ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক আরও বিস্তৃত হবে, আশা ইয়াও ওয়েনের

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:৪৮ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩

বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক আরও বিস্তৃত এবং উচ্চতর স্তরে উন্নীত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকায় আয়োজিত চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক বিষয়ক এক সেমিনারে মূল প্রবন্ধে এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন চীনা রাষ্ট্রদূত। যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে চীনের সাংহাই ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ, বাংলাদেশের চায়না স্টাডিজ এবং উন্নয়ন অধ্যয়ন কেন্দ্র।

২০২৩ সালে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের অগ্রগতির তথ্য উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যৌথ নেতৃত্বে এবং নির্দেশনায় দুই দেশ পারস্পরিক কৌশলগত সহযোগিতা আরও উন্নত করেছে। আর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে, দক্ষ কর্মী ও সাংস্কৃতিক বিনিময় বেড়েছে এবং আন্তর্জাতিক ও বহুপাক্ষিক অঙ্গনে সহযোগিতা গভীর হয়েছে।’

এসময় চীনকে বাংলাদেশের উন্নয়নে বিশ্বস্ত সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করে চীন ও বাংলাদেশের সম্পর্ক বিস্তৃত পরিসরে প্রসারিত এবং উচ্চতর স্তরে উন্নীত করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন ইয়াও ওয়েন।

সেমিনারে বক্তব্য রাখেন সাংহাই ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক চেন তংসিয়াও, ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক লি কাইশেং, এসআইআইএস’র একাডেমিক অ্যাডভাইজার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইয়াং চিয়েমিয়ান, চায়না ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক রোং ইং, বাংলাদেশ উন্নয়ন অধ্যয়ন কেন্দ্রের সমন্বয়ক অধ্যাপক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেন এবং জেনেভায় জাতিসংঘ অফিস ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি শামীম আহসান। এসময় উপস্থিত ছিলেন চীনা দূতাবাসের কাউন্সেলর ইউয়ে লিওয়েন এবং দূতাবাসের পলিটিক্যাল ডিরেকটর চাং চিং।

সেমিনারে বক্তারা চীন-বাংলাদেশ সহযোগিতার কৌশলগত অংশীদারত্বের কথা উল্লেখ করেন। বিশেষ করে বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অর্জন হয়েছে বলে জানান। তারা বলেন, বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ও চীনের উচিত পারস্পরিক আস্থা আরও বাড়ানো এবং সহযোগিতা আরও গভীর করা। যাতে দুই দেশের উন্নয়নের প্রচার করা যায়, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা যায়। পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশগুলোর সাধারণ স্বার্থ রক্ষা করা যায়।

আইএইচআর/কেএসআর/এএসএম