ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

‘সরকার এখন রুটিন কাজ করবে, নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেবে না’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:৩১ পিএম, ১৬ নভেম্বর ২০২৩

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বর্তমান সরকার রুটিনকাজ চালিয়ে যাবে, কোনো নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেবে না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরের সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান মন্ত্রী।

আরও পড়ুন>> ডিসিদের রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দিলো ইসি, পরিপত্র জারি

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু বুধবার তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনী কাজ নির্বাচন কমিশন দায়িত্বশীলভাবে করবে। নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনের কাজে, যেসব সরকারি বিভাগ, সংস্থা বা অফিস তাদের প্রয়োজন হবে এবং নির্বাচন প্রভাবিত হবে না সেইসব কাজ করবে যে সরকার আছে সেই সরকার। এ সরকার রুটিনকাজগুলো করবে। এটাই গণতন্ত্রের মূল বক্তব্য যখন নির্বাচন আসে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এখন থেকে রুটিনকাজ করে যাবে। পলিসি ডিসিশন (নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত) নেওয়া হবে না, কারণ একটা নির্বাচন আছে। জনগণের কাছে আমাদের ম্যান্ডেট দেবো। পলিসি ডিসিশন হবে না নির্বাচন পর্যন্ত রুটিনকাজ করে যাবেন।’

সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকার বলে কিছু নেই জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, ব্যাপারটা হচ্ছে গণতন্ত্র সঠিকভাবে চালিত করার জন্য নির্বাচনকালীন যে সরকার থাকে তারা পলিসি ডিসিশন নেয় না যাতে একটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকে। তারা এমন কিছু করে না, যেটাতে সরকারকে জনগণ ভোট দেওয়ার জন্য, আকৃষ্ট করার জন্য কিছু করছে এরকম একটা ব্যাপার হয়।’

আরও পড়ুন>> জাতীয় নির্বাচন ৭ জানুয়ারি

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। ঠিক গণতান্ত্রিক উপায়ে পার্লামেন্টারি ডেমোক্রেসিতে শিডিউল ঘোষণার পর যেভাবে সরকার চালিত হবে, ঠিক সেভাবেই হবে’ বলেন আইনমন্ত্রী।

নীতি-নির্ধারণী কাজ বলতে কি আইন হবে না, বদলি হবে না, এমনটা বোঝাচ্ছে- জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আইন তো হবেই না, কারণ সংসদ বসবে না। কিন্তু এমন কথা আমি বলতে পারি না... এটা একটা স্বাধীন দেশ। যদি প্রয়োজন হয় অর্থাৎ অধ্যাদেশ দিয়ে আইন জারি করতে হবে কোনো বিশেষ প্রয়োজনে, অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কোনো পরিস্থিতিতে। আইন হবে না এমন কথা তো আমি বলতে পারি না।’

তিনি বলেন, ‘রুটিন কাজ হচ্ছে গতানুগতিক অফিস চলার জন্য যে কাজ। স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার বেতন পাওয়ার বিষয়, দৈনন্দিন কার্যক্রম- এসব কাজ বর্তমান সরকার করবে। উন্নয়নকাজ যেগুলো আছে সেগুলো চলমান থাকবে। নতুন করে কোনো উন্নয়নকাজ শুরু হবে না, নতুন করে কোনো প্রজেক্ট নেওয়া হবে না।’

এই মন্ত্রিসভায় টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীরা থাকবেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেই সিদ্ধান্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর।’

আরও পড়ুন>> জাতির উদ্দেশে ভাষণে যা বললেন সিইসি

এখন পুলিশ প্রশাসন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নাকি নির্বাচন কমিশন চালাবে- এ বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘পুলিশের ব্যাপারে যদি নির্বাচন কমিশনের কোনো বক্তব্য থাকে সেটা নির্বাচন কমিশন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানাবে। নির্বাচন কমিশন যা বলবে সেটা যদি যৌক্তিক হয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেটার ব্যবস্থা নেবে।’

নির্বাচন কমিশন কোনো পুলিশ কর্মকর্তাকে সরিয়ে দিতে বললে, সে বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কি ভাববার কোন বিষয় আছে- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আইনের আওতায় বলতে হবে সবকিছুই।’

বদলি বা পদোন্নতি এগুলো নির্বাচন কমিশনের আওতায় যাবে কি না- এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সেটা নির্বাচন কমিশন নেবেন কি না সেটাও তাদের ব্যাপার। সেটা আমি বলে দিতে পারবো না।’

আরএমএম/এমএএইচ/জিকেএস