চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা
পানি নিষ্কাশনে বাধা ওয়াসার ৭৫ পাইপ
চট্টগ্রাম নগরের ৭৫টি স্থানে খাল ও নালা-নর্দমার মধ্য দিয়ে যাওয়া ওয়াসা, গ্যাস এবং টিঅ্যান্ডটিসহ ইউটিলিটি পাইপগুলো বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে চিহ্নিত করেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।
সোমবার (২৭ সে) সিডিএ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে এই ৭৫ স্থানের একটি তালিকা তুলে দেন। এসময় সিডিএ চেয়ারম্যান এসব স্থানে বসানো পাইপের ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ওয়াসা কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন।
চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সিডিএ। প্রকল্পের পূর্ত কাজ করছে সেনাবাহিনীর ৩৪ কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেড। এই প্রকল্পের অধীনে নগরীর ৩৬টি খাল থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, খাল খনন, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, খালের পাশে ওয়াকওয়ে নির্মাণের কাজ করছে সিডিএ।
আরও পড়ুন
- দুপুরের মধ্যে ঢাকাসহ ২০ অঞ্চলে ৮০ কিমি বেগে ঝড় হতে পারে
- একটুখানি বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যায় ঢাকা
- ডুবতেই থাকবে চট্টগ্রাম!
সিডিএ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, ‘খালগুলোতে পানি না থাকলেও শহরে পানি থৈ থৈ করছে। অথচ ড্রেন এবং নালা দিয়ে এসব পানি খালে চলে গেলে শহরে জলাবদ্ধতা হয় না। ড্রেন এবং নালা দিয়ে পানি নিষ্কাশন না হওয়ার কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি ব্রিজ ও কালভার্টের নিচেই দুইটি থেকে সর্বোচ্চ চারটি পর্যন্ত মোটা পাইপ লাইন রয়েছে। এসবের সঙ্গে পলি এবং বর্জ্য জমে পানি নিষ্কাশনের পথ প্রায় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘একটি তালিকা প্রণয়ন করে সোমবার ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কার্যালয়ে গিয়ে সেই তালিকা হস্তান্তর করা হয়েছে। ওয়াসার পাইপকেন্দ্রিক বর্জ্য ও পলির আস্তর সরানো হলে পানি প্রবাহে গতিশীলতা তৈরি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সোমবার ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ভারী বৃষ্টিতে বন্দরনগরের বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে যায়। রাতের মধ্যে বেশিরভাগ মূল সড়ক থেকে পানি নামলেও কিছু নিচু এলাকার অলিগলিতে পানি আটকে আছে।
এএজেড/এসএনআর/জিকেএস