ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

এক টাকাও বেতন নেন না চিফ হিট অফিসার: মেয়র আতিকুল

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:৩৭ পিএম, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন তার কাজের জন্য এক টাকাও বেতন পান না বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘গত কিছুদিন ধরেই দেখছি আমাদের চিফ হিট অফিসারের বেতন-ভাতা নিয়ে অনেকে কথা বলছেন। কেউ বলছেন হিট অফিসার সিটি করপোরেশন থেকে বেতন-ভাতা নিচ্ছেন। কিন্তু হিট অফিসারকে নিয়োগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান অ্যাড্রিয়েন আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেজিলিয়েন্স সেন্টার। সিটি করপোরেশন থেকে এক টাকাও তিনি পান না। করপোরেশনে তার কোনো বসার বন্দোবস্তও নেই। তার কোনো চেয়ারও কিন্তু নেই।’

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ সরণিতে বায়ু দূষণ রোধ ও তীব্র তাপপ্রবাহে শহরকে ঠান্ডা রাখতে ডিএনসিসির ওয়াটার স্প্রে (পানি ছিটানো) কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় ডিএনসিসি মেয়র জানান, নগরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিনের কাজ শুধু পরামর্শ দেওয়া। তার পরামর্শ অনুযায়ী বাকি কাজ করে থাকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।

এক টাকাও বেতন নেন না চিফ হিট অফিসার: মেয়র আতিকুল
আগারগাঁওয়ে সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ সরণিতে ওয়াটার স্প্রে করে ডিএনসিসি

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘সারা বিশ্বে বিভিন্ন দেশে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে চিফ হিট অফিসের নিয়োগ দেয় অ্যাড্রিয়েন আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেজিলিয়েন্স সেন্টার। তার অংশ হিসেবে ডিএনসিসিতে তারা বুশরা আফরিনকে নিয়োগ দিয়েছে। এখন হিট অফিসার আমাদের মাত্র সাজেশন দিচ্ছেন। কাজ কিন্তু আমরাই (সিটি করপোরেশন) করছি। হিট অফিসার কোনো কাজ করবে না।’

তিনি বলেন, ‘অ্যাড্রিয়েন আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেজিলিয়েন্স সেন্টারকে প্রশ্ন করেছিলাম, হিট অফিসার হিসেবে কেন নারী নিয়োগ করা হয়েছে? তারা বলেছিলেন গরমের সময় নারীদের গরম অনুভবটা বেশি হয়। তাই তারা নারীদের নিয়োগ দেন।’

বুশরা আফরিন ডিএনসিসিতে নিযুক্ত হওয়ার পর নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছেন জানিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘এখন বুশরা আফরিন সিটি করপোরেশনকে পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি ডিএনসিসি এলাকার বস্তিগুলোতে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে এবং জনসচেতনতা বাড়াতে নিজ উদ্যোগে যাচ্ছে। তাপপ্রবাহের ক্ষতিকর দিকগুলো নাগরিকদের বুঝাচ্ছেন। কারণ, বস্তি এলাকাগুলোর টিনশেড ঘরে গরম অনেক বেশি থাকে। এছাড়া গত এক বছরে বস্তি এলাকাগুলোতে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কাজ লাগিয়েছেন বুশরা আফরিন।’

এমএমএ/কেএসআর/জেআইএম