ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

‘৫ বছরের মধ্যে দূষণ রোধে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনবে সরকার’

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:৫৪ পিএম, ২০ মার্চ ২০২৪

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য তানভীর শাকিল জয় বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার বিশেষ করে পরিবেশ দূষণরোধে ব্যাপক কাজ করছে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে সরকার পরিবেশদূষণ ও বায়ুদূষণ রোধে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনবে। দূষণরোধে আমাদের দীর্ঘমেয়াদি কার্যকরী সমাধানের জন্য কাজ করতে হবে। আমাদের বায়ুদূষণের উৎসগুলোকে বন্ধ করতে হবে। বর্জ্য পুড়িয়ে যেন বায়ুদূষণ না হয় সেজন্য বর্জকে সম্পদে পরিণত করতে হবে। ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টকে বাণিজ্যিকীকরণ করতে হবে। যার আর্থিক মূল্য থাকবে, ফলে মূল্যবান বর্জ্য কেউ পুড়িয়ে লোকসান করবে না।

বুধবার (২০ মার্চ) রাজধানীর পিআইবি মিলনায়তনে ‘বায়ুদূষণ কমানোর মাধ্যমে বয়স্ক এবং ছোট শিশুদের জীবন বাঁচানো’ শীর্ষক একটি অংশীজন শুনানিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। শিশু ও যুব ফোরামের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সংলাপে যৌথভাবে সহযোগিতা করে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ। অনুষ্ঠানে ওয়ার্ল্ড ভিশনের সদস্যরা পরিবেশদূষণ নিয়ে আলোচকদের কাছে বিভিন্ন প্রশ্ন রাখেন, আলোচকরা সেই বিষয়ে উত্তর দেন।

আন্তঃদেশীয় বায়ুদূষণ ইস্যুতে তানভীর শাকিল জয় বলেন, এটি কেউ চাইলে সহজে নিরসন করতে পারবে না, বায়ুপ্রবাহ কোন বাধা মানে না এটি প্রাকৃতিক নিয়মে চলে, জিওপলিটিক্যাল দূষণগুলো নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে এরই মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। পরিবহনের বায়ুদূষণ কমানোর জন্য তিনি জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক পরিবহন পরিহারের পরামর্শ দেন এবং পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রিক ভিহিকল ব্যবহারের প্রতি উৎসাহিত করেন।

সভাপতি বক্তব্যে ক্যাপসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, নির্মল বায়ু মানুষের অধিকার। কিন্তু ঢাকা শহরের অধিবাসীরা এ অধিকার থেকে বঞ্চিত। জৈব জ্বালানি পোড়ানোর ফলে বায়ুতে বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হচ্ছে, যা বায়ুর গুণগত মান নষ্ট করছে। তাই জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিত করা গেলে সবার জন্য নির্মল বায়ু এবং জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) পরিবহন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দার আলী (যুগ্ম সচিব) বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি বায়ুদূষণ রোধে প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ আরও জোরালো করা উচিত। বায়ুদূষণ রোধের জন্য প্রাপ্ত বরাদ্দগুলো সঠিকভাবে তদারকি করতে হবে এবং তার যথাযথ ব্যবহার ও নিশ্চিত করতে হবে। ডিএসসিসির পক্ষ হতে রাস্তার ধুলা দূষণ কমাতে প্রতিদিন ২০টি গাড়ি রাস্তায় পানি ছিটানোর কাজ করছে।’

ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) নাদিয়া ফারজানা বলেন, ‘আমাদের এখন সব থেকে বেশি প্রয়োজন সামগ্রিক ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো, যাতে মেয়াদোত্তীর্ণ ও অনুমোদনবিহীন যানবাহন রাস্তায় চলাচল না করতে পারে, যা বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ। এ বিষয়ে কাজ করার জন্য বিআরটিএ এবং ট্রাফিক পুলিশকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।’

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের ব্যক্তিগত পর্যায়েও বায়ু দূষণ রোধে কাজ করতে হবে। বসতবাড়ি ও কর্মস্থলের বর্জ্য সঠিক স্থানে এবং সঠিকভাবে নিষ্কাশন করতে হবে। ব্যক্তিগত পর্যায়ের উদ্যোগগুলো সরকারি কাজকে ত্বরান্বিত করতে ব্যাপকভাবে সহায়তা করবে। আমরা সবাই কাজ করবো কিন্তু নেতৃত্ব দেবে সরকার।’

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদারের সভাপতিত্বে শুনানিতে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সহকারী অধ্যাপক হুমায়ুন কবির, ক্যাপসের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মারজিয়াত রহমান, সিনিয়র ম্যানেজার আরবান প্রোগ্রাম-জোয়ানা ডি'রোজারিও, ডা. সন্তোস কুমার দত্ত, ডমিনিক সেন্টু গোমেজ, মীর রেজাউল করিম, মানস বিশ্বাস, জোনাস ক্লেরি কস্তা, শিশু ও যুব ফোরামের সদস্যসহ অন্যান্য পরিবেশবাদী সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

আরএএস/এমএএইচ/জিকেএস