ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

গাছ থাকতে গাছের মর্যাদা বুঝছে না ঢাকা

মুসা আহমেদ | প্রকাশিত: ০৮:১৪ পিএম, ০৫ জুন ২০২৪

•• গত বছর সাতমসজিদ রোডের সব গাছ সাবাড় করেছে দক্ষিণ সিটি
•• মহাখালী থেকে গুলশান-১ সড়কে অর্ধশতাধিক গাছ কাটে উত্তর সিটি
•• ২ লাখ গাছ লাগানো কর্মসূচি চলছে উত্তর সিটিতে
•• ২৫ শতাংশ এলাকা সবুজায়ন করার ঘোষণা দক্ষিণ সিটির

কয়েক বছর গরম বেশি বেড়েছে ঢাকায়। এবার বয়ে গেছে তীব্র তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রিতে উঠলেও অনুভূত হয়েছে আরও ৫-৬ ডিগ্রি বেশি। নগরীজুড়ে গাছ কমে যাওয়াকে এর অন্যতম কারণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। অবকাঠামো তৈরি, উন্নয়ন কাজ, উন্নয়ন প্রকল্প কিংবা কারণে-অকারণে এ শহরে গাছ কাটা কখনো থামেনি। গাছ কমায় এখন মানুষ আফসোস করছে গাছ থাকার সময়ের পরিবেশ ভেবে।

চলতি বছরের এপ্রিল থেকে নগরে যে তাপপ্রবাহ শুরু হয় তা জুনে এসে কিছুটা কমলেও দূর হয়নি। কদিন আগেও যারা সড়কে বের হয়েছেন, তপ্ত রোদ থেকে বাঁচার জন্য খুঁজেছেন গাছের ছায়া। নাগরিকদের অভিযোগ, অবকাঠামো উন্নয়নের নামে গাছপালা কেটে নগরে মরুভূমির পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। এর দায় নগর কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে। গাছ যখন ছিল তখন এ গুরুত্ব আমরা বুঝিনি। এখন কমতে কমতে প্রায় নেই হওয়ার পথে, তবু আমরা সচেতন হচ্ছি না।

পরিবেশবিদ ও নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, নগর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় গত ২৮ বছরে ঢাকার সবুজ এলাকা কমে মাত্র ৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এখন নগর এলাকায় তাপমাত্রা বাড়ছে মারাত্মক হারে। বাড়ছে আরবান হিট আইল্যান্ডের প্রভাব। ফলে ঢাকা তার বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। তীব্র তাপপ্রবাহে খেসারত দিচ্ছেন নাগরিকরা।

নগর পরিকল্পনাবিদদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সভাপতি আদিল মুহাম্মদ খান জাগো নিউজকে বলেন, ‘ঢাকা শহরে গাছ অত্যন্ত মূল্যবান। এগুলো রক্ষার দায়িত্ব নগর কর্তৃপক্ষের। সিটি করপোরেশন আইনে গাছ রক্ষার কথা বলা হয়েছে। কোথাও গণহারে গাছ কাটতে বলা হয়নি। আর কাটতে হলে যৌক্তিক কারণ থাকতে হবে। নিজের মনে করে গাছ কাটা যাবে না। ইচ্ছা থাকলে আধুনিক পদ্ধতিতে গাছ না কেটে স্থানান্তরও করা যায়।’

গাছ থাকতে গাছের মর্যাদা বুঝছে না ঢাকা

ঢাকায় সবুজ কমে ৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে
নগরের পরিবেশ নিয়ে নিয়মিত গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)। গত ৪ মে ‘ঢাকায় তাপদাহ: নগর পরিকল্পনা ও উন্নয়ন ব্যবস্থাপনার দায় ও করণীয়’ শীর্ষক পরিকল্পনা সংলাপ করে প্রতিষ্ঠানটি। এই সংলাপে মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ইনস্টিটিউটের সভাপতি পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান।

প্রতিবেদনে তিনি বলেন, ঢাকা শহরে সবুজ যেমন কমেছে, ঠিক তেমনি গত দুই দশকে বেড়েছে মাত্রাতিরিক্ত ধূসর এলাকা ও কংক্রিটের পরিমাণ, যা নগর এলাকায় তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে মারাত্মক হারে। এর সঙ্গে বাড়ছে আরবান হিট আইল্যান্ডের প্রভাব। ২০১৯ সালে করা বিআইপির গবেষণা অনুসারে, কংক্রিট আচ্ছাদিত এলাকা ১৯৯৯ সালে ছিল ৬৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ, ২০০৯ সালে বেড়ে হয় ৭৭ দশমিক ১৮ শতাংশ, আর ২০১৯ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৮১ দশমিক ৮২ শতাংশে।

