কক্সবাজার এক্সপ্রেস
উৎসুক জনতা ও যাত্রীদের চাপে প্রথম দিনে ঢাকায় পৌঁছাতে বিলম্ব
ঢাকা-কক্সবাজার রুটে বাণিজ্যিকভাবে চালু হয়েছে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ ট্রেন। শুক্রবার থেকে প্রথমবারের মতো এ রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে ট্রেনটি রাত ৯টা ১০ মিনিটে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছানোর কথা থাকলেও সেটি পৌঁছায় রাত ৯টা ৩৮ মিনিটে। বহুল প্রতীক্ষিত এ রুটে প্রথমবারের ট্রেনযাত্রায় উৎসুক জনতা ও যাত্রীদের বাড়তি ভিড়ের কারণে এই বিলম্ব হয়েছে।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) রাত ১০টায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি পৌঁছানোর পর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান।
প্রথম দিনেই ট্রেনটি বিলম্বে ঢাকায় পৌঁছানোর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যথাসময়ে না পৌঁছানোর কারণ প্রথম দিনে মানুষের উৎসাহ ও চাপ ছিল স্টেশনে। ফলে প্রায় ৩০ মিনিট বিলম্ব হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রথম দিনে যাত্রীদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা রেলওয়ে ডিজির
ঢাকা-কক্সবাজার দীর্ঘ রুটে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ ট্রেনে প্রথম দিনেই বাসি খাবার পরিবেশন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেলওয়ের ডিজি বলেন, আজকে আমাদের প্রথম দিন। খাবারের ব্যাপারে যে সামান্য অভিযোগ আছে, পর্যাপ্ত খাবার ছিল না। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ক্যাটারিং সার্ভিসকে আমরা অবহিত করেছি। আগামীকাল থেকে ট্রেনে যেন মানসম্মত ও পর্যাপ্ত খাবার থাকে সে বিষয়টি নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়েছি।
কামরুল আহসান আরও বলেন, কক্সবাজার থেকে আমাদের প্রথম ট্রেনটি ঢাকায় এসেছে। ট্রেনটি ২০টি বগিতে ১ হাজার ১০ জন যাত্রী নিয়ে এসেছে। কক্সবাজার থেকে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে ছেড়ে নির্দিষ্ট সময়ের কিছুটা দেরিতে ট্রেনটি কমলাপুরে পৌঁছায়। ফিরতি যাত্রায়ও ট্রেনের আসন সংখ্যা অপরিবর্তিত থাকবে।
ফিরতি যাত্রায় রাত সাড়ে ১০টায় কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে যায় ট্রেনটি। প্রথম দিনের ফিরতি যাত্রা শুরুর আগে কক্সবাজারগামী যাত্রীদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল আহসান।
আরও পড়ুন: ট্রেনে কক্সবাজার থেকে ঢাকায় আসতে পেরে উচ্ছ্বসিত যাত্রীরা
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য স্টেশনে আমাদের রেলওয়ে পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনী রয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সবসময় নারী ক্ষমতায়নের ব্যাপারে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন এবং সেজন্য কাজ করেন। আমরাও এ লক্ষ্যে পরীক্ষামূলকভাবে ৯ জন নারী এটেন্ডেন্ট এই ট্রেনে সংযুক্ত করেছি। আশা করছি তারা যাত্রীদের ভালো সেবা দেবেন।
আরএসএম/এমকেআর