ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

বিআরটিসির বাসেও চলছে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:১৯ পিএম, ০৮ এপ্রিল ২০২৪

পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে গ্রামে ফিরতে শুরু করেছেন ঢাকার বাসিন্দারা৷ ঢাকা ছাড়তে গিয়ে যাত্রাপথে তাদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। গণপরিবহনে নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে তাদের৷

ঘরমুখো যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কোনো ধরনের নিয়মের তোয়াক্কা না করেই চলছে বাড়তি ভাড়া আদায়৷এমনকি খোদ সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) বাসেও বাড়তি ভাড়া হাঁকানো হচ্ছে।

সোমবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সরেজমিনে রাজধানীর গুলিস্তানের বিআরটিসি বাস কাউন্টারে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা থেকে ফরিদপুর পর্যন্ত বিআরটিসির এসি বাসের নির্ধারিত ভাড়া ৪০০ টাকা হলেও এখন ঈদযাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে ৬০০ টাকা।

যাত্রীদের অভিযোগ, প্রতি বছর ঈদ এলে আগেভাগেই বলা হয় গণপরিবহনে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হবে না। কিন্তু বাড়ি ফেরার সময় যাত্রীদের কাছ থেকে কায়দা করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হয়। সবসময়ই যাত্রীদের পকেট কাটা হয়। অনেকটা বাধ্য হয়েই ঈদযাত্রীরা বাড়তি ভাড়া দিয়ে বাড়িতে ফেরেন৷

রিমন শিকদার নামের এক যাত্রী বলেন, সবসময় ভাড়া ৪০০ টাকা৷ এখন এসে শুনি ৬০০ টাকা দিতে হবে৷ অতিরিক্ত ভাড়া না দিলে গাড়িতে যেতে পারবো না৷ বাড়ি তো যেতেই হবে৷ তাই বাড়তি ভাড়া দিয়েই বাড়ি যাচ্ছি৷

বাড়তি ভাড়া নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে বিআরটিসির টিকিট বিক্রির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জাগো নিউজকে জানান, ঈদের সময় ঢাকা থেকে বিভিন্ন জেলায় গাড়ি যাওয়ার পর ফিরতি পথে কোনো যাত্রী পাওয়া যায় না৷ তাই সেতুর টোল ফি, জ্বালানি খরচ মেটাতে কিছুটা অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে৷

অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরটিসির ডিজিএম (অপারেশন) শুকদেব ঢালী জাগো নিউজকে বলেন, ঈদে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার সুযোগ নেই। আমাদের পূর্বনির্ধারিত ভাড়া অনুযায়ী বাস চলাচল করবে। যেহেতু অভিযোগ এসেছে, আমি সংশ্লিষ্ট কাউন্টারে যোগাযোগ করে এখনই ব্যবস্থা নেবো।

এনএস/এমকেআর/এমএস