ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

সাম্প্রদায়িকতা রুখতে সাংস্কৃতিক গণজাগরণ দরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:২০ পিএম, ১৩ মে ২০২৪

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সাম্প্রদায়িকতা ও কূপমন্ডুকতা রুখে দিতে এবং দেশাত্মবোধ, উন্নয়ন ও মানবতাকে তুলে ধরতে প্রান্তিক জনপদসহ সারাদেশে সাংস্কৃতিক গণজাগরণ দরকার। তাহলে দেশ এগিয়ে যাবে।

সোমবার (১৩ মে) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিলনায়তনে অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ সম্পাদিত ‘পদ্মা ব্রিজ: এন এপিক অ্যাকমপ্লিশমেন্ট’ গ্রন্থ এবং হাসানুজ্জামান মাসুম রচিত ‘সোনার বাংলাদেশ দেখতে চাই’ শীর্ষক দেশাত্মবোধক ভিডিও সংগীত উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য শাহরিয়ার আলম এমপি এবং অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জামান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় গ্রন্থ ও দেশাত্মবোধক ভিডিও সংগীতটির ওপর আলোকপাত করেন। গবেষক ড. শিহাব শাহরিয়ার ও গীতিকার হাসানুজ্জামান মাসুম এ সময় বক্তব্য দেন।

নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ শেখ হাসিনার দৃঢ়তা ও আমাদের জাতির সক্ষমতার প্রতীক উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কানাডার আদালত প্রস্তাবিত পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগকে খারিজ করে দেওয়ার পর বিশ্বব্যাংক আবার অর্থায়ন করতে চেয়েছিল, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা না বলে দিয়েছিলেন। উন্নয়নশীল কোনো রাষ্ট্রনেতার পক্ষে এই দৃঢ়তা প্রদর্শন সহজ নয়।

আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল। যখন বিশ্বব্যাংক সরে গেলো, তখন অনেকেই বলেছে পদ্মা সেতু আর হবে না। একটি পত্রিকা শিরোনাম করলো ‘পদ্মা সেতু হচ্ছে না’। এরপর প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিলেন নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণের। আজ পদ্মা সেতু দৃশ্যমান ও দেশের অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা রেখে চলেছে।

তিনি বলেন, যারা পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে নেতিবাচক কথা বলেছিলেন, সমালোচনা করেছিলেন, তারা এখনো নিজেদের ভুল স্বীকার করেননি। আমার মনে হয় পদ্মা সেতু নিয়ে সিপিডি, টিআইবিসহ সব সমালোচনাকারীর জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। জাতি ঐক্যবদ্ধ থাকলে দেশে যেকোনো উন্নয়ন সম্ভব সেটির বড় প্রমাণ নিন্দুকের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গড়া পদ্মা সেতু।

আইএইচআর/ইএ/এএসএম