ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

‘আমেরিকা বাংলাদেশে একটি পুতুল সরকার বসাতে চেয়েছে’

সায়েম সাবু | প্রকাশিত: ০৮:২৭ পিএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩

শাহরিয়ার কবির। সাংবাদিক, কলামিস্ট, প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা। একজন খ্যাতনামা শিশুসাহিত্যিক হিসেবেও পরিচিত তিনি। বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করছেন দীর্ঘদিন ধরে। ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির নির্বাহী সভাপতি। রাজনীতির নানা প্রসঙ্গ নিয়ে মুখোমুখি হন জাগো নিউজের। দুই পর্বের সাক্ষাৎকারের আজ থাকছে শেষটি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সায়েম সাবু।

জাগো নিউজ: আপনি আগের পর্বে আওয়ামী লীগের চলমান নীতির সমালোচনা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে সরে এসে দলটি ক্রমশই ডানপন্থার দিকে ঝুঁকছে বলে অভিযোগ আপনার। এরপরেও আপনারা আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়ে আসছেন।

শাহরিয়ার কবির: আমরা বাধ্য হয়ে আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিচ্ছি। ১৯৯২ সাল থেকে এমন সমর্থন দিয়ে আসছি। আমরা যারা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রতিষ্ঠা ছিলাম তাদের বেশির ভাগই ছিলাম বামপন্থার সমর্থক। জাহানারা ইমামও বামপন্থার সমর্থক ছিলেন। এ কারণেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে দূরত্ব কমাতে আমাদের বহু কাঠ-খড় পোড়াতে হয়েছে।

যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে আমার লেখা বইয়ে এ ব্যাপারে বিস্তর আলোচনা করা আছে। সাম্প্রদায়িক উত্থানের সময় আমাদের এখানে বহু নাগরিক ফোরাম ছিল। তাত্ত্বিক যে লড়াই, সেটা আমরা বহুভাবে করেছি।

আরও পড়ুন>> ‘ভিক্ষাবৃত্তি করেই বামরা নৌকা প্রতীক নিয়েছে’

কিন্তু যুদ্ধাপরাধের বিচার করতে গিয়ে আমরা দেখলাম, ভিন্ন বিষয়। কমিউনিস্ট পার্টির সাইফুদ্দিন মানিকরা বললেন, যুদ্ধাপরাধের বিচারে আমাদের পুরোপুরি সমর্থন আপনাদের প্রতি আছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ যদি ক্ষমতায় না থাকে তাহলে কোনোভাবেই গণআদালত করতে পারবেন না। এটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর কর্মসূচি।

ভয়ঙ্কর গর্তের দিকে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আমরা এমন একটি সংসদ পেতে যাচ্ছি, যেখানে কোনো বিরোধীদল নেই। আওয়ামী লীগ তো আওয়ামী লীগের বিরোধীদল হতে পারে না। সরকারকে কে জবাবদিহিতার জায়গায় ধরে রাখবে? সরকারের গণবিরোধী ভুল কে ধরিয়ে দেবে?

আমি যখন বিএনপি সরকারের আমলে বিচিত্রায় এটি লিখছি, তখন আওয়ামী লীগ অভিযোগ করলো শাহরিয়ার কবির এটি বিএনপি সরকারের প্রভাবে করছে, যাতে জিয়াউর রহমানের দায়মুক্তি অধ্যাদেশ বহাল থাকে। বলা হলো, শাহরিয়ার কবির বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার না চেয়ে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচার চাইছে।

আমাদের স্পষ্ট করতে হয়েছে আমরা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার চাই এবং যুদ্ধাপরাধেরও বিচার চাই। জাহানারা ইমাম মারা যাওয়ার আগে শেষ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা কোনোভাবেই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের বিরুদ্ধে নই। যুদ্ধাপরাধের বিচারের আন্দোলন শুরু হওয়ার পর বিচিত্রা থেকে আমাকে বরখাস্ত করা হলো। অভিযোগ ছিল আমি তৎকালীন সরকারকে বিব্রত করার জন্য আওয়ামী লীগের হয়ে খেলছি। আর আওয়ামী লীগ বলছে, সে বামপন্থি বলে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ধামাচাপা দিতে এসব করছে।’

জাগো নিউজ: যুদ্ধাপরাধের বিচার তো হচ্ছে, যেটি আপনাদের সফলতাও বলা হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগের শাসনব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন আছে। বিশেষ করে ভোটব্যবস্থা, দুর্নীতির প্রশ্নে। অথচ আপনারা নীরব থাকছেন।

