সরাসরি হজযাত্রী পাঠাতে এজেন্সির সর্বনিম্ন কোটা জানালো সৌদি
আগামী তিন বছর বাংলাদেশি কোনো একটি হজ এজেন্সির সর্বনিম্ন কতজন হজযাত্রী থাকলে তাদের সরাসরি হজে পাঠাতে পারবে তা জানিয়েছে সৌদি আরব। সম্প্রতি সরাসরি হজযাত্রী পাঠাতে এজেন্সিগুলোর হজযাত্রীর সর্বনিম্ন কোটা জানিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে ঢাকার সৌদি দূতাবাস।
গত ২৯ নভেম্বর এ সিদ্ধান্ত হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এবং এজেন্সিগুলোকে জানিয়ে দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
সৌদি সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, হিজরি ১৪৪৫/২০২৪ সালের হজ মৌসুমে অনুমোদিত প্রতিটি হজ এজেন্সির সর্বনিম্ন ৫০০ জন হজযাত্রী থাকলে ওই এজেন্সি সৌদি আরবে সরাসরি হজযাত্রী পাঠাতে পারবে।
হিজরি ১৪৪৬/২০২৫ সালের হজ মৌসুমে প্রতিটি হজ এজেন্সির সর্বনিম্ন এক হাজার হজযাত্রী থাকলে ওই এজেন্সি সৌদি আরবে সরাসরি হজযাত্রী পাঠাতে পারবে। পরের বছর অর্থাৎ হিজরি ১৪৪৭/২০২৬ সালে সর্বনিম্ন দুই হাজার হজযাত্রী থাকতে হবে বলে চিঠিতে জানিয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় অনুমোদিত হজ এজেন্সির ২০২৪ সালে এবং পরবর্তী বছরগুলোতে হজযাত্রী পাঠানোর সর্বনিম্ন সংখ্যা বিষয়ে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ঢাকার রাজকীয় সৌদি দূতাবাস থেকে একটি চিঠি পাওয়া যায়। এতে ২০২৪ সালের হজে বাংলাদেশ থেকে সর্বোচ্চ ৫৬টি এজেন্সির মাধ্যমে হজযাত্রী পাঠানোর সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি জানানো হয়।
ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাঠিয়ে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে বাংলাদেশের এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রীর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য হজ এজেন্সির সংখ্যা বাড়াতে সৌদি সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। ওই চিঠিতে ২০২৩ সালের হজ কার্যক্রমে বাংলাদেশের ৬০৩টি হজ এজেন্সি অংশ নিয়েছিল বলে জানানো হয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, রাজকীয় সৌদি সরকারের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ড. তৌফিক বিন ফাওজান আল রাবিয়াহর গত ২২ থেকে ২৪ আগস্ট এবং পরবর্তীতে উপমন্ত্রীর পদমর্যাদাসম্পন্ন চার সদস্যের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে সফরে এলে তাদের কাছে বাংলাদেশ থেকে হজযাত্রী পাঠানো সব এজেন্সিকে হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। এছাড়া সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ে গত ১৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত এ সংক্রান্ত সভায় কাউন্সেলর (হজ) সৌদি সরকারের কাছে বাংলাদেশের সব হজ এজেন্সিকে ২০২৪ সালের হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
বাংলাদেশের সব হজ এজেন্সিকে হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের অনুমতি দিতে বাংলাদেশের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে পরে পৃথক এক চিঠিতে রাজকীয় সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ঢাকার রাজকীয় সৌদি দূতাবাস হজযাত্রী পাঠাতে সর্বনিম্ন কোটা অবহিত করে বলে জানায় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ১৬ জুন (১৪৪৫ হিজরি সালের ৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছরের মতো আগামী বছরও (২০২৪ সাল) বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এরমধ্যে সরকারি মাধ্যমের কোটা ১০ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি এজেন্সির কোটায় এক লাখ ১৭ হাজার জন হজ পালন করতে পারবেন বলে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
আগামী বছর (২০২৪ সাল) হজে যেতে সরকারি-বেসরকারি হজযাত্রীদের নিবন্ধন শুরু হয়েছে গত ১৫ নভেম্বর। আগামী ১০ ডিসেম্বর নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ হবে।
আরএমএম/এমকেআর/এমএস