ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

লোডশেডিং ও সড়ক দুর্ঘটনায় সংসদে ক্ষোভ চুন্নুর

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:১২ পিএম, ০৫ মে ২০২৪

লোডশেডিং এবং সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে জাতীয় সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু। এসময় তিনি বিদ্যুতের দায় মুক্তি চুক্তি প্রত্যাহারের দাবি জানান।

রোববার (৫ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে দেওয়া বক্তব্যে মুজিবুল হক চুন্নু এসব দাবি জানান। এসময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, এ মৌসুমে গ্রামগঞ্জে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও ১২ ঘণ্টা, কোথাও ৮ ঘণ্টা, আমার এলাকায় ৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে।

এসময় সরকারি দলের সদস্যদের কেউ কেউ আপত্তি করলে চুন্ন বলেন, প্লিজ, লোডশেডিং হয় না গ্রামে? চ্যালেঞ্জ করলাম। আমার এলাকার মানুষ আমাকে বলেছে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে দাওয়াত দিতে আমার এলাকায় একটা দিন থাকার জন্য, লোডশেডিং হয় কি না দেখার জন্য। আমার প্রশ্ন আরেক জায়গায়, যে সমস্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র আছে ভাড়া তাদের ৪১ শতাংশ সক্ষমতা থাকা সত্বেও বসে আছে এবং ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে বসে থাকার কারণে ভাড়া বাবদ ২৬ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।

আমি আরও বলতে চাই ওই যে দায় মুক্তি দিয়ে যে সমস্ত চুক্তি আমরা করেছি, এ দায়মুক্তি চুক্তিটা দয়া করে প্রত্যাহার করে এই যে বসে বসে জরিমানা দেওয়া হবে বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে এ চুক্তি বাতিল করুন। বাতিল করে বিদ্যুৎ দিলে, যেমন আমাদের বিদ্যুৎ দিলে আমরা বিল দেই ঠিক ওই সমস্ত কোম্পানি বিদ্যুৎ দিলে তাহলে বিল দেবেন। বসিয়ে রেখে এভাবে এক বছরে ২৬ হাজার কোটি টাকা দেবেন, তারপরও আবার লোডশেডিং থাকবে। এই যে অসহনীয় অবস্থা এ দেশে ঢাকা শহর থেকে কেউ আপনারা বুঝবেন না। যারা সংসদ সদস্য সরকারি দলের তারা হয়তো বলতে পারেন না কি অবস্থা গ্রামগঞ্জের।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের অপচয় বন্ধ করে ওই প্রতিযোগিতামূলক পদক্ষেপের মাধ্যমে বিদ্যুতের ব্যবসা যারা করে, যারা বিদ্যুতের প্ল্যান্ট বসান, অপচয় বন্ধ করেন।

আমি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে বলবো শুধুমাত্র দাম না বাড়িয়ে এমন কিছু পদক্ষেপ নেন যে পদক্ষেপের মাধ্যমে জনগণের ওপর চাপ না এসে একটা সহনীয় অবস্থায় আপনারা সরকারেরও থাকতে পারেন আর বিদ্যুৎও যাতে পাওয়া যায়।

সড়ক দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, গত ঈদে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩১৫ জন মারা গেছে ঈদের আগে ও পরে। প্রতিদিন এখন ১৪ জন মারা যায়, বছরে ৫ হাজারের মতো লোক সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যায় এটা সরকারের সংস্থার হিসাব।

তিনি বলেন, সড়কে বেশির ভাগ কিন্তু দুর্ঘটনা হয বেশিরভাগ পুরোনো গাড়ি, ফিটনেন্স নেই, ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। সড়ক পরিবহনমন্ত্রী আপনি একটু শক্ত হন। ড্রাইভিং লাইসেন্স, ফিটনেন্সবিহীন গাড়ী, অটো মটো যদি রাস্তায় চলাচল না করে তাহলে এইভাবে মানুষগুলো মারা যাবে না। দয়া করে আপনি এ বিষযে ব্যবস্থা নেন। সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার দাবি জানান চুন্নু।

আইএইচআর/এমআইএইচএস/জিকেএস