ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

২৮ অক্টোবরের পর গ্রেফতার-মামলা কমেছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:৪৪ পিএম, ২৩ নভেম্বর ২০২৩

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সহিংস ঘটনার পর সারাদেশে গ্রেফতার ও মামলার সংখ্যা কমেছে বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী। এর আগে ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

বাসে ও গাড়িতে আগুন দিন দিন বাড়ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দিন দিন বাড়ছে সেটা সঠিক নয়। এখন যেটা হচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনীকে করতে হয় না, দেশের জনগণই তাদের ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করছে। এটাই হলো সবচেয়ে বড় জিনিস। দেশের মানুষ এসব অগ্নিসন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াও পছন্দ করে না। সেজন্য তারা এসব অপরাধীকে ধরে পুলিশে দিচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমার কাছে তথ্য আছে পুলিশ ও জেলখানার পরিসংখ্যান রয়েছে। ২৮ অক্টোবরের আগে সারাদেশে প্রতিদিন দুই হাজারের কাছাকাছি বিভিন্ন অভিযোগে জেলখানায় যেতো, গ্রেফতার করা হতো। আবার দুই হাজারের কাছাকাছি রিলিজ হতো। আর ২৮ অক্টোবরের পরে এ সংখ্যা কমে আসছে। এখন গড়ে প্রতিদিন এক হাজার ৮১৬ জন জেলে যাচ্ছে। এর নানাবিধ কারণ হতে পারে। যারা ভুয়া সংবাদ দিচ্ছে যে, আমরা যাকে পাই তাকে ধরছি। সেটি কিন্তু সঠিক নয়।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মামলার ক্ষেত্রে ২৮ অক্টোবরের আগে সারাদেশে প্রতিদিন ৫৬৫টি মামলা হতো। ২৮ অক্টোবরের পরে এখন পর্যন্ত প্রতিদিন ৪৩৮টি মামলা হয়েছে। ১২৭টির মতো মামলা কমেছে। আমি আপনাদের ধারণাটা দিলাম, তারা যে বলছে রাজনৈতিক মামলায় যাকে পাচ্ছি বিএনপির নেতাদের ধরছি, মামলা করছি, এটা কিন্তু সঠিক নয়।’

গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ ডাকে বিএনপি। এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংস ঘটনা ঘটে। এরপর বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার করা হয়। দেশজুড়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করছে দলটি।

জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি জানতে চেয়েছিলেন, জাতিসংঘসহ অন্য বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তার জন্য আমরা কী পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা বলেছি, জনগণের নিরাপত্তা দেওয়াই আমাদের কাজ। পাশাপাশি, বিদেশি যারা আছেন, তাদের অগ্রাধিকার দিয়েই ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা এ-ও বলেছি, যদি আপনি (গোয়েন লুইস) মনে করেন, আপনার নিরাপত্তা আরও বাড়াতে হবে, তাহলে আমাদের জানালেই বিষয়টি বিবেচনা করবো।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তাকে বলেছি, বাংলাদেশে নির্বাচন একটি আনন্দঘন পরিবেশে হয়, সবখানে আপনি দেখবেন, যখন থেকে প্রচার-প্রচারণা শুরু হবে, তখন থেকে ঢাকঢোল পিটিয়ে মিছিল দেখতে পারবেন। এটা কেবল বাংলাদেশই নয়, পুরো উপমহাদেশেই এমনটি ঘটছে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তায় বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী সবসময় সজাগ থাকবে, যাতে কেউ কোনো রকম নাশকতা কিংবা ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে। বিদেশি কূটনীতিকরা মুক্তভাবে চলাচল করতে পারবে কি না, জানতে চাইলে আমরা বলেছি, যেখানেই যেতে চান, যেতে পারেন। যদি তিনি মনে করেন, সহযোগিতার দরকার আছে, আমরা সেটা করবো।

এরপর রোহিঙ্গাদের অভ্যন্তরীণ রক্তপাত নিয়ন্ত্রণে আমরা যে পুলিশি পদক্ষেপ নিয়েছি, তাতে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

আরএমএম/এমএএইচ/জিকেএস