ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

সাঈদ খোকন

সিটি টোলের নামে কাঁচাবাজারে চাঁদাবাজিতে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:৪৫ পিএম, ১৩ মে ২০২৪

ঢাকা শহরের কাঁচাবাজারগুলোতে চাঁদাবাজির কারণে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।

সোমবার (১৩ মে) দুপুরে পুরান ঢাকার ওয়ারীর নরেন্দ্রনাথ বাসক লেনে ৮০০ পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

কাঁচাবাজারে টোলের নামে চাঁদাবাজির কথা উল্লেখ করে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, কাঁচাবাজারকেন্দ্রিক টোল আদায়ের নামে যে চাঁদাবাজি হয় এটা আমাদের দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দিচ্ছে। এ এলাকার বিভিন্ন কাঁচাবাজারের চাঁদাবাজি দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরে মুরগি-সবজি ট্রাক থেকে নামালে টাকা দিতে হয়, উঠালে টাকা দিতে হয়; বিক্রি করলে টাকা দিতে হয়; বাড়িতে নিয়ে গেলেও টাকা দিতে হয়! সবখানে টাকা দিতে হয়। এসব কাজ করে প্রধানমন্ত্রীর অর্জন এবং সুনাম ধুলায় মিশিয়ে দিচ্ছে, এগুলো বন্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার প্রতিটি কথা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আইন হিসেবে মেনে কাজ করেন। শেখ হাসিনার নির্দেশ অমান্য করা শোভনীয় নয়। আমাদের কিছু কাজ-কারবার, আমাদের কিছু কর্মকাণ্ড প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন প্রশ্নবিদ্ধ করে দেয়। গরিবের কষ্ট লাঘব করতে প্রধানমন্ত্রী চাল-ডাল রেশন দিয়েই যাচ্ছেন, যাতে মানুষের কষ্ট না হয়। আমরা চেষ্টা করছি যাতে মানুষের কষ্ট না হয়। আমরা আশা করছি অল্প কিছুদিনের মধ্যে দ্রব্যমূল্য সাধ্যের মধ্যে চলে আসবে। আমাদের অর্জন রয়েছে, আমাদের চেষ্টা রয়েছে। কিছু দুষ্ট লোকের কাজের জন্য আমাদের চেষ্টাগুলো ম্লান হয়ে যায়। চেষ্টাগুলো মলিন হয়ে যায়।

এসময় মঞ্চে উপস্থিত পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্য করে সাঈদ খোকন বলেন, আমি জনপ্রতিনিধি হিসেবে আপনাকে আহ্বান জানাচ্ছি অনতিবিলম্বে এ চাঁদাবাজি বন্ধ করুন। আমরা গরিবের কষ্ট দেখতে চাই না। শেখ হাসিনা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। দিন নেই, রাত নেই তিনি কাজ করে যাচ্ছেন, এ অবস্থা দেখার জন্য নয়। এ অরাজকতা হতে দেওয়া যায় না। দ্রুত এটা বন্ধ করতে হবে, কোনোভাবেই এটা চলতে দেওয়া যাবে না। যেসব কাজে মানুষের কষ্ট হয় সে কাজ শেখ হাসিনা কখনোই মেনে নেবেন না। যারা এ কাজ করছেন তারা যদি আওয়ামী লীগের পরিচয় দেন তাহলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মানুষের কাতারে আসুন। মানুষের সেবা করুন, আমাদের সঙ্গে আসুন, আমাদের পাশে থাকুন।

এমএমএ/এমআইএইচএস/এএসএম