ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

স্বল্পমেয়াদি প্যাকেজ চালু ও ইন্টারনেটের মূল্য সহনীয় করার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:০০ পিএম, ০৯ নভেম্বর ২০২৩

স্বল্পমেয়াদি সব প্যাকেজ পুনর্বহাল করে ইন্টারনেটের মূল্য আগের চেয়ে কমাতে হবে। ইন্টারনেটের মূল্যের ওপর অতিরিক্ত করের বোঝা কমিয়ে সহনীয় করতে হবে। প্যাকেজের সংখ্যা নিয়ে গ্রাহক বিভ্রান্তি বন্ধ করা ও গ্রাহকের পছন্দের প্যাকেজের ওপর সীমা তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান।

এসময় লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, স্বল্পমেয়াদি প্যাকেজ বাতিলের সিদ্ধান্তের পর ইন্টারনেটের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বর্তমানে তৈরি হয়েছে তার আগেই সরকার এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিকে সতর্ক করা হয়েছিল। নতুন নির্দেশনা কার্যকর করার আগে প্রায় ৭০ শতাংশ গ্রাহক ৩ দিন বা তার কম মেয়াদের প্যাকেজ ব্যবহার করতেন। সেই গ্রাহকেরা এখন বাধ্য হয়ে ৭ দিন মেয়াদের প্যাকেজ ব্যবহার করছেন।

তিনি বলেন, তিনদিনের মতো স্বল্প মেয়াদের প্যাকেজ বাতিল হলে যে ইন্টানেটের মূল্য বেড়ে যাবে সে বিষয়টি মোবাইল অপারেটররা বিটিআরসিকে জানিয়েছিল। কিন্ত তারা আমলে নেয়নি। গ্রাহকদের জন্য প্যাকেজ সংখ্যা ৪০ এ নামিয়ে আনার কারণেও সার্বিকভাবে ইন্টারনেটের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে একদিকে গ্রাহকের প্যাকেজ বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা ক্ষুন্ন করা হয়েছে, অন্যদিকে এর মাধ্যমে অপারেটরদের মূল্য বৃদ্ধি করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। প্যাকেজ বাতিলের কারণে গ্রাহকের ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন সিদ্ধান্তের কারণে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

বিটিআরসির ট্যারিফ অনুমোদন ব্যতীত বাজারে কোনো ইন্টারনেট প্যাকেজ ছাড়তে পারেন না অপারেটররা। তিন দিনের মতো স্বল্পমেয়াদি প্যাকেজগুলো বাতিলের পর এখন যে সব প্যাকেজ বাজারে চালু আছে সেগুলোও একইভাবে বিটিআরসির অনুমোদন পেয়েছে। নতুন নির্দেশনা প্রমাণ করে মন্ত্রণালয় এবং বিটিআরসির মধ্যে ন্যূনতম সমন্বয় নেই। মূল্যবৃদ্ধির এ দায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী কোনভাবেই এড়াতে পারেন না।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, যেকোন একদিক বিবেচনায় আপনারা প্যাকেজ করেন। আমরা এমবি কিনব সেখানে নির্দিষ্টি লিমিট দিবেন, আবার নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিবেন এটা হবেনা। দাম যদি কমানো সম্ভব না হয় তাহলে আনলিমিটেড সময় দিতে হবে। আর যদি নির্দিষ্টসময় বেঁধে দেন তাহলে আনলিমিটেড এমবি দিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ। আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের ফেলো অধ্যাপক ড. এ.কে.এম রিয়াজুল হাসান, বাসদের সাধারণ সম্পাদক কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন, ভোক্তা সংগঠক ও বাজার বিশ্লেষক কাজী আব্দুল হান্নান, কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট সাহেদা বেগম।

আরএ/এসটি/জিকেএস