ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

মাওয়া রুটে দূরপাল্লার বাস কম, ঢাকার লোকাল বাসে বাড়ি যাচ্ছে মানুষ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:৪৯ পিএম, ১২ এপ্রিল ২০২৪

ঈদুল ফিতরের দ্বিতীয় দিনও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন। ঈদের দিনের মতো এদিনও ঢাকা-মাওয়া সড়কে দেখা গেছে যাত্রীর চাপ। তবে সে তুলনায় দূরপাল্লার যানবাহনের সংখ্যা একেবারেই কম। এ সুযোগ লুফে নিয়েছে ঢাকার অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচল করা বাসগুলো। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণাঞ্চের জেলাগুলোতে যাত্রী পরিবহন করছে এসব বাস।

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকাল থেকে ঢাকা-মাওয়া রুটে দূরপাল্লার পরিবহন সংকট থাকায় রাজধানীতে চলাচল করা বিভিন্ন পরিবহনকে মাওয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যেতে দেখা গেছে। আসিয়ান পরিবহন, রাইদা পরিবহন, গাবতলী পরিবহন, বাহাদুর শাহ পরিবহন এবং তুরাগ পরিববহনকে ঢাকা থেকে ওই পথে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে। এদিন ওই রুটে শরীয়তপুর, মাদারীপুর, ফরিদপুর, বরিশাল, গোপালগঞ্জ, খুলনা ও বাগেরহাটের যাত্রীদের বেশি দেখা গেছে।

মাওয়া রুটে দূরপাল্লার বাস কম, ঢাকার লোকাল বাসে বাড়ি যাচ্ছে মানুষ

ঢাকা থেকে শরীয়তপুর, জাজিরা, ভাঙ্গা, মাদারীপুরের ভাড়া নেওয়া হচ্ছে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা। এছাড়া তুরাগ পরিবহনে ৪০০ টাকা ভাড়ায় যাওয়া যাচ্ছে ভাঙ্গা পর্যন্ত। আসিয়ান, রাইদা, এবং বাহাদুর শাহ পরিবহনে যাত্রীপ্রতি ৭০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া গুণতে হচ্ছে।

এদিকে ঈদের বিশেষ দোতালা বিআরটিসি বাসে ৭০০ টাকা ভাড়ায় যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। বাস কম থাকায় যাত্রীরা বাড়তি ভাড়া গুণেই বাড়ি ফিরছেন। অনেকক্ষেত্রে ভাড়া নিয়ে বনিবনা না হলে যাত্রীদের বাস থেকে নামিয়ে দিতেও দেখা গেছে। দেড়শ টাকায় লেগুনা যাচ্ছে নিমতলীসহ পদ্মা সেতুর আগে মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা পর্যন্ত।

মাওয়া রুটে দূরপাল্লার বাস কম, ঢাকার লোকাল বাসে বাড়ি যাচ্ছে মানুষ

সকালের তুলনায় দুপুরে যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ এলাকায় ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়তে দেখা যায়। যাত্রীর পাশাপাশি মহাসড়কে বাড়ে যানবাহনও। দূরপাল্লার বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঢাকা-মাওয়া সড়কে চলছে ঢাকার অভ্যন্তরীণ রোডের বাসগুলো। এসব বাসও সমানতালে যাত্রী নিয়ে যাচ্ছে পদ্মা রোডে।

যাত্রীদের মাওয়া ও পদ্মা রোডে যে কোনো স্থানে নামলে ৫০০ টাকা ভাড়া দিতে হচ্ছে। আর ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডে বাসে ওঠে যে কোনো স্থানে নামলে ভাড়া ২০০ টাকা। ভবেরচড় যাওয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রাবাড়ী দাঁড়িয়ে একজন যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ঈদের দিনও বাড়তি ভাড়া নিয়েছে। ১০-২০ টাকা চেয়ে নিতে পারে। কিন্তু ২০০ টাকার কম ভাড়া দিতে চাইলে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিচ্ছে চালক-হেলপাররা।

মাওয়া রুটে দূরপাল্লার বাস কম, ঢাকার লোকাল বাসে বাড়ি যাচ্ছে মানুষ

মাদারীপুরের যাত্রী হাফিজুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, দুর্ভোগের কারণে ঈদের পরে যেতে চাইলাম। বয়স্ক মা, ছোট ছোটে ছেলেমেয়ে নিয়ে দুই ঘণ্টা ধরে বসে আছি। কিন্তু গাড়ি আসছে না। ভাড়াও নিচ্ছে দ্বিগুণ-তিনগুণ।

পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদের পরও গ্রামে ছুটছেন কর্মজীবী মানুষ। এতে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে বাড়ছে যানবাহন। একই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে সিলেট, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও নোয়াখালীমুখী মহাসড়কগুলোতেও। ব্যস্ত হয়ে উঠেছে দক্ষিণবঙ্গ ও পূর্বাঞ্চলের সড়কগুলো। সকালের তুলনায় দুপুরের দিকে যাত্রী ও পরিবহনের চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ। গন্তব্যে পৌঁছাতে যাত্রীবাহী বাসের পাশাপাশি, মিনি বাস, প্রাইভেটকার ও লেগুনায় চড়তেও দেখা গেছে অনেকে।

এফএইচ/এমকেআর/এমএস