নানি-মা-বাবা-বোনের পর চলে গেলো শিশু সুজন

রাজধানীর পশ্চিম ভাসানটেকে সিলিন্ডার গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ শিশু সুজন (৯) মারা গেছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা পাঁচজনে দাঁড়ালো।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।

ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সুজনের শরীরের ৪৩ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এ ঘটনায় তার বড় বোন লিজা (১৮) এখনো চিকিৎসাধীন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

এর আগে গত ১৬ এপ্রিল সকাল ৭টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সুজনের বাবা লিটন মিয়া (৫২)। তার আগের দিন সন্ধ্যায় তার মা সূর্য বানু চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার আগে ১৬ এপ্রিল সকালে মারা যান নানি মেহেরুন্নেছা (৬৫)।

আরও পড়ুন

• ভাসানটেকে দগ্ধ ৬: শাশুড়ি-স্ত্রীর পর চলে গেলেন লিটনও
  
• একই পরিবারের দগ্ধ ৬: মায়ের পর মেয়েও মারা গেলেন
• গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুন লেগে একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ

গত ১২ এপ্রিল ভোর ৪টার দিকে ভাসানটেকের একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুন লেগে একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হন। পরে তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

এলাকাবাসী জানান, মশার কয়েল জ্বালাতে গেলে ঘরের মধ্যে গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপের লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাসে আগুন ধরে যায়। এতে ওই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হন।

তাদের মধ্যে সূর্য বানুর ৮২ শতাংশ, লিটনের ৬৭ শতাংশ, লামিয়ার ৫৫ শতাংশ, মেহরুন্নেচ্ছার ৪৭ শতাংশ, সুজনের ৪৩ শতাংশ ও লিজার শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে যায়।

কাজী আল-আমিন/বিএ/জিকেএস