ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

পিরোজপুর-২

নারীকে কটূক্তি: প্রার্থীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:১৬ এএম, ০৬ জানুয়ারি ২০২৪

নির্বাচনী প্রচারণার সময় নারীর চরিত্র নিয়ে আপত্তিকর ও কটূক্তিমূলক মন্তব্য করায় পিরোজপুর-২ আসনের জাতীয় পার্টির (জেপি) প্রার্থী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর স্ত্রী তাসমিমা হোসেনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে জেলার নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এবং জেলার যুগ্ম ও দায়রা জজ কে এম মহিউদ্দিন জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ (১৯৭২ সনের রাষ্ট্রপতির আদেশ নম্বর ১৫৫) এর অনুচ্ছেদ ৭৩.৩(ক) এবং সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮-এর ১১(ক) ধারার বিধান অনুযায়ী তাসমিমা হোসেন আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন।

এর আগে জেলা পরিষদের সংরক্ষিত সদস্য রোকেয়া বেগমের করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পিরোজপুর-২ আসনের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর স্ত্রী তাসমিমা হোসেনকে শোকজ করে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। এ বিষয়ে সশরীরে বা প্রতিনিধির মাধ্যমে উপস্থিত হয়ে লিখিত বক্তব্য দিতে বলা হলেও তিনি বা তার কোনো প্রতিনিধি লিখিত বক্তব্য দিতে আসেননি বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করে অনুসন্ধান কমিটি।

পরে বিভিন্ন অডিও-ভিডিও এবং পত্র-পত্রিকার সংবাদ বিশ্লেষণ করে অভিযুক্ত তাসমিমা হোসেনের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সিইসি বরাবর সুপারিশ করেছেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান।

TASMIMA.jpg

গত ২২ ডিসেম্বর পিরোজপুর-২ আসনে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে প্রার্থী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর স্ত্রী তাসমিমা হোসেন জেলা পরিষদের সংরক্ষিত সদস্য রোকেয়া বেগমের বিষয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষুব্ধ রোকেয়া বেগম নির্বাচন কমিশন ও জেলা রিটার্নিং কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন।

ওই চিঠিতে রোকেয়া বেগম জানান, ‘গত ২২ ডিসেম্বর ভাণ্ডারিয়া উপজেলার গৌরিপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে এক নির্বাচনী সভায় জাতীয় পার্টির (জেপি) প্রার্থীর স্ত্রী বেগম তাসমিমা হোসেন সরাসরি নাম উল্লেখ করে কুরুচিপূর্ণ, অশালীন, আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন। যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ এলাকার সবার মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, এ বেআইনি, মানহানিকর, বানোয়াট বক্তব্যের কারণে আমি (রোকেয়া বেগম) পরিবার, আত্মীয়স্বজন, অফিস কলিগ সর্বোপরি এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে প্রতিনিয়ত হেয়প্রতিপন্ন হচ্ছি এবং চরম মানসিক ও সামাজিক পীড়ার মধ্য দিয়ে দিন পার করছি।’

এএএইচ/এসআইটি/এমএস