউডার, স্যাভলন, টুকরি, ফিনাইল দেওয়া হয়েছে। কাউন্সিলররা ও ডিএনসিসির কর্মীরা মাঠে সার্বক্ষণিক কাজ করবে। আমি নিজে মাঠে থাকবো। জনগণকে অনুরোধ করছি যত্রতত্র কোরবানির বর্জ্য ফেলবেন না। নির্দিষ্ট স্থানে রেখে দেবেন। গতবারের মতো জনগণের সহযোগিতা পেলে নির্ধারিত ৬ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করবো।

মেয়র বলেন, গত বছর সবার চেষ্টায় উত্তর সিটি করপোরেশন ৮ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছিল। এবার আমাদের টার্গেট ৬ ঘণ্টার মধ্যেই কোরবানির বর্জ্য অপসরণ করা। ডিএনসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আজই যুক্ত হয়েছে ৩২টি ডাম্প ট্রাক ও ৮টি কম্প্যাক্টর ট্রাক। ৪০টি ট্রাক যুক্ত হওয়ায় এ বছর বর্জ্য অপসারণে আরও গতি বাড়বে।

ডিএনসিসির যে ৬ পশুর হাটে করা যাবে ডিজিটাল লেনদেন

ডিএনসিসির কোরবানির পশুর হাটে বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করবে ব্র্যাক ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, সিটি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, এবি ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, মাস্টারকার্ড, অ্যামেক্স, ভিসা, বিকাশ, নগদ, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ)।

২০২২ সালে স্মার্ট ডিএনসিসির কোরবানির হাটে পাইলট কার্যক্রমে প্রায় ৩৫ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছিল। ২০২৩ সালে ৪৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়।

মাস্টারকার্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী সায়েদুর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্টের নির্বাহী পরিচালক মুতাসিম বিল্লাহ, ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মাহে আলম, এসোসিয়েশন অফ ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এর চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন, বাংলাদেশ ডেইলি ফার্মার্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মো. ইমরান হোসেন প্রমুখ।

এমএমএ/এমআইএইচএস/জেআইএম