শাহরিয়ার কবির: আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে যখনই দূরে সরে এসেছে, তখনই আমরা সমালোচনা করেছি। আমরা ৪ নভেম্বর সংবিধান দিবস পালন করি। এটি আওয়ামী লীগ পালন করে না। ২০ বছর থেকে আমরা এই দিবসের গুরুত্বের কথা বলে আসছি এবং ’৭২-এর সংবিধানে ফেরার কথা বলছি। বঙ্গবন্ধু জীবনের দুটি বড় অর্জন হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে একটি জাতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা দিয়েছেন এবং পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর একটি সংবিধান উপহার দিয়েছেন। অথচ বঙ্গবন্ধুর প্রতিষ্ঠা করা সংবিধানের চর্চা কোথাও নেই।

বিএনপি তার দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে। বিএনপির তৎকালীন মহাসচিব মান্নান ভূঞাকে অনেকবার বলেছি, আপনারা জামায়াতকে ছেড়ে আসুন। দক্ষিণপন্থারও দরকার আছে পার্লামেন্টে। নইলে আওয়ামী লীগ একটি ফ্যাসিস্ট সংগঠন হয়ে যাবে।

জাগো নিউজ: এখনকার যে বাস্তবতা তাতে করে ’৭২ সালের সংবিধানে আওয়ামী লীগের ফেরা আর সম্ভব?

শাহরিয়ার কবির: আমরা যখন যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু করেছিলাম, তখন সবাই হাসাহাসি শুরু করেছিল। যুদ্ধাপরাধীরা সব জায়গায়। আমলা, মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীও হলো যুদ্ধাপরাধীরা। এই বিচার এখন কীভাবে সম্ভব? যুদ্ধাপরাধের বিচারের তো সঠিক আইন-ই নেই।

কিন্তু এর জন্য আমাদের ধারাবাহিক লড়াইটা করতে হয়েছে। এই বিচারের এজেন্ডা আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে ছিল না। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ পরিষ্কার করে বলেছে, আমরা যুদ্ধাপরাধের বিচার করবো না। ১৯৯৭ সালে আমরা এই বিচারের দাবিতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বসেছিলাম। তারা বলেছে, এটি আমাদের নির্বাচনী এজেন্ডায় নেই। ২০০৮ নির্বাচনের আগে আমরা কবির চৌধুরীর বাড়িতে বসে আবারও দাবি করেছি, ‘আপনারা ক্ষমতায় গেলে যুদ্ধাপরাধের বিচার করবেন।’ বিএনপি এবং জাতীয় পার্টি ছাড়া সবগুলো দল আমাদের দাবির সঙ্গে এতমত পোষণ করে। আমরা দাবি না তুললে আওয়ামী লীগ যুদ্ধাপরাধের বিচার করতো না।

আরও পড়ুন>> রাজনীতিতে হেভিওয়েটদের ডায়েটে যাওয়া উচিত

একইভাবে আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালের পর থেকে সংগঠন হিসেবে জামায়াতের বিচার করছে না। ব্যক্তির বিচার করতে পারলে সংগঠনের বিচার করাও সম্ভব। জামায়াত তো রাজনৈতিকভাবে গণহত্যা করেছে, বাংলাদেশের চেতনা ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে, সেই জামায়াতের বিচার হওয়া জরুরি। জামায়াতের রাজনীতি বঙ্গবন্ধু নিষিদ্ধ করেছিলেন। আমরা ফের জামায়াত নিষিদ্ধের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। আওয়ামী লীগ এসব পছন্দ করে না। আওয়ামী লীগ আমাদের বিপদ মনে করে।

জাগো নিউজ: তাহলে এই আন্দোলনের সুফল কী?

শাহরিয়ার কবির: আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াতসহ সবাই আমাদের আন্দোলনে বিরক্ত মনে করে। এ কারণেই আমি মনে করি, আমরা সঠিক পথে আছি। নাগরিক আন্দোলন কাউকে খুশি করতে পারে না।

নির্মূল কমিটি করার সময় আমরা প্রথমে কবি সুফিয়া কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করি। আমরা তাকে আহ্বায়ক করতে চাই। পরে জাহানারা ইমামকে আহ্বায়ক করি। সুফিয়া কামাল ওইদিন বললেন, ‘আমাকে বলা হয় সর্বজন শ্রদ্ধেয় সুফিয়া কামাল। এই শব্দটি আমি কোনোভাবেই পছন্দ করি না। আমি মোটেও সর্বজন শ্রদ্ধেয় নই। আমি তো সাম্প্রয়িক শক্তির বিরুদ্ধে কথা বলি। মৌলবাদীরা কখনই আমাকে শ্রদ্ধা করবে না।’

জামায়াতকে আমরা ঠিকভাবে আঘাতটা করতে পেরেছি। এ কারণেই জামায়াত আমাদের ওপর এত ক্ষিপ্ত।

জাগো নিউজ: যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে কতুটুকু সন্তুষ্ট হতে পারলেন?