২০২৩ সালে বিআইপির প্রকাশিত আরেকটি গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরেন আদিল মুহাম্মদ খান। প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২৮ বছরে রাজধানী ঢাকার সবুজ এলাকা কমে মাত্র ৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। জলাভূমি নেমে এসেছে মাত্র ২ দশমিক ৯ শতাংশে। যদিও নগর পরিকল্পনার মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি আদর্শ শহরে ২৫ শতাংশ সবুজ এলাকা এবং ১০ থেকে ১৫ শতাংশ জলাশয়-জলাধার থাকার কথা।

জানতে চাইলে অধ্যাপক আদিল মোহাম্মদ খান বলেন, ‘ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় তাপমাত্রা কমাতে নতুন ওয়ার্ডগুলোতে এখনো প্রচুর গাছ লাগানোর সুযোগ আছে। সিটি করপোরেশনের এ কাজটি এখনই গুরুত্ব দিয়ে করা উচিত। আর আমাদের নিজ নিজ আঙিনা যেখানে গাছ লাগানোর সুযোগ আছে সেখানে আমরা গাছ লাগাতে পারি।’

গাছ থাকতে গাছের মর্যাদা বুঝছে না ঢাকা

ডিএসসিসি
ধানমন্ডির সাতমসজিদ রোডের জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের সামনে থেকে আবাহনী খেলার মাঠের উত্তর-পশ্চিম কোণ পর্যন্ত দূরত্ব প্রায় ১ দশমিক ৭ কিলোমিটার। একসময় ধানমন্ডির সাতমজিদ রোডের সড়ক বিভাজকে বিভিন্ন প্রজাতির শত শত গাছ ছিল। তপ্ত রোদে সড়কে যানজট, সিগন্যালে আটকে থাকা যাত্রীদের ছায়া দিতো। চলার পথে সবুজ গাছপালায় তাকিয়ে চোখের প্রশান্তি পেতেন পথচারীরা।

আরও পড়ুন

২০২৩ সালের এপ্রিলে হঠাৎ একদিন রাতে এই সড়ক বিভাজকের গাছ কাটা শুরু করে ডিএসসিসি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান ধানমন্ডির বাসিন্দারা। টানা কয়েক দিন গাছ কাটার প্রতিবাদে মানববন্ধন, ডিএসসিসি মেয়রকে স্মারকলিপি দেন তারা। কিন্তু তারপরও সিটি করপোরেশন সব গাছ কেটে ফেলে। এ নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও সমালোচনা সামাল দিতে সড়ক বিভাজকে বাগান বিলাসসহ কয়েক ধরনের ফুলগাছ লাগিয়েছে নগর কর্তৃপক্ষ।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, এখন সাতমসজিদ রোডে সড়ক বিভাজকের ওপর রঙ্গন, কামিনী, বাগান বিলাস লাগিয়েছে ডিএসসিসি। কিন্তু চলার পথে পথচারী বা যানবাহনে থাকা যাত্রীদের ছায়া দেবে সড়ক বিভাজকে এমন কোনো গাছ নেই।

ডিএসসিসির প্রকৌশল দপ্তর সূত্র জানায়, সাতমসজিদ রোডের ওই দূরত্বে বেশ কয়েকটি ইউটার্ন ছিল। ফলে গাড়ি ঘোরাতে গিয়ে সড়কটিতে প্রায়ই যানজট লেগে থাকতো। তাই অপ্রয়োজনীয় ইউলুপ বন্ধ ও সৌন্দর্যবর্ধনে নতুনভাবে উঁচু করে সড়ক বিভাজক তৈরি করে ডিএসসিসি। এ কাজের জন্যই গাছগুলো কাটা পড়েছিল।

গাছ থাকতে গাছের মর্যাদা বুঝছে না ঢাকা

ধানমন্ডি ১৫ নম্বর রোডের বাসিন্দা শাখাওয়াত হোসেন। আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আগে সাতমসজিদ রোডে চলার পথে সড়ক বিভাজকের ওপর থাকা গাছগুলো ছায়া দিতো। গায়ে রোদের তেমন তাপ লাগতো না। গাছের দিকে তাকালে চোখেও প্রশান্তি কাজ করতো। এখন সড়কটিতে চলতে গেলে মরুর মতো মনে হয়।’

