দিল্লিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
চীন উন্নয়ন সহযোগী, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক রক্তের
চীনকে উন্নয়ন সহযোগী আর ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক রক্তের বলে উল্লেখ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় দিল্লিতে ‘ফরেন করেসপন্ডেন্টস ক্লাব অব সাউথ এশিয়া’র সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
ক্লাবের প্রেসিডেন্ট এস ভেঙ্কট নারায়ণ এবং সেক্রেটারি প্রকাশ নন্দের পরিচালনায় ক্লাব পরিচালনা পর্ষদ ও আন্তুর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা মন্ত্রীর বক্তব্যের পর উন্মুক্ত প্রশ্নোত্তরে অংশ নেন।
বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র চর্চা হয়। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এবারও আমাদের দেশে নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন আমাদের দেশে একটি উৎসব। ৭ জানুয়ারি আমাদের দেশে উৎসবের আমেজে নির্বাচন হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ ও গভীর করার বিষয়ে আলোচনা
সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নির্বাচনের পরিসংখ্যান তুলে ধরে ড. হাছান বলেন, ২০২১ সালে পর্তুগালে নির্বাচনে ২৯ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট পড়ে। রোমানিয়ার নির্বাচনে ৩১ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং হংকংয়ের নির্বাচনে ৩০ শতাংশ ভোট পড়ে। এ দেশগুলোতে কোনো বিরোধী দল ছিল না।
তিনি বলেন, নির্বাচনের পর বিভিন্ন দেশ আমাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছে। গতকাল (বুধবার) পর্যন্ত ৫৭টি দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নির্বাচিত নতুন সরকারকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে। জাতিসংঘসহ ২০টি আন্তর্জাতিক সংগঠন শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ভারতের মতো বাংলাদেশেও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হয়। কিন্তু, বরাবরই বিএনপি ও জামায়াত নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকে। তারা জনগণকে ভোটদানে নিরুৎসাহিত করে। বারবারই বাংলাদেশের জনগণ সেসব অপচেষ্টা রুখে দেয়।
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, কয়েক দশকে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। একে আরও এগিয়ে নিতে দুই দেশ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে।
তিনি বলেন, পারস্পরিক সহযোগিতার অংশ হিসেবে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী বেশ কতগুলো উদ্যোগ নিয়েছেন, যার সুফল পাচ্ছে জনগণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিভিন্ন সূচকে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: উন্নয়নের স্বার্থে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি বজায় রাখা প্রয়োজন
সমাজ পরিবর্তনে সাংবাদিকরা ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে সক্ষম, এ কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সময়ে পৃথিবীজুড়ে সংবাদমাধ্যম বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভুল ও মিথ্যা তথ্য সম্পর্কে সাংবাদিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
চীন বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী, কিন্তু বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক রক্তের বলে মন্তব্য করেন ড. হাছান।
তিনি বলেন, অন্য যে কোনো দেশের সম্পর্কের সঙ্গে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ককে কখনোই তুলনা করা যায় না। তবে, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের অগ্রগতি বজায় রাখতে প্রতিবেশী সব রাষ্ট্রের সঙ্গেই সদ্ভাব বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আইএইচআর/এমকেআর