ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

সরকারি চাকরিতে রিকশাচালকের সন্তানদের কোটা দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:২২ পিএম, ৩১ মে ২০২৪

সরকারি চাকরিতে রিকশাচালকদের সন্তানদের কোটাভিত্তিক নিয়োগের দাবি তুলেছে বাংলাদেশ বিপ্লবী রিকশা শ্রমিক সংহতি।

শুক্রবার (৩১ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক সমাবেশে এ দাবি জানান তারা।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, লাখ লাখ রিকশাশ্রমিক এখন বহুকষ্টে দিন পার করছে। অমানবিক শ্রমে যুক্ত রিকশাশ্রমিকদের এই সমাজ ও রাষ্ট্রে কোনো দাম নেই, মান সম্মানও নেই। রিকশাশ্রমিকদের মানুষ বলে মনে করা হয় না। ভোটের অধিকার না থাকায় সমাজে তাদের দাম আরও কমেছে। অথচ মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে দেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রিকশাশ্রমিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

বক্তারা বলেন, রিকশাচালকদের থাকার ভালো ব্যবস্থা নেই, উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই, শ্রমিক পরিবারের ছেলে মেয়েদের প্রয়োজনীয় শিক্ষার, রেশনের ব্যবস্থা নেই। এর সঙ্গে রয়েছে পুলিশ, মাস্তান ও লাইসেন্সের বহু রকম হয়রানি।

এসময় রিকশা চালকদের জীবনমান উন্নয়নে নয় দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবির মধ্যে রয়েছে- পরিবেশবান্ধব রিকশার আধুনিকায়ন করা, শ্রমিকদের হয়রানি না করে রাস্তায় চলতে দেওয়া ও শ্রমিকদের সাথে দুর্ব্যবহার তুই-তোকারি বন্ধ করা। রিকশাশ্রমিকদের জন্য সারা বছর কম দামে রেশনের ব্যবস্থা করা। রিকশাশ্রমিকদের জন্য উপযুক্ত বাসস্থান, শ্রমিক পরিবারের সদস্যদের উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত ফ্রি শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা।

‘সরকারি চাকরিতে শ্রমিক পরিবারের সন্তানদের কোটাভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া। শ্রমিকদের অঙ্গহানি ভাতা ও মৃত্যুকালীন অনুদান নিশ্চিত করা। রিকশাশ্রমিকদের নবায়নবিহীন ফ্রি লাইসেন্সের আওতায় নিয়ে আসা। বেকার, ভাসমান ও খণ্ডকালীন রিকশাশ্রমিকদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা।’

এছাড়া প্রয়োজনীয় রিকশা গ্যারেজের ব্যবস্থা করে তার নিরাপত্তা বিধান এবং শ্রমিকদের মানবিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করার দাবিও জানানো হয়।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ভোটের অধিকার ক্ষুণ্ন হওয়াতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গরিব মানুষ। রাজনৈতিক দলগুলো সমাবেশে রিকশাশ্রমিকদের ব্যবহার করে। কিন্তু তাদের অধিকার নিয়ে কোনো কাজ করে না।

রিকশাশ্রমিকদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আগামী বাজেটের আগে রিকশাশ্রমিকদের সঙ্গে বসুন, আলোচনা করুন। তাদের ভাগ্য উন্নয়নে থোক বরাদ্দ দিতে হবে।

সমাবেশ শেষে প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে রিকশাচালকদের নিয়ে র্যালির আয়োজন করা হয়।

এনএস/এমএইচআর/এমএস