তবে ভিন্ন কথা বলেছেন ডিএসসিসির পরিবেশ, জলবায়ু ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. খায়রুল বাকের। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘সড়ক বিভাজকের ওপর গাছ লাগালে ‘বিভাজক’ নষ্ট হয়ে যায়। রাস্তাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই সেসময় সাতমসজিদ রোডের গাছগুলো কাটতে হয়েছিল।’

সাতমসজিদ রোডে গাছ কাটা বন্ধের দাবিতে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘সিটি করপোরেশন, রাজউকসহ সবার উচিত উন্নয়ন দর্শন বদলানো। নগরে যেমন দালান, রাস্তা দরকার, নগরে তেমন সবুজ দরকার। সিটি করপোরেশন এলাকাবাসীকে উদ্বুদ্ধ করে গাছ লাগাতে বা ছাদবাগানের কথা বলতে পারে। যাতে গরম কমে, বায়ুদূষণও কমে। এভাবে ঢাকা শহরকে সবুজায়ন করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন দেশে আলাদা করে আইন আছে। আমাদের দেশে সেই আইন এবং তার প্রয়োগটা জরুরি। অন্যথায় গাছ কেটে বাসযোগ্য ঢাকা গড়া যাবে না।’

২০১৬ সালে পান্থকুঞ্জ পার্কের ভেতর গাছ কেটে পাবলিক টয়লেট, এসটিএস নির্মাণ করেছিল ডিএসসিসি। এখন সেখানে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণকাজের জন্য আরও গাছ কাটা হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অবকাঠামো উন্নয়নে গত পাঁচ বছরে আরও অর্ধশত গাছ কাটা পড়েছে। একইভাবে আজিমপুর উত্তরাঞ্চল, মধ্যঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল কলোনিতে বহুল ভবন তৈরির জন্য শতাধিক বড় গাছ কাটা হয়েছে।

গত ২৩ মে ডিএসসিসির নগর ভবনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের উদ্যোগে ‘বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ও চারা বিতরণ কার্যক্রম’ উদ্বোধন করেন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। অনুষ্ঠানে তিনি ডিএসসিসি আওতাধীন এলাকায় ২৫ শতাংশের বেশি বনায়ন সৃষ্টি করা হবে বলে জানান।

গাছ থাকতে গাছের মর্যাদা বুঝছে না ঢাকা

ডিএনসিসি
২০২২ সালে গুলশান-তেজগাঁও লিংক রোড, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, মোহাম্মদপুর থেকে বছিলা ও ২০২৩ সালে মহাখালী উড়ালসড়ক থেকে গুলশান-১ গোল চত্বর পর্যন্ত সড়ক বিভাজক পুনর্নির্মাণ করে ডিএনসিসি। এতে গাছের শিকড় কাটা পড়ে হেলে পড়েছিল অর্ধশত গাছ। এর মধ্যে মহাখালী অংশে বড় বড় গাছ কাটা পড়েছিল বেশি। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম।

রোববার (২৬ মে) সরেজমিনে দেখা যায়, মহাখালী থেকে গুলশান-১ পর্যন্ত প্রায় ছয় ফুট চওড়া সড়ক বিভাজক তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে বিভাজকের মাঝে প্রায় চার ফুট জায়গায় মাটি ফেলে লাগানো হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। পাশাপাশি দুই পাশের ফুটপাতে কাঠবাদাম, বকুল, সোনালু গাছও লাগানো হয়েছে। গাছগুলো লম্বা হয়েছে পাঁচ থেকে আট ফুট পর্যন্ত।

গুলশান-তেজগাঁও লিংক রোডে বিভিন্ন প্রজাতির হাজারো গাছ লাগানো হয়েছে। এসব গাছ এরই মধ্যে সড়কে ছায়া দিতে শুরু করেছে। আর গাছগুলোর কারণে সড়কটির সৌন্দর্যও বেড়েছে। গাছ যে এই শহরের জন্য কত প্রয়োজনীয় তা এ সড়কটি ভবিষ্যতে আরও প্রমাণ করবে।