শাহরিয়ার কবির: আমরা আন্দোলন না করলে যুদ্ধাপরাধের বিচার এতটুকুও হতো না। বিচারব্যবস্থার অনেক রকম জটিলতা ছিল। যেটি আমাদের কাটাতে হয়েছে। ১২ বছরে প্রায় একশর মতো ব্যক্তিকে শাস্তি দিতে পেরেছি। এত বড় সাফল্য চলমান বিশ্বে আর কোথাও নেই।

জাগো নিউজ: আর হতাশা নিয়ে?
শাহরিয়ার কবির: যখন আমাদের কোনো সম্পদ ছিল না, তখন বঙ্গবন্ধু ৭২টি ট্রাইব্যুনাল গঠন করে বিচার শুরু করেছিলেন। এখন আমরা সম্পদের সমুদ্রে ভাসছি। অথচ এখন একটি ট্রাইব্যুনাল দিয়ে বিচার করছে। যুদ্ধাপরাধের বিচার মন্থর করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এটি হতাশা তৈরি করেছে।

জাগো নিউজ: বিচারের গতি মন্থর করে দেওয়ার কী কারণ থাকতে পারে?

শাহরিয়ার কবির: জামায়াতের সঙ্গে সমাঝোতার প্রশ্নে যুদ্ধাপরাধের বিচার মন্থর করে দিতে পারে বলে মনে করি। আওয়ামী লীগ এখন এ বিচার কার্যক্রম পছন্দ করছে না।

হেফাজতের উত্থানের সময় আমরা প্রতিবাদ করলাম। আমার ওপরও হামলা করা হলো। হেফাজতের সঙ্গে জামায়াতের, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে আমরা তিন হাজার পৃষ্ঠার শ্বেতপত্র বের করেছি। অধ্যাপক মোনতাসীর মামুন যখন ‘হেজাবি’ তথা হেফাজত, জামায়াত, বিএনপি শব্দটি ব্যবহার করলেন তখন গোয়েন্দারা সরকারকে বোঝালেন হেফাজত, জামায়াত, বিএনপিকে এক ব্রাকেটে ফেলা যাবে না। শাপলা চত্বরে বিএনপি-জামায়াতের শক্তি ছাড়া হেফাজত ওই তাণ্ডব করতে পারতো না।

আরও পড়ুন>> ঐকমত্যে না পৌঁছাতে পারলে পুরো জাতি খাদে পড়বে

গোয়েন্দারা বুঝিয়েছে শত্রুকে বিভক্ত করতে হবে। হেফাজতকে পক্ষে আনো, জামায়াত নিউট্রল করো এবং বিএনপিকে ক্রাশ করো। আওয়ামী লীগ এটি বুঝেই হেফাজতকে একটি নিরপেক্ষ জায়গায় রাখতে পেরেছে। সরকার মনে করে এ কারণেই শাপলা চত্বরের ঘটনা পুনরাবৃত্তি হয়নি।

জাগো নিউজ: এই নীতি সরকারের জন্য বুমেরাং হতে পারে কি না?

শাহরিয়ার কবির: অবশ্যই বুমেরাং হবে। সরকার হেফাজতকে কাছে টেনে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মূল্য গোটা বাংলাদেশকে দিতে হবে। আওয়ামী লীগ তো ধর্মের নামে রাজনীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছে।

ভয়ঙ্কর গর্তের দিকে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আমরা এমন একটি সংসদ পেতে যাচ্ছি, যেখানে কোনো বিরোধীদল নেই। আওয়ামী লীগ তো আওয়ামী লীগের বিরোধীদল হতে পারে না। সরকারকে কে জবাবদিহিতার জায়গায় ধরে রাখবে? সরকারের গণবিরোধী ভুল কে ধরিয়ে দেবে?

