ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

বিজয় দিবস এলেই বদলে যায় তাদের পেশা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:১২ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান মুক্তিযুদ্ধে গৌরবগাঁথা আত্মত্যাগের মধ্যদিয়ে বিজয় আসে বাংলাদেশের। তাইতো বাঙালি বরাবরই উৎসাহ-উদ্দীপনা আর জাঁকজমকপূর্ণভাবে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উদযাপন করে। এতে বাড়তি আনন্দ যুক্ত করে জাতীয় পতাকা। দেশপ্রেম আর সম্মান জানাতে অনেকেই এদিন পতাকা হাতে রাখেন। এছাড়া হাতে থাকে জাতীয় পতাকার ব্যান্ড, মাথায় বাঁধা হয় জাতীয় পতাকার ফিতা।

তাই তো বিজয় দিবস কেন্দ্র করে রাজধানীতে বেড়ে যায় এসব সামগ্রী বিক্রি। বাড়তি লাভের আশায় অনেকে কয়েক দিনের জন্য পেশা পরিবর্তন করে পতাকা বিক্রির কাজে নামেন। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এমন ভ্রাম্যমাণ পতাকা বিক্রেতা দেখা যায়।

Victory-Day-1.jpg

তারা বলছেন, বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে পতাকার চাহিদা বাড়ে। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষই কমবেশি পতাকা কেনেন।

কারওয়ান বাজার এলাকায় একটি বাঁশের লাঠিতে জাতীয় পতাকা বেঁধে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করছেন রিপন হোসেন। তিনি বলেন, আমি শাক-সবজি ও কাঁচামালের ব্যবসা করতাম। ১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষে পতাকা বিক্রি করছি। পরে আবার আগের ব্যবসায় ফিরে যাবো। ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৬০০ টাকা দামের পতাকা আছে আমার কাছে। তিনদিন ধরে পতাকা বিক্রি করছি। দিনে এখন দেড় হাজার টাকা বিক্রি হয়। কাল থেকে বিক্রি বাড়বে।

সোনারগাঁও হোটেলের সামনে দেখা মেলে আরজু মিয়া নামের আরেক পতাকা বিক্রেতার। তিনি একইভাবে রাস্তায় ঘুরে ঘুরে পতাকা বিক্রি করছেন।

jagonews24

এই পতাকা বিক্রেতা বলেন, আগে ঝালমুড়ি বিক্রি করতাম। এখন সপ্তাহখানেক ধরে পতাকা বিক্রি করবো। লাভও একটু বেশি হবে। প্রতি বছরই বিক্রি করি।

রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় নিজের ছেলের জন্য পতাকা কিনছেন সুমন আহমেদ। তিনি বলেন, বিজয় আমাদের জন্য গৌরবের। ছোট ছেলের জন্য পতাকা কিনলাম। পতাকা পেয়ে সে খুশি হবে। জাতীয় পতাকা হাতে পেয়ে একটু হলেও দেশের প্রতি ভালোবাসা জন্মাবে। আমাদের উচিত অন্তত বিজয় দিবসে বাচ্চাদের হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দেওয়া।

এনএস/জেডএইচ/এমএস