প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট
জুনেই দেওয়া হবে উপবৃত্তির অর্থ, বাড়বে শিক্ষার্থীর সংখ্যা
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে ছাত্রছাত্রীদের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি দেওয়া হয়ে থাকে। এবার এ ক্ষেত্রে উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া চলতি অর্থবছরের উপবৃত্তির অর্থ জুন মাসেই বিতরণ করা হবে।
মঙ্গলবার (১১ জুন) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কথা জানান সংসদ কার্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ।
মন্ত্রী জানান, দেশের সব স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অসচ্ছল পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম যাতে অর্থের অভাবে ব্যাহত না হয়, তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে উপবৃত্তি ও টিউশন ফি দেওয়া হয়। ৬ষ্ঠ থেকে স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে অধ্যয়নরত দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা এই সহায়তা পেয়ে থাকেন।
চলতি অর্থবছরে উপবৃত্তির টাকা এখনো বিতরণ করা হয়নি। এ অর্থ চলতি জুন মাসে বিতরণ করা হবে বলে জানান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬ষ্ঠ থেকে স্নাতক ও সমমান পর্যায়ের ৫৯ লাখ ৬২ হাজার জন শিক্ষার্থীর মাঝে উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বাবদ ২ হাজার ৫৮ কোটি ৬০ লাখ ৯০ হাজার ৭২০ টাকা বিতরণ করা হয়। তবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৬ষ্ঠ থেকে স্নাতক পর্যায়ে ৬০ লাখ ৭১ হাজার জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বাবদ ২ হাজার ২৮৬ কোটি ৬৯ লাখ ৮৫ হাজার টাকা বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এমপি মোশতাক আহমেদ রুহীর এক প্রশ্নের জবাবে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বাংলাদেশে ২৭টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মোট ৭ লাখ ৪০ হাজার ৬৩০ জন রয়েছেন। দেশের সমতলে বসবাসরত এসব ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত জনগণের জীবনমান উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বিশেষ এলাকার জন্য উন্নয়ন সহায়তা (পার্বত্য চট্টগ্রাম ব্যতীত) শীর্ষক কর্মসূচি বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।
তিনি জানান, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংখ্যা, কেন্দ্র থেকে উপজেলার দূরত্ব ও যোগাযোগ ব্যবস্থা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারের চাহিদা ইত্যাদি বরাদ্দ সংস্থানের ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া হয়।
আইএইচআর/জেডএইচ/জিকেএস