ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

বঙ্গবন্ধু টানেল পার হলেন প্রধানমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২:১৬ পিএম, ২৮ অক্টোবর ২০২৩

চট্টগ্রামের কর্নফুলী নদীর তলদেশে বহুল প্রত্যাশিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’র উদ্বোধনের পর পার হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর পশ্চিম তীরে একটি ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এ টানেল উদ্বোধন করেন। টানেলটি ২৯ অক্টোবর থেকে যানবাহনের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

এর মধ্য দিয়ে আরেক ধাপ এগুলো বাংলাদেশ। দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী এবং বন্দর নগরীর কোটি বাসিন্দার স্বপ্ন সত্যি হলো। টানেলের যুগে প্রবেশ করলো উন্নয়নের মহাসড়েকের অভিযাত্রী বাংলাদেশ। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম টানেল বাংলাদেশকে বিশ্বে একটি নতুন উচ্চতায় উন্নীত করেছে।

আরও পড়ুন> বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকল্প পরিচালক মো. হারুনুর রশীদ চৌধুরী বলেন, টানেলটি চট্টগ্রাম নগরীকে চীনের সাংহাই নগরীর মতো ‘দুটি শহরকে একটি নগরীতে’ পরিণত করবে এবং এটি দেশের অর্থনীতিকে চাঙা করবে। শিল্পায়নের অপার সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচন এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটাবে এবং নগরীর পরিধিকে প্রসারিত করার মাধ্যমে সমগ্র অঞ্চলে সড়ক যোগাযোগের উন্নয়ন ঘটাবে।

বঙ্গবন্ধু টানেল পার হলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকল্পের বিবরণ অনুসারে, ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পের প্রায় অর্ধেক চীনের এক্সিম ব্যাংক অর্থায়ন করেছে। টানেলের পুরো রুটের দৈর্ঘ্য হলো ৯.৩৯ কিলোমিটার (৫.৮৩ মাইল), সুড়ঙ্গটির দৈর্ঘ্য ৩.৩২ কিলোমিটার (২.০৬ মাইল) ও এর ব্যাস ১০.৮০ মিটার (৩৫.৪ ফুট)। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের নেটওয়ার্ক উন্নততর হবে। চীনের কোম্পানি চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি এটি নির্মাণ করেছে।

আরও পড়ুন> কর্ণফুলী টানেল: যোগাযোগে নতুন দিগন্ত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ২০১৭ সালের ১৪ অক্টোবর কর্ণফুলী টানেলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা টানেলটির বোরিং ফেজও উদ্বোধন করেন।

টানেলটি চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মধ্যে সড়ক পথের দূরত্ব কমিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বন্দরনগরীতে প্রবেশ করে চট্টগ্রাম বিভাগের অন্যান্য অংশে যেতে সুবিধা করে দেবে। এটি চট্টগ্রাম বন্দর ও আনোয়ারা উপজেলাকে সংযুক্ত করেছে এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মধ্যে যোগাযোগ সহজতর করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে কর্ণফুলী নদীর ওপর দুটি সেতুর যানজটও কমে আসবে।

এর আগে ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতিদিন ১৭ হাজার ২৬০টি যানবাহন টানেলটি ব্যবহার করতে পারবে, যা বছরে প্রায় ৭.৬ মিলিয়ন যানবাহনের সমান। টানেলটি দেশের বার্ষিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি ০.১৬৬ শতাংশ বাড়াতে সহায়তা করবে।

এসইউজে/এসএনআর/জেআইএম