ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

৩০ শতাংশের বেশি ভোটার উপস্থিতি কম কিসে: কাদের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:১২ পিএম, ২১ মে ২০২৪

জাতীয় নির্বাচনে ২১ শতাংশ ভোট পড়লে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ৩০ শতাংশের বেশি ভোটার উপস্থিতি কম কিসে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির বিতর্কিত জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে তুলনা করে তিনি এ কথা বলেন।

মঙ্গলবার (২১ মে) উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শেষে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

অভিযোগ রয়েছে নির্বাচনে সারাদিন কেন্দ্র ছিল ভোটারবিহীন। এ নিয়ে সমালোচনাও ছিল সব মহলে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে কাদের বলেন, ভোটাররা কেন আসেনি এ কথা যারা বলে, এটা স্থানীয় সরকার নির্বাচন। ৭ জানুয়ারি ভোটার উপস্থিতি ৪২ শতাংশের বেশি ছিল। বিএনপি নেতাদের বলবো, আপনাদের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে বিবিসি মন্তব্য করেছিল পাঁচ শতাংশ, তখন সরকারিভাবে নির্বাচন কমিশন বলেছিল ২১ শতাংশ। তাহলে আপনাদের জাতীয় নির্বাচনে উপস্থিতি ২১ এর তুলনায় স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ৩০ শতাংশের বেশি ভোটার উপস্থিতি কম কিসে?

আরও পড়ুন

তিনি বলেন, বিএনপি ও তাদের সমমনাদের অবিরাম মিথ্যাচার, এক ধরনের বুদ্ধিজীবীদের অপপ্রচার আছে। টিআইবির অপপ্রচার আছে। আরও কিছু নামীদামি বুদ্ধিজীবী আছেন, তারা নির্বাচন সম্পর্কে অপপ্রচার মিথ্যাচার করেছেন মানুষের আগ্রহ নষ্ট করতে। তারপরও ভালো হয়েছে বলবো না। ভোটার উপস্থিতি মোটামুটি সন্তোষজনক।

সেতুমন্ত্রীর দাবি, দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। ভোটার উপস্থিতি মোটামুটি সন্তোষজনক। রক্তপাত ছাড়া বিএনপি আমলে কোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়নি। আওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের নজির স্থাপন করেছে।

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কাদের বলেন, জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেটা ভিসানীতির প্রয়োগ নয়। এটা যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস আইনের প্রয়োগ।

আরও পড়ুন

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাকশাল একক কর্তৃত্ববাদী কোনো দল নয়। এটা জাতির প্রয়োজনে তখনকার বাস্তব অবস্থায় একটি জাতীয় দল। এটা একদলীয় কোনো শাসন নয়। জাতীয় এই দলে নির্বাচনের ব্যবস্থা ছিল। মির্জা ফখরুলরা যতই মিথ্যাচার করুক, তথ্য-প্রমাণ আছে। জিয়াউর রহমান বিশেষভাবে বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করে বাকশালের সদস্যপদ লাভ করেছেন। বাকশালের কমিটিতে ৭১ নম্বরে তার নাম ছিল। মিথ্যাচার করে লাভ নেই।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এসইউজে/ইএ/এএসএম