ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

উত্তরাঞ্চলে নদী পরিণত হচ্ছে বালুচরে, দক্ষিণাঞ্চলে বাড়ছে লবণাক্ততা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:৩৩ পিএম, ২২ মার্চ ২০২৪

উজানে পানি প্রত্যাহারের কারণে উত্তরাঞ্চলের নদীসমূহ শুষ্ক বালুচরে পরিণত হয়েছে। আর লবণাক্ততা বেড়ে চলেছে দক্ষিণাঞ্চলের নদীগুলোতে।

পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন আন্দোলনের (পরিজা) সভাপতি এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান এসব কথা বলেন।

শুক্রবার (২২ মার্চ) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের ‘জীবন ও জীবিকার জন্য পানি’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠক হয়। যৌথভাবে বৈঠকের আয়োজন করে পরিজা ও মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দ্র।

প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান লিখিত বক্তব্যে বলেন, দখল, ভরাট, আর বর্জ্যে নদীগুলো এখন দূষণের ভারে পানি ব্যবহারের অযোগ্য এবং জীববৈচিত্র শূন্য হয়ে পড়ছে। ফলে পরিবেশ, প্রতিবেশ, অর্থনীতি, জনস্বাস্থ্য ও জীবন-জীবিকা মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন। দেশের নদীগুলোর প্রায় প্রতিটিরই একই দশা। তিস্তার পানি প্রবাহ ব্যাপকহারে কমে গেছে। পদ্মা এখন মৃতপ্রায়, যমুনায় পড়েছে চর।

পরিজার তথ্য অনুসারে, দেশে ছোট বড় ৪০৫টি নদী রয়েছে। এরমধ্যে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে অভিন্ন নদীর সংখ্যা ৫৭টি। ৫৪টি ভারতের এবং তিনটি মিয়ানমারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। দেশের নদীগুলোর ৪৮টি সীমান্ত নদী, ১৫৭টি বারোমাসি নদী, ২৪৮টি মৌসুমি নদী। মানুষের অত্যাচারে নদীগুলো আজ মৃতপ্রায়।

বৈঠকে পানির সুরক্ষায় কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে অপরিশোধিত শিল্পকারখানায় বর্জ্য ও পয়ঃবর্জ্য, নৌযানের বর্জ্য, কঠিন বর্জ্য নদীতে ফেলা বন্ধ করা। খরা মৌসুমে সেচ ও রাসায়নিক সার নির্ভর ধান চাষের পরিবর্তে প্রকৃতি নির্ভর চাষ করা। প্রকৃতি নির্ভর ধান চাষে গবেষণা জোরদার করা এবং গবেষণালব্ধ ফলাফল মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা। ভূগর্ভে কৃত্রিমভাবে পানি রিচার্জ করা ইত্যাদি।

পরিজা’র সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জ্বল বলেন, পানির সঙ্গে মানুষের জীবন-জীবিকা সম্পর্কিত। পানি নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হচ্ছে। একদিকে বস্তি এলাকায় হাজার হাজার মানুষ এক কলসি পানির জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকছে। অন্যদিকে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে এক চুমুক খেয়ে পুরো বোতলের পানি ফেলে দেওয়া হয়। এভাবে প্রতিদিন হাজার হাজার লিটার পানি অপচয় হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেন মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দ্রের মহাসচিব মাহবুবুল হক, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মুশতাক হোসেন, অধ্যক্ষ আকমল হোসেন প্রমুখ।

আরএএস/জেডএইচ/এএসএম