ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

উপজেলা নির্বাচন

ভোট কম পড়ার ৫ কারণ জানালো ইসি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:৩৭ পিএম, ০৯ মে ২০২৪

সদ্য অনুষ্ঠিত প্রথম ধাপের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। খোদ নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভোটের এ হারকে ‘কম’ আখ্যা দিয়ে এর কিছু কারণও চিহ্নিত করেছে।

নির্বাচন কমিশনের চোখে প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার মোটাদাগে পাঁচটি কারণ ধরা পড়েছে। ভোটের একদিন পর বৃহস্পতিবার (৯ মে) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করে সে কারণগুলোই তুলে ধরেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

তিনি বলেছেন, মোটাদাগে পাঁচ কারণে ভোট কম পড়েছে। কারণগুলো হলো- বৈরী আবহাওয়া, বিএনপির ভোটে অংশ না নেওয়া, জনপ্রিয় প্রার্থীর অভাব, ধান কাটার মৌসুম এবং সাধারণ ছুটি থাকায় শ্রমিকরা নিজ এলাকায় চলে যাওয়া।

আরও পড়ুন

ইসি আলমগীর আরও বলেন, ধান কাটার মৌসুম চলছে। বিশেষত হাওরাঞ্চলে বোরো ধান কাটায় সবাই ব্যস্ত এখন। সেসব এলাকার মাঠ প্রশাসন থেকে আমাদের আগেই জানানো হয়েছে, ধান কাটার মৌসুমের কারণে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম হতে পারে। ভোট কম পড়তে পারে।

তিনি বলেন, এছাড়া গত কয়েকদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। আবার একটি বড় রাজনৈতিক দল (বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে) নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় ভোট কম পড়েছে।

এই নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, শহর এলাকার ছুটি থাকলে শ্রমিকরা বাড়ি চলে যায়। গাজীপুরে কিন্তু ভোট কম পড়েছে। শুধু ধান কাটা নয়, নানা কারণে ভোট কম পড়েছে। আরও কোনো কারণ থাকলে তা গবেষকরা বলতে পারেন।

আরও পড়ুন

তিনি জানান, প্রার্থীর জনপ্রিয়তার ওপরও ভোট পড়ার হার নির্ভর করে। এ নির্বাচনের ৭৩ শতাংশ ভোট পড়েছে এমন এলাকাও আছে। আবার এমন উপজেলাও আছে, যেখানে ভোট পড়েছে ১৭ শতাংশ।

কেন্দ্রে ঢুকে সিল মারার যে সংস্কৃতি, তা থেকে বেরিয়ে আসার উপায় জানতে চাইলে সাবেক এ ইসি সচিব সাংবাদিকদের বলেন, রাজনীতি তো সংস্কৃতির অংশ। তাই এ নিয়ে বুদ্ধিজীবী ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ করতে হবে। যারা গবেষণা করেন তাদের সঙ্গেও বসতে হবে।

অন্য এক প্রশ্নে মো. আলমগীর বলেন, গতকালের উপজেলা নির্বাচনে আমাদের কড়া বার্তা ছিল, কোনোভাবে অনিয়ম হওয়া যাবে না। নির্বাচন কমিশন চেয়েছে বলেই অনিয়ম হয়নি, বিষয়টি তা নয়। সবার সহযোগিতায় ভোট সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে।

তিনি বলেন, তবে ছোটখাটো ত্রুটি হতেই পারে, সেটিকে বড় করে দেখার কোনো কারণ নেই। যারা জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে যারা দায়িত্বে ছিলেন তারা খুব অ্যাকটিভলি কাজ করেছেন।

আরও পড়ুন

নির্বাচন কমিশনার বলেন, এটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এ নির্বাচনে সরকার পরিবর্তন হবে না। তাই দলগুলোকে ভোটে আসতে আমরা কোনো সংলাপ করিনি। এ নির্বাচনে সংলাপ করার কোনো দরকার নেই। তবে সব দল অংশ নিলে ভোট পড়ার হার আরও বেশি হতো।

মো. আলমগীর জানান, প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ২২টি উপজেলায় ইভিএমে ভোট হয়েছে, যেখানে ভোট পড়ার হার ৩১ দশমিক ৩১ শতাংশ। অন্যদিকে ব্যালট পেপারে ভোট হয়েছে ১১৭টি উপজেলায়। মোট ১৩৯ উপজেলায় ভোট পড়ার হার ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ। যার মধ্যে সর্বোচ্চ ৭৩ দশমিক ১৬ শতাংশ ভোট পড়েছে জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে আর সর্বনিম্ন ১৭ শতাংশ ভোট পড়েছে বগুড়ার সোনাতলায়।

এমওএস/এমকেআর/এমএস