ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ

প্রণোদনা বন্ধ করলে পোশাকশিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:৪২ পিএম, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

প্রণোদনা বন্ধ করে দিলে পোশাকশিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে উল্লেখ করেছেন জাতীয় সংসদে বিরোধীদলের উপনেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি এ সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার আগামী জুন মাস পর্যন্ত রহিত করার অনুরোধ জানিয়েছেন।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সংসদ অধিবেশনের পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এ কথা জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, গত ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সার্কুলার জারি করেছে। পোশাকশিল্পের ইনটেনসিভ তারা বন্ধ করেছে। পোশাকশিল্প দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি প্রধান চালিকাশক্তি। বর্তমানে যেখানে আমাদের ডলার সংকট এবং রপ্তানি আয়ের ওপর চাপ পড়েছে, সেই মুহূর্তে এই সার্কুলার আমি মনে করি আমাদের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকারক হবে। যে উদ্দেশ্যে করা হয়েছে সেই উদ্দেশ্যের সঙ্গে আমি একমত।

তিনি বলেন, হঠাৎ করে যদি সাবসিডি বন্ধ করা হয়, ইনসেনটিভ বন্ধ করা হয়, পোশাক খাত অসুবিধার মধ্যে পড়বে। প্রশ্ন হচ্ছে এরই মধ্যে আগামী জুন পর্যন্ত সাবসিডি দেবে বলে একটা প্রজ্ঞাপন আছে। সেটার ওপর ভিত্তি করে পোশাকশিল্পের যারা আছেন তারাই এই জুন পর্যন্ত কন্ট্রাক্ট করেছেন। এই কন্ট্রাক্ট করার সময় এই সাবসিডিকে তারা হিসাবের মধ্যে নিয়েছেন। এখন যদি এইটা বন্ধ করা হয় তাহলে এই পোশাকশিল্পের যারা আছেন তারা প্রচণ্ড ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে পড়বে। আমাদের স্বীকার করতে হবে এই পোশাকশিল্প যেটার ওপর আমরা নির্ভর করছি, ৮০ ভাগ রপ্তানি এখান থেকে আসছে। সেখানে অনেক দিক থেকে চাপ আসে। কিছুদিন আগে মজুরি বড়ানো হয়েছে। যেটা করা উচিত এবং করা হয়েছে, সেটা দিতে হবে।

‘তার সঙ্গে জ্বালানি, গ্যাসের দাম দ্বিগুণ করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল দ্বিগুণ করার পর গ্যাস সাপ্লাইয়ে কোনো অসুবিধা হবে না। নিরবিচ্ছিন্নভাবে গ্যাস সাপ্লাই দেওয়া হবে, সেটা কিন্তু বর্তমানে হচ্ছে না। এগুলো আছে, সঙ্গে বিদেশে যারা আমাদের পোশাক আমদানি করে সেখানে ডিমান্ডের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে ডিমান্ড আস্তে আস্তে কমছে। এগুলো মিলে এই সার্কুলারের কারণে আমি মনে করি পোশাকশিল্প অসুবিধার সন্মুখীন হবে, ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ বলেন এই সংসদ সদস্য।

তিনি বলেন, সেজন্য আমি অনুরোধ করবো অর্থমন্ত্রী, বাংলাদেশে ব্যাংক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে যেন সার্কুলারটি রহিত করেন। অন্ততপক্ষে জুন পর্যন্ত এই সাবসিডি দেওয়ার কথা ছিল, সেই সাবসিডি যেন জুনের পর থেকে গ্রাজুয়ালি দেয়। যদি কমান সেটা আমি মনে করি পোশাকশিল্প মেনে নিতে বাধ্য। কারণ আমরা ডব্লিউটিও’র অধীনে ২৬ এর পর কোনো রকম সাবসিডি দিতে অপারগ।

আইএইচআর/ইএ/জিকেএস