ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

কানাডাগামী ৪৫ যাত্রীকে বিমানবন্দর থেকে ফেরতের ব্যাখ্যা দিল বিমান

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:০৮ পিএম, ১৪ নভেম্বর ২০২৩

পর্যটক ভিসায় কানাডা যাওয়ার উদ্দেশ্যে সিলেট থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান ৪৫ যাত্রী। কিন্তু তথ্যগত জটিলতার কারণ দেখিয়ে তাদের বিমানবন্দর থেকে ফেরত দেওয়া হয়। টরেন্টোগামী বিমানে সেই ৪৫ যাত্রীর অফলোডের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। গত ৭ নভেম্বরের এ ঘটনাটি গত রোববার (১২ নভেম্বর) জানাজানি হয়।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিমান বাংলাদেশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ৬ নভেম্বর রাত ৮টা ২৫ মিনিটে বিমানের ফ্লাইট বিজি৬০৬ যোগে সিলেট থেকে ৭৪ জন যাত্রী ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন বিমানের টরেন্টোগামী ফ্লাইটের (বিজি৩০৫/৭নভেম্বর) যাত্রী।

সেখানে বলা হয়, বিমানের সিলেট স্টেশনের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা যাত্রীদের ভ্রমণ সংক্রান্ত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখতে পান ৪৫ জন যাত্রী একই ব্যক্তির আমন্ত্রণপত্রের মাধ্যমে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কানাডা যাচ্ছেন। তাৎক্ষণিকভাবে ডকুমেন্টসমূহ পর্যালোচনা করে সন্দেহ হওয়ায় সিলেট স্টেশন থেকে তাদের ডকুমেন্ট ঢাকাস্থ পাসপোর্ট কন্ট্রোল ইউনিটে (পিসিইউ) পাঠানো হয়। ওই ইউনিট ডকুমেন্টসমূহ যাচাই-বাছাইয়ের জন্য দিল্লিস্থ কানাডা বর্ডার সার্ভিস এজেন্সির (সিবিএসএ) কাছে পাঠালে প্রথমে তারা জানায় সিবিএসএ-এর সিস্টেমে তালিকায় যাত্রীর তথ্য সঠিক রয়েছে। ফলে সিলেট থেকে যাত্রীদের বোর্ডিং কার্ড ইস্যু করা হয় এবং তারা ঢাকায় পৌঁছান।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এরই মধ্যে সিবিএসএ থেকে আবার জানানো হয় যাত্রীদের আমন্ত্রণপত্রের তথ্যের সঙ্গে থাকার (আবাসন) বিষয়ে সিস্টেমে গরমিল রয়েছে। তাদের আমন্ত্রণপত্রে হোটেলে থাকার কথা উল্লেখ থাকলেও যাত্রীদের কাছে রেন্টেড হাউজের ডকুমেন্ট পাওয়া যায়। কানাডিয়ান আইন অনুযায়ী একটি রেন্টেড হাউজে ৪৫ জন যাত্রী থাকার কোনো নিয়ম নেই এবং তা ফায়ার কোড ভায়োলেশন বলে বার্তায় উল্লেখ করা হয়। যাত্রীদের ডকুমেন্টসমূহ ও কানাডা বর্ডার সার্ভিস এজেন্সির বার্তা পর্যালোচনা এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শক্রমে ৪৫ জন যাত্রীকে ৭ নভেম্বর টরেন্টো ফ্লাইট থেকে অফলোড করা হয়।

বিমান বাংলাদেশ জানায়, ঢাকাস্থ পাসপোর্ট কন্ট্রোল ইউনিটের (পিসিইউ) মাধ্যমে ওই যাত্রীদের তথ্য সিবিএসএর কাছে পাঠানো হয়েছে। সিবিএসএর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উল্লিখিত যাত্রীদের ভিসা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। কানাডিয়ান ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের পর সংশ্লিষ্ট যাত্রীদের ই-মেইলে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যাত্রীদের হোটেল অফার করা হলে তারা হোটেলে যেতে অপারগতা প্রকাশ করেন। টরেন্টো ফ্লাইটে না পাঠানোর বিষয়টি বুঝিয়ে বলা হলে তারা বিষয়টি অনুধাবন করেন। পরবর্তীসময়ে ইমিগ্রেশন থেকে তাদের বহির্গমন সিল বাতিল করে ব্যাগেজ বুঝিয়ে দেওয়া হয় এবং তারা নিজেদের মতো বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।

বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, কোনো যাত্রীর কাছে যথাযথ ডকুমেন্ট না থাকলে বা এ ধরনের ভায়োলেশনের জন্য কানাডিয়ান কর্তৃপক্ষ যাত্রীপ্রতি সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সকে ৩২০০ থেকে ২০ হাজার কানাডিয়ান ডলার পর্যন্ত জরিমানা করতে পারে।

এমএমএ/এমকেআর/এএসএম