মেয়র আতিক
ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের মধ্যে দেশপ্রেম জাগাবে
ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ‘ফিরে দেখা অমর একুশ’ শিরোনামে শিশুদের চিত্রাঙ্ককন প্রতিযোগিতা, সড়কে আলপনা, মহান একুশের স্মৃতিচারণ, কবিতা আবৃত্তি, সংগীতানুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ডিএনসিসি মেয়র শিশুদের সঙ্গে রঙতুলিতে সড়কে আলপনায় অংশ নেন। এসময় তিনি শিশুদের সঙ্গে একুশের গান গেয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।
এসময় মেয়র বলেন, আজ বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হচ্ছে। আমরা বাংলা ভাষাকে মাতৃভাষা হিসেবে পেয়েছি। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর নেতৃত্বে পাকিস্তানি বাহিনী উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করতে চেয়েছিল। কিন্তু আমাদের জাতির পিতাসহ অন্যান্য ভাষা সৈনিকেরা সেদিন তীব্র আন্দোলন করে রক্তের বিনিময়ে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই অর্জন এত সহজ ছিল না। অনেক ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে এই অর্জন। বিশ্বের বুকে একমাত্র বাংলাদেশই মাতৃভাষার জন্য আন্দোলন করেছে। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করবে।
আতিকুল ইসলাম বলেন, বাচ্চারা রঙতুলি দিয়ে সড়কে বাংলা বর্ণমালা একে আনন্দের সঙ্গে ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে জানতে পারছে। শিশুদের শুদ্ধ বাংলা বলাটা শেখাতে হবে। ইংলিশ মিডিয়ামে পড়লেও শুদ্ধ বাংলা ভাষাটা অবশ্যই শিখতে হবে। অভিভাবকদের এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। শুধু ইংরেজি ভাষা শিখলেই স্মার্ট হওয়া যায়- এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে। মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসা থাকতে হবে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ভাষার মাসে আমাদের প্রতিজ্ঞা করতে হবে শহরকে পরিষ্কার রাখার। ভাষাসৈনিকদের ত্যাগ থেকে শিক্ষা নিয়ে এই দেশকে, শহরকে ভালোবাসতে হবে। যত্রতত্র ময়লা ফেলা বন্ধ করতে হবে। অবৈধ দখল বন্ধ করতে হবে।
পরে ডিএনসিসি মেয়র চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিশুদের মধ্যে পুরস্কার তুলে দেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য মো. খসরু চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আফছার উদ্দিন খান, ৫৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. নাসির উদ্দীন প্রমুখ।
এমএমএ/ইএ/এএসএম