বর্ষবরণের উৎসব শৃঙ্খলিত করা হলো
পহেলা বৈশাখে বর্ষবরণের সব অনুষ্ঠান বিকেল ৫টার মধ্যে শেষ করার যে সময়সীমা পুলিশ বেঁধে দিয়েছে তার মধ্যে দিয়ে বাঙালির প্রাণের উৎসবকে শৃঙ্খলিত করা হয়েছে বলে মনে করছেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
পুলিশের তরফ থেকে বৈশাখের অনুষ্ঠান বিকেলের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ আসার পর এর প্রতিক্রিয়ায় জাগো নিউজকে সেলিনা হোসেন বলেন, অবাক করা সিদ্ধান্ত। আমি কীভাবে এর সমালোচনা করবো, সেই ভাষা হারিয়ে ফেললাম আপনার কথা শুনে। নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে সার্বজনীন এই উৎসবকে শৃঙ্খলিত করা হলো। এটা ভালো কিছু নয়। বরং আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ভিন্নভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পথ খুঁজে বের করতে পারতো।
এরআগে রোববার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, বর্ষবরণের সব অনুষ্ঠান বিকেল ৫টার মধ্যে শেষ করতে হবে, মুখোশে মুখ ঢেকে মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নেয়া যাবে না এবং ভুভুজেলা বা বিকট আওয়াজের বাঁশি বাজানো যাবে না।
বাংলা বর্ষবরণে অপ্রীতিকর ঘটনার নজির না থাকলেও গতবছর সন্ধ্যার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বেশ কজন নারীকে যৌন হয়রানি করা হয়। এ ঘটনায় মামলা হলেও বছর ঘুরতে এলেও তার তদন্তে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই।
সেলিনা হোসেন বলেন, পহেলা বৈশাখ সার্বজনীন উৎসব বাঙালির। এটি প্রাণের উৎসব। এই উৎসবে আনন্দ থেকে জোর করে ঘরে ফিরে যেতে বলাটা কেমন কথা? আমি বুঝতে পারছি না।
এই সিদ্ধান্তকে খুবই দুঃখজনক আখ্যায়িত করে এই কথা সাহিত্যিক আরো বলেন, মানতে পারছি না। কেন আমাকে জোর করে ঘরে পাঠানো হবে। এটা খারাপ খবর। সরকারের উচিৎ নিরাপত্তার ভিন্ন উপায় বের করা। সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কিন্তু তারা আমকে কেন ৫টার মধ্যে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করতে বলবে।
প্রাণের উৎসবে নিরাপত্তার নামে বাধা তৈরি করা হচ্ছে কি না সে প্রশ্নও তোলেন সেলিনা হোসেন।
এসএ/এনএফ/এবিএস