ডিএনসিসির পরিবেশ, জলবায়ু ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সার্কেল সূত্র জানায়, গত বছর মহাখালীতে গাছ কাটায় সমালোচনার মুখে নগরে তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে রাখতে দুই লাখ গাছ লাগানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। ঘোষণা অনুযায়ী ডিএনসিসি এলাকার বিভিন্ন সড়কের ফুটপাত, সড়ক বিভাজক, খালপাড়, পার্কসহ বিভিন্ন এলাকায় ৯০ হাজার ২৯৫টি কাঠবাদাম, ছাতিম, বকুল, সোনালু, জারুল, রসকাউ, কাটামেহেদি, রঙ্গন, চায়না টগর গাছ লাগানো হয়েছে। আসন্ন বর্ষায় আরও এক লাখ ১০ হাজার গাছ লাগানো হবে।

জানতে চাইলে ডিএনসিসির পরিবেশ, জলবায়ু ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সার্কেলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নুরুজ্জামান খান জাগো নিউজকে বলেন, ‘গত বছর মহাখালী থেকে গুলশান-১, শক্তি ফাউন্ডেশন ও মেটলাইফ অ্যালিকোর সহযোগিতায় নেভি গেট থেকে ফার্মগেট পুলিশ বক্স, শক্তি ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় লাউতলা খালপাড়, ইউএনডিপি, লংকাবাংলা ও শেভরনের সহযোগিতায় কয়েকটি বস্তি এলাকায় গাছ লাগানো হয়েছে। এসব গাছের ৮০ শতাংশ বেঁচে আছে।’

গাছ থাকতে গাছের মর্যাদা বুঝছে না ঢাকা

তিনি বলেন, ‘চলতি বর্ষায় গাছ লাগাতে ডিএনসিসি মেয়রের নির্দেশনা রয়েছে। সে অনুযায়ী আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার পরপরই গাছ লাগানো শুরু হবে। পাশাপাশি এসব গাছ দেখভালের জন্য ৪৩ জন মালি নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান।’

ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে কুড়িল উড়ালসড়ক থেকে রামপুরা পর্যন্ত প্রগতি সরণি সড়কে। এ সড়কের সাত কিলোমিটার অংশে সড়ক বিভাজকে হাতে গোনা কিছু গাছ দেখা গেছে। আর ফুটপাতে গাছ নেই বললেই চলে। ডিএনসিসির অন্য এলাকায় গাছ লাগানো হলেও প্রগতি সরণিতে কেন গাছ লাগানো হচ্ছে না তা জানতে চাইলে মো. নুরুজ্জামান খান বলেন, ‘গত বছর প্রগতি সরণির সড়ক বিভাজক, ফুটপাতে প্রায় তিনশ গাছ লাগিয়েছিলাম। কিন্তু তখন জানতে পারি এই সড়কের নিচ দিয়ে মেট্রোরেলের কাজ হবে। আবার চলতি বছর ওয়াসা খোঁড়াখুঁড়ি করবে। তাই প্রগতি সরণিতে গাছ লাগানো হয়নি।’

মেট্রোরেল নির্মাণেও কাটা পড়েছে গাছ
২০১৬ সালের ২৬ জুন মতিঝিল থেকে মিরপুর-১৪ নম্বর হয়ে উত্তরা উত্তর পর্যন্ত মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ শুরু হয়। এর মধ্যে মতিঝিল, সচিবালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহবাগ, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, বিজয় সরণি, আগারগাঁও, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, মিরপুর-১০, মিরপুর-১১, পল্লবী পর্যন্ত সড়ক বিভাজকের ওপর মেট্রোরেলের খুঁটি বসানো হয়েছে। ফলে আগে এ সড়ক বিভাজকে যেসব গাছ ছিল, তার সব কাটা পড়েছে।

সম্প্রতি সরেজমিনে মেট্রোরেলের পুরো পথে নিচে কোনো গাছ দেখা যায়নি। নিচে শুধু বাগান বিলাসসহ বিভিন্ন ধরনের পাতাবাহার গাছ লাগানো হয়েছে। কিন্তু দুই পাশের ফুটপাতে কোনো কাছ লাগায়নি ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি। এদিকে মেট্রোরেলের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ফার্মগেটের আনোয়ারা পার্কের। এই পার্কের সব কাছ কেটে ফেলা হয়েছে। সেখানে এখনো মেট্রোরেলের সরঞ্জাম স্তূপ করে রাখা। এখন দেখে বোঝার উপায় নেই আগে এখানে বড় একটি ছায়াদায়ী পার্ক ছিল।

