আমরা জনগণের টাকায় চলি এটা মনে রাখতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আমরা সবাই জনগণের ট্যাক্সের টাকায় চলি, সেই কথা যেন ভুলে না যাই। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে জেলাগুলোতে শতাধিক ও উপজেলায় পাঁচ শতাধিকসহ মোট ৬ শতাধিক হাসপাতাল আছে। সেসব হাসপাতালের চিকিৎসকদের সাধারণ মানুষকে উন্নত চিকিৎসাসেবা দেওয়ার বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে।
দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা অতীতের তুলনায় উন্নত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চিকিৎসাসেবায় মানুষের ভরসার শেষ আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে বিএসএমএমইউ। এখানে কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট, লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট, ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্ট, টেস্টটিউব বেবির জন্মদান, জোড়া শিশু আলাদা করাসহ জটিল জটিল রোগের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজও চিকিৎসাসেবায় সুনাম অর্জন করেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যদিও গত ৫ বছর ডেঙ্গু মোকাবিলায়, করোনা মোকাবিলায় কেটে গেছে, তারপরও সামগ্রিক স্বাস্থ্যসেবাখাতের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। করোনা মোকাবিলায় অনেক উন্নত দেশকে পেছনে ফেলে এশিয়ায় প্রথম এবং বিশ্বে বাংলাদেশ ৫ম স্থান অধিকার করেছে।
বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু তার শাসন আমলের মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যেই প্রায় ৪০০ হেলথ কমপ্লেক্স চালু করেছিলেন। ১৯৭২ সালে এই প্রতিষ্ঠানে রক্ত পরিঞ্চালন কেন্দ্র চালুর সময় রক্ত নিয়ে গবেষণার কথা বলেছিলেন বঙ্গবন্ধু।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও গবেষণার ওপর বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় বিএসএমএমইউতে গবেষণা কার্যক্রম জোরদার হয়েছে। করোনা ভাইরাসের জেনোম সিকোয়েন্সিং, ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নির্ণায়ক অ্যান্টিবডি নির্ধারণ, বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যের মান ও ক্ষতিকর উপাদান চিহ্নিত করাসহ শত শত গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেও দেশে চিকিৎসা নিতে পছন্দ করেন। আমাদের লক্ষ্য হলো দেশের রোগীরা যাতে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে না যায়। সে লক্ষ্য পূরণে দেশেই সব ধরনের জটিল চিকিৎসা স্বল্প ব্যয়ে নিশ্চিত করার কাজ চলছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইমিরেটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শুধু স্বপ্নের কথা বলেন না, তিনি স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে জানেন।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিয়া, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. রনজিত কুমার সরকার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, নার্স, কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এএএম/জেডএইচ/এমএস
সর্বশেষ - জাতীয়
- ১ বৈষম্য অবসানে বিশ্বনেতাদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান ড. ইউনূসের
- ২ পাচার হওয়া সম্পদ ফেরাতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান
- ৩ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বহুমাত্রিক প্রয়োগে আগ্রহী বাংলাদেশ
- ৪ রোহিঙ্গা সংকট আমাদের নিরাপত্তার ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে
- ৫ জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের সবার অস্তিত্বের জন্য হুমকি: ড. ইউনূস