এ কারণেই আমি মনে করি, নির্মূল কমিটির মতো নাগরিক সমাজকে বিরোধীদলের দায়িত্ব পালন করতে হবে।

জাগো নিউজ: বিএনপিকে এভাবে ক্রাশ করার নীতি ঠিক হয়নি বলছেন?

শাহরিয়ার কবির: বিএনপি তার দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে। বিএনপির তৎকালীন মহাসচিব মান্নান ভূঞাকে অনেকবার বলেছি, আপনারা জামায়াতকে ছেড়ে আসুন। দক্ষিণপন্থারও দরকার আছে পার্লামেন্টে। নইলে আওয়ামী লীগ একটি ফ্যাসিস্ট সংগঠন হয়ে যাবে।

জাগো নিউজ: আওয়ামী লীগ কি সে পথেই হাঁটছে?

শাহরিয়ার কবির: চলমান প্রবণতাগুলো সেদিকেই যাচ্ছে। এ কারণে আমরা মনে করছি নাগরিক সমাজকে আরও সক্রিয় হতে হবে।

জাগো নিউজ: সত্যিকার নাগরিক সমাজ আছে?

শাহরিয়ার কবির: একই ধারায় সবাই চলছে। হয় আওয়ামী লীগ, না হয় বিএনপি। আমরা আওয়ামী লীগকে কতগুলো কন্ডিশনাল সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছি।
জামায়াত এখনো রাজনীতি করছে। জামায়াত নিষিদ্ধ থাকলে আমাদের এ মাথাব্যথা থাকতো না। বামরা শক্তিশালী অবস্থানে থাকলে এ দশা হতো না।

আওয়ামী লীগের বিকল্প বামরা থাকবে। সংসদে বিরোধীদলে থাকবে। একদিন না একদিন বামরাও ক্ষমতায় যেতে পারতো। ইউরোপের মতো দেশে পরিবর্তন হচ্ছে। ডানপন্থার ব্যর্থতার কারণে বামপন্থার প্রতি মানুষের কিছুটা আগ্রহ তো বাড়ছে।

কিন্তু এ-ও মনে রাখতে হবে গোটা বিশ্বে ডানপন্থার প্রভাব রয়েছে। আমেরিকাকে চ্যালেঞ্জ করার মতো কেউ নেই। অর্থনৈতিকভাবে চীন অনেক এগিয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিকভাবে তো অনেক পিছিয়ে। সামরিকভাবে আমেরিকাকে কে চ্যালেঞ্জ করবে? রাশিয়া পারছে?

জাগো নিউজ: শেখ হাসিনা তো ভারসাম্য নীতিতে সফল।

শাহরিয়ার কবির: এই প্রশ্নে অন্তত সফল। রাশিয়া, চীন, ভারতকে তো শেখ হাসিনা পাশে পেয়েছেন। আমেরিকা বাংলাদেশে একটি পুতুল সরকার বসাতে চেয়েছে। আমেরিকা বাংলাদেশকে ইরাক, আফগানিস্তান বানাতে চাইছে। তৃতীয় বৃহৎ মুসলিম রাষ্ট্র হচ্ছে বাংলাদেশ। কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে? এখানে ইসলামিক রাজনীতিকে প্রমোট করা খুব সহজ। আমেরিকা চায় এখানে একটি তাবেদার সরকার প্রতিষ্ঠা পাক। বিএনপি-জামায়াতও তাদের তাবেদার সরকার হতে চায়।

শেখ হাসিনাকে তাবেদারির জায়গায় রাখা যাচ্ছে না। শেখ হাসিনার কতগুলো জায়গায় গোয়ার্তুমি আছে। পররাষ্ট্রনীতিতে আমরা তাই দেখেছি। এমনকি ইন্ডিয়া থেকেও এক ধরনের দূরত্ব তৈরি করে রেখেছে।

জাগো নিউজ: এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ কোথায় যাচ্ছে?

শাহরিয়ার কবির: আমি মনে করি, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ধারাটা থাকবে।

সৌদি আরবে মাথাপিছু আয় আমাদের চেয়ে ১৪ গুণ বেশি। তাই বলে বাংলাদেশকে তো আমরা সৌদি আরব বানাতে চাই না। মানবিক উন্নয়নেও আমরা মডেল একটি রাষ্ট্র তৈরি করতে চাই। এই লড়াইটা আমরা চালিয়ে যাবো।

ধর্মের নামে রাজনীতিকে কবর দিয়েই তো আমরা বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছি। আবার তো পাকিস্তান ধারায় আমরা ফিরতে পারি না।

এএসএস/এএসএ/এএসএম