ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

তামাকমুক্ত দেশ গড়তে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:৫৯ পিএম, ৩১ মে ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। এ প্রত্যয় পূরণে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

শুক্রবার (৩১ মে) সকালে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান। জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণে আজকের দিনটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৮৭ সাল থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সরকার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও তামাক বিরোধী সংগঠনসমূহ এ দিনটি পালন করে আসছে। তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ প্রতিহত করি, শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করি এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও তামাক বিরোধী র্যালি, মেলা, আলোচনা সভাসহ ব্যাপক পরিসরে বিভিন্ন আয়োজন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

মন্ত্রী বলেন, পরোক্ষ ধূমপানও ক্ষতিকর। ধূমপান ও তামাক সেবনের কারণে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সারসহ নানা অসংক্রামক রোগ দেখা দেয়। তামাকের কারণে পৃথিবীতে প্রতি বছর ৮৭ লাখ মানুষ অকালে মারা যায়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাউথ এশিয়ান স্পিকার সামিটে ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। তা বাস্তবায়নে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি প্রনয়ণ, জাতীয় তামাক কর নীতি প্রনয়ণ ও বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন ও বাস্তবায়ন করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে প্রশিক্ষণ, কর্মশালা ও গণমাধ্যমে প্রচার প্রচারণা পরিচালনা করা হচ্ছে।

বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের দূর্বলতা দূর করে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের মতামতের ভিত্তিতে খসড়া প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে মন্ত্রী বলেন,

খসড়া প্রস্তাবে যে বিষয়গুলো উল্লেখিত আছে তা হলো-

১. শিশু-নারীসহ অধূমপায়ীদের পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি থেকে রক্ষায় শতভাগ ধূমপান মুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার প্রস্তাব।

২. কিশোর তরুণদের নেশার দিকে ধাবিত করতে তামাক কোম্পানিগুলো অযাচিত ভাবে ওটিটি, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও নাটক সিনেমায় ধূমপানের দৃশ্য প্রচার করছে। এগুলো বন্ধ করার প্রস্তাব যুক্ত হয়েছে।

৩. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, খেলাধুলার স্থান ইত্যাদি সীমানার ১০০ মিটারের মধ্যে তামাক বিক্রি বন্ধ করা এবং লাইসেন্স ব্যতীত তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন পরিবার-ভিত্তিক সচেতনতা ও সামাজিক আন্দোলনের ওপর জোর দেন।

আলোচনা সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মাঝে তামাক নিয়ন্ত্রণে জাতীয় সম্মাননা তুলে দেন। আলোচনা সভা শেষে মন্ত্রী তামাক বিরোধী মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই আলোচনাসভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. জিয়াউদ্দীন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি বর্ধন জং রানা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত ডিজি আহমেদুল কবীর, জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মনোজ কুমার রায় প্রমুখ।

এএএম/এসআইটি/জিকেএস