ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

কমলাপুরে ঘরমুখো মানুষের ভিড় বাড়ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:৩৭ পিএম, ০৭ এপ্রিল ২০২৪

মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতরের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে এরই মধ্যে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছে ঘরমুখো মানুষ। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ভিড় বাড়ছে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা যাত্রীদের।

রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় সরেজমিনে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে দেখা যায়, ঘরমুখো যাত্রীদের সংখ্যা বেড়েই চলছে। অধিকাংশই ট্রেন ছাড়ার বেশ আগেই স্টেশনে পৌঁছেছেন। স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে নিজ নিজ গন্তব্যের ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায় তাদের।

ঘরমুখো যাত্রীরা বলছেন, এবারের ঈদে লম্বা ছুটি পাওয়ায় রাজধানীবাসীর বাড়ি ফেরার সংখ্যা বেড়েছে। এমনিতেই স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে ঢাকা প্রায় ফাঁকা হয়ে যায় ঈদের সময়, তবে এবার লম্বা ছুটি পাওয়ায় আরও বেশি মানুষ ঢাকা ছাড়ছে বলে মনে করছেন তারা।

আরও পড়ুন

হায়দার আলম নামের এক যাত্রী বলেন, এবার ঈদে লম্বা ছুটি। সোমবার (৮ এপ্রিল) থেকে বেশি ভিড় হতে পারে। তাই দুদিন আগেই ছুটি নিয়েছি। ভোগান্তি এড়াতে আগে বাড়ি যাচ্ছি। স্টেশনে এবারের ব্যবস্থাপনা খুব ভালো।

স্টেশনের বাইরে কথা হয় মান্নাফ রশীদ নামে একজনের সঙ্গে। তিনি বলেন, পরিবারের সদস্যদের আজই বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছি। আমি পরশু যাবো। পরশু থেকে ভিড় আরও বাড়বে। ভোগান্তি এড়াতেই তাদের আগে পাঠিয়ে দিচ্ছি।

কমলাপুর রেলস্টেশনে এবার বিনাটিকিটের যাত্রী ঠেকাতে তিন স্তরে চেকিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্টেশনের বাইরে, স্টেশন ভবনে প্রবেশের সময় এবং প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের আগে টিকিট চেকিং করা হচ্ছে। যারা টিকিট সংগ্রহ করছেন না তাদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে। কাউন্টার থেকে স্ট্যান্ডিং টিকিট সংগ্রহের পর তাদের প্ল্যাটফর্মে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন

আফিফ নামের এক যাত্রী বলেন, টিকিট কাটতে পারিনি। অনলাইনে টিকিট শেষ হয়ে গিয়েছিল। তাই টিকিট না কেটেই চলে আসছি। এসে দেখছি আগের মতো টিকিট ছাড়া কেউ ঢুকতে পারছে না। পরে স্ট্যান্ডিং টিকিট কেটেছি।

ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, যাত্রীরা নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারছে। ‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’ নিয়মের আলোকে বিনাটিকিটের যাত্রীরা কেউ স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ঢুকতে পারছে না। সার্বিক পরিস্থিতি ভালো আছে। আশা করছি মানুষের ঈদযাত্রা ভালো হবে।

এনএস/ইএ/জেআইএম