দ্বাদশ নির্বাচনে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিফলন ঘটেনি: বদিউল আলম
নির্বাচন মানেই বহুদলীয় গণতন্ত্র। কিন্তু বিগত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একতরফাভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় এতে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিফলন ঘটেনি বলে মনে করেন সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার।
তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের পর দলীয় সরকারের অধীনে এর আগের দুই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। এর মধ্যে প্রথমটি ছিল একতরফা। দ্বিতীয়টি অংশগ্রহণমূলক হলেও নির্বাচনের মাঠ ছিল ক্ষমতাসীনদের দখলে ও ফলাফল ছিল একতরফা। ফলে দুটো বিতর্কিত নির্বাচনের কারণে বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া অত্যন্ত জরুরি ছিল। কিন্তু এবারও জনগণের সে আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি। সিইসির মতো আমরাও মনে করি, আইনগতভাবে বৈধ হলেও এই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকবে।’
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) অনলাইনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ীদের তথ্য উপস্থাপন’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘সুজন একটি নির্দলীয় সংগঠন। আমরা জনগণের স্বার্থে ও কল্যাণে কাজ করি। নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে পরিচ্ছন্ন করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করি।’
তিনি বলেন, ‘প্রার্থীদের হলফনামার তথ্য বিশ্লেষণের উদ্দেশ্য হলো, প্রার্থীদের সম্পর্কে তথ্য প্রদানের মাধ্যমে ভোটারদের ক্ষমতায়িত করা, যাতে তারা জেনে-শুনে-বুঝে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। আমি মনে করি, নির্বাচন কমিশন যদি হলফনামাগুলো ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করতো, তাহলে হলফনামা আমলনামায় পরিণত হতে পারতো। এর মাধ্যমে আমাদের নির্বাচনী প্রক্রিয়াও পরিচ্ছন্ন হতো।’
সুজন সহ-সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন, ‘যে ৫৮ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে সেখানে হয়তো ভোটের হার বেশি হতে পারে। কিন্তু বাকি আসনগুলোতে মানুষ সে অর্থে ভোট দিতে যায়নি। ভোটের ব্যাপারে মানুষের তেমন কোনো আগ্রহ ছিল না। তাই ভোটের হার কীভাবে এত বেশি হয় সেটা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাবে।’
সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার। প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি নির্বচনের একটি সামগ্রিক চিত্র, নির্বাচিত ২৯৯ জন সংসদ সদস্যর হলফনামা ও আয়কর প্রদানের তথ্যের বিশ্লেষণ, নির্বাচনের বৈশিষ্ট্য ও নির্বচন নিয়ে সুজনের মূল্যায়ন তুলে ধরেন।
আরএএস/কেএসআর/জেআইএম