ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

অবৈধ সম্পদ

বিএনপির সাবেক এমপি গিয়াসের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:৫৪ পিএম, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে করা মামলার চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুদক কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হকের সই করা চিঠির সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে ওই চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শিগগির তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে তা দাখিল করবেন।

২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর দুদক উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে আসামির বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় এক কোটি ৪১ লাখ ৮৬ হাজার ৯৩১ টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছিল। যদিও অনুমোদিত চার্জশিটে টাকার অংক কিছুটা কমেছে বলে জানা গেছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২ নভেম্বর মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ২৩ ডিসেম্বর দুদকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন তিনি। অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র ও দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী যাচাই করে তার নামে ১৫ কোটি সাত লাখ ১৫ হাজার ৭৭৯ টাকার স্থাবর সম্পদ ও পাঁচ কোটি ৮৮ লাখ ৭০ হাজার ৩১৮ টাকা অস্থাবর সম্পদসহ মোট ২০ কোটি ৯৫ লাখ ৮৬ হাজার ৯৭ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়।

দুদক সূত্র আরও জানায়, গিয়াস উদ্দিন ২০০৮-০৯ করবর্ষ থেকে ২০২১-২২ করবর্ষে পারিবারিক ও অন্যান্য খাতে ১৭ কোটি ৪৫ লাখ ৯০ হাজার ৪৩ টাকা ব্যয়ের তথ্য পায় দুদক। এসব ব্যয়ের বিপরীতে বিভিন্ন সময়ে সঞ্চয় হিসাবে ছয় কোটি ৮১ লাখ ২২ হাজার ৮৫৬ টাকা, গৃহ সম্পত্তি থেকে আয়ের দুই কোটি ১৮ লাখ ৬৯ হাজার ৪৫০ টাকা, পিতার কাছ থেকে হেবা মূল্যে প্রাপ্ত ১১ শতাংশ জমিসহ সাত কোটি টাকার দালান, চার লাখ ৩২ হাজার টাকার মুক্তিযোদ্ধা ভাতাসহ মোট ১৭ কোটি ৬৮ লাখ ৮৪ হাজার ৭৩৭ টাকার বৈধ ও গ্রহণযোগ্য উৎস পাওয়া গেছে।

তবে গিয়াস উদ্দিনের আয়কর নথি অনুযায়ী কাসসাফ শপিং সেন্টার নির্মাণ ব্যয় প্রদর্শনকালে ২০২১-২২ করবর্ষে মার্কেটের ৮০২ বর্গমিটার নির্মাণে এক কোটি ৪১ লাখ ৮৬ হাজার ৯৩১ টাকা বিনিয়োগের বিষয়ে বৈধ উৎস পায়নি দুদক। যা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে। তাই দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এসএম/এমকেআর/এএসএম