ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ডিজিটাল পণ্য-সেবার নকশায় সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে: পলক

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:৪৭ পিএম, ০৫ মার্চ ২০২৪

ডিজিটাল পণ্য বা সেবা তৈরির ক্ষেত্রে এর নকশায় সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

তিনি বলেন, এখন কেউ বলতে পারে না যে, তারা নিরাপদ। সবাই সাইবার হুমকির মধ্যে রয়েছেন। সাইবার নিরাপত্তা শুধু আমার, আপনার, কোনো ব্যক্তি, কোনো প্রতিষ্ঠান বা কোনো দেশের বিষয় নয়, এটা সমগ্র বিশ্বের। সাইবার বিশ্বকে সুরক্ষিত করার জন্য আমাদের এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে দিনব্যাপী সাইবার সুরক্ষা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘সাইবার রেজিলেন্স ফর বাংলাদেশ’ স্লোগানে প্রথমবারের মতো আয়োজিত এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম।

গুজব প্রতিরোধ, ডিসিদের ৪ কৌশলে কাজ করতে বললেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সাইবার সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ চারটি বিষয় রয়েছে। সে অনুযায়ী, আমাদের প্রথমে নাগরিকদের সচেতন করতে হবে। কারণ সচেতন নাগরিক না থাকলে আমরা বিপদে পড়বো। দ্বিতীয়ত, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, সঠিক অবকাঠামোতে নতুন প্রযুক্তির বিকাশ ও বাস্তবায়ন ছাড়া আমরা ডিজিটাল বিশ্বকে সুরক্ষিত করতে পারবো না। তৃতীয়ত, যথাযথ আইন, নীতি ও নির্দেশিকা, যা না থাকলে সাইবার স্পেসকে রক্ষা করতে পারবো না। আর চতুর্থত, আন্তর্জাতিক তথ্য, জ্ঞান ভাগাভাগি ও সহযোগিতা প্রয়োজন। এজন্য প্রতিবছর এমন আয়োজন করে তরুণ উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবকদের এ খাতে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে বিশ্বের ট্রিলিয়ন ডলারের সাইবার সুরক্ষা খাতে নজর দিতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাইবার নিরাপত্তায় বিদ্যুৎ ও শক্তি, টেলিকম এবং আর্থিক খাতকে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র বিবেচনা করে এ তিনটি খাতে অধিক মনোযোগ দিতে হবে। যদিও গুরুত্ব বিবেচনায় আমরা ৩৫টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো ঘোষণা করেছি। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা এ অবকাঠামোগুলোর যত্ন নিচ্ছি। তবে একই সঙ্গে আমরা কিছু তথ্য সুরক্ষা নির্দেশিকা চালু করেছি, যা বেসরকারি খাতের জন্য অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

গুজব প্রতিরোধ, ডিসিদের ৪ কৌশলে কাজ করতে বললেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী

সাইবার সুরক্ষা সম্মেলনকে সময়োপযোগী পদক্ষেপ উল্লেখ করে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমরা এখন এডুকেশন, ইনভেস্টমেন্ট, ল ও হেলথ জিপিটি তৈরি করতে যাচ্ছি। পাইলট প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। নাগরিকদের তখন আর সেবার জন্য হাজার হাজার ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে না। ভার্চুয়াল অ্যাসিসটেন্ট গভর্নমেন্ট জেআইআই-কে জিজ্ঞেস করলে কিংবা এতে কিছু লিখেই আপনি সব সেবা পাবেন। গভর্নমেন্ট ব্রেইন সব উত্তর দেবে, দিকনির্দেশনাও দেবে।

সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইডিয়া ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ। আলোচনায় অংশ নেন বিশ্ব ব্যাংকের পরামর্শক হুসাইন এ সামাদ, টেকনো হ্যাভেন কোম্পানি লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা সিইও হাবিবুল্লাহ এন করিম, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংকের চিফ ইনফরমেশন টেকনোলজি অফিসার ও সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের (সিক্যাফ) উপদেষ্টা প্রকৌশলী মো. মুশফিকুর রহমান প্রমুখ।

এএএইচ/এসএনআর/জেআইএম