ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

আইনমন্ত্রী

ক্ষুদ্রঋণে ২০-৪০ শতাংশ সুদ নিয়ে নোবেল পