ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

মশা নিয়ে গবেষণা করতে ল্যাব চালু করতে চায় চসিক

নিজস্ব প্রতিবেদক | চট্টগ্রাম | প্রকাশিত: ১০:০১ এএম, ৩১ মার্চ ২০২৪

মশা নিয়ন্ত্রণে গবেষণাগার চালুর ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো রেজাউল করিম চৌধুরী। এপ্রিলের মধ্যে চসিকের অস্থায়ী কার্যালয়ের অষ্টমতলায় ওই গবেষণাগার (ল্যাব) চালু করা হবে। ল্যাবটিতে মশার প্রজনন, নিয়ন্ত্রণের ওপায় নিয়ে গবেষণা করা হবে বলে জানান তিনি।

শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে মশা কমাতে নগরীর মহেশখাল পরিষ্কারের মাধ্যমে ক্রাশ প্রোগ্রামের উদ্বোধন করেন মেয়র। সামনের বর্ষা মৌসুমের আগপর্যন্ত এ প্রোগ্রাম চলবে। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে হালিশহরের ফইল্যাতলী বাজার সংলগ্ন মহেশখালে মূল কার্যক্রম শুরু হয়।

শনিবার দুপুর থেকে কালোতেল, নাফতা মিশ্রিত মাস্কুবান ও লার্ভিসাইড মহেশখালে ছিটানো হয়। এছাড়া বিকেল থেকে কচুরিপানা অপসারণ ও ফগার মেশিনের মাধ্যমে অ্যাডাল্টিসাইড প্রয়োগ করা হয়। প্রোগ্রামে প্রায় দেড়শ স্প্রেম্যান, ফগার অপারেটর, পরিচ্ছন্নতাকর্মী অংশ নেন।

এসময় মেয়র বলেন, ৪১টি ওয়ার্ডেই নিয়মমাফিক মশা ওষুধ ছিটানোর পরও দেখা যাচ্ছে হালিশহরসহ কয়েকটি ওয়ার্ডে মশা কমছে না। অথচ একই ওষুধে অন্যান্য এলাকায় মশা নিয়ন্ত্রণে আছে। এতে ধারণা করছি বিদ্যমান ওষুধের প্রতি কিছু প্রজাতির মশার হয়তো প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মশার জীবনচক্রও যাচ্ছে বদলে।

মশা নিয়ে গবেষণা করতে ল্যাব চালু করতে চায় চসিক

‘এজন্য মশা নিয়ন্ত্রণের বিজ্ঞানভিত্তিক উপায় জানতে এপ্রিলের মধ্যে চসিকের অস্থায়ী কার্যালয়ের অষ্টমতলায় মশা নিয়ে গবেষণার জন্য পরীক্ষাগারটি চালু করা হবে। আমরা প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে মশার লার্ভা সংগ্রহ করে গবেষণাগারে পরীক্ষা করে দেখবো কোন ওষুধ কোন ধরনের মশার জন্য কার্যকর। এরপর গবেষণার ফলাফলের ভিত্তিতে এলাকাভিত্তিক ওষুধ ছিটানো এবং কার্যক্রম গ্রহণ করবো।’

মশা কমাতে কাউন্সিলরদের ভূমিকা রাখা দরকার মন্তব্য করে মেয়র বলেন, ওয়ার্ড পর্যায়ে মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে কাউন্সিলররা তদারকি করছেন। তবে সামনে যেহেতু ডেঙ্গুর মৌসুম তাই মশা নিয়ন্ত্রণে কাউন্সিলরদের আরও বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। কারণ সচেতনতা ও মশা নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়নে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে কাউন্সিলরদের ভূমিকাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

মশা নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা জরুরি মন্তব্য করে মেয়র বলেন, আমি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমন্বয়ে একটি গবেষণাদল গঠন করি। উনাদের বিজ্ঞানভিত্তিক পরামর্শের আলোকে বর্তমানে সর্বাধুনিক মশার ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। আমাদের কাছে মশা ওষুধের পর্যাপ্ত মজুতও আছে।

মশা নিয়ে গবেষণা করতে ল্যাব চালু করতে চায় চসিক

‘তবে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি মশা নিয়ন্ত্রণে চাই জনসচেতনতা। কেবল ওষুধ ছিটিয়ে মশা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না, যদি না আমরা নিজেদের বাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে জমে থাকা পানি অপসারণ না করি। নাগররিকদের প্রতি আহ্বান জানাবো, যাতে তারা প্রতি তিনদিনে একদিন বাসায় জমে থাকা পানি অপসারণের মাধ্যমে মশার প্রজননের সুযোগ কমান।’

মশা নিয়ন্ত্রণে মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস করতে হবে মন্তব্য করে মেয়র বলেন, নালা-খালে জমে থাকা পানি মশার গুরুত্বপূর্ণ প্রজননক্ষেত্র। এজন্য প্রতিদিন বিভিন্ন নালা-খাল পরিষ্কার করছি আমরা। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা আজ মহেশখাল পরিষ্কার করছি। নালা-খালে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ থাকলে জলাবদ্ধতা হবে না, যা মশা কমাতে সহায়ক। ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করায় এক সপ্তাহের মধ্যে মশার প্রকোপ কমবে বলে আশা করছি।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর মো. ইসমাইল, মো. ইলিয়াছ, আবদুল মান্নান, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমি, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদ আলম, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা শরফুল ইসলাম মাহি, জোন কর্মকর্তা আলী আকবর।

ইকবাল হোসেন/বিএ/এমএস