মেট্রোরেলের নিচে ও সড়কের দুপাশের ফুটপাতে গাছ লাগানোর বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘মেট্রোরেলের নিচে ছায়ায় ভালো কোনো গাছ বেড়ে উঠবে না। তাই মেট্রোরেলের নিচে বাগান বিলাসসহ পাতাবাহার গাছ লাগাতে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আর মেট্রোরেল লাইনের দুপাশের ফুটপাতে গত বছর বর্ষার আগে কাঠবাদাম, বকুলসহ অন্য প্রজাতির গাছ লাগিয়েছে ডিএনসিসি। এর মধ্যে কোথাও যদি বাদ থাকে, চলতি বর্ষা মৌসুমে ফের লাগানো হবে। একইভাবে নগরের অন্য সড়ক বিভাজকে যেখানে গাছ লাগানোর মতো জায়গা আছে, সেখানেও গাছ লাগানো হবে।’

এমএমএ/এএসএ/এমএস

টাইমলাইন

  1. ০৮:১৪ পিএম, ০৫ জুন ২০২৪ গাছ থাকতে গাছের মর্যাদা বুঝছে না ঢাকা
  2. ০৭:৫১ পিএম, ০৫ জুন ২০২৪ আনারের মৃত্যু আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হলে আসন শূন্য ঘোষণা
  3. ০৭:১০ পিএম, ০৫ জুন ২০২৪ দূষণ কমাবে প্লাস্টিকখেকো ব্যাকটেরিয়া
  4. ০৬:৫২ পিএম, ০৫ জুন ২০২৪ চট্টগ্রামে ‘নীরব’ এলাকায়ও মাত্রাতিরিক্ত শব্দদূষণ
  5. ০৬:১৭ পিএম, ০৫ জুন ২০২৪ দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি বাড়লেও বাজেটে বরাদ্দ বাড়ে না
  6. ০৫:৫৮ পিএম, ০৫ জুন ২০২৪ সুপেয় পানির অভাবে উপকূল ছাড়ছে মানুষ
  7. ০৫:২৯ পিএম, ০৫ জুন ২০২৪ পাহাড় কাটা-পুকুর ভরাটে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য
  8. ০৫:০২ পিএম, ০৫ জুন ২০২৪ মানুষ জেগে উঠলেই সব নদী বাঁচবে, পরিবেশ বাঁচবে
  9. ০৪:২৬ পিএম, ০৫ জুন ২০২৪ সামুদ্রিক বর্জ্য দূর করা হয় যেভাবে
  10. ০৩:৫৫ পিএম, ০৫ জুন ২০২৪ বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতি করে বহির্বিশ্বের কাছে টাকা চাইলে তো হবে না
  11. ০৩:১১ পিএম, ০৫ জুন ২০২৪ পরিবেশের ওপর বারবার আঘাত হানছে মানুষ
  12. ০২:৫৭ পিএম, ০৫ জুন ২০২৪ জলবায়ু তহবিল আশীর্বাদ নাকি বোঝা?
  13. ০২:৩০ পিএম, ০৫ জুন ২০২৪ ‘দেশে যে উন্নয়ন চলছে তার বেশিরভাগ পরিবেশের বিপক্ষে’
  14. ০২:১৫ পিএম, ০৫ জুন ২০২৪ তাপপ্রবাহে বাড়ছে অকালে শিশুর জন্ম
  15. ০১:০৮ পিএম, ০৫ জুন ২০২৪ উজান থেকে আসা প্লাস্টিকে ধুঁকছে পরিবেশ
  16. ১১:১৮ এএম, ০৫ জুন ২০২৪ পরিবেশ বিপর্যয়ে পেশা বদলাচ্ছেন কৃষক
  17. ০৯:৩৬ এএম, ০৫ জুন ২০২৪ শীর্ষ দূষণের শহর ঢাকা বসবাসেরও অযোগ্য
  18. ০৮:৪৯ এএম, ০৫ জুন ২০২৪ এক কোটি টনের বেশি প্লাস্টিকে দূষিত হচ্ছে সমুদ্র
  19. ০৮:৩০ এএম, ০৫ জুন ২০২৪ পরিবেশ রক্ষায় ঢাকার প্রথম ‘নগর বন’
  20. ০৮:১৮ এএম, ০৫ জুন ২০২৪ জলবায়ু সংকটে ঋণের বোঝা বেড়েছে ৫০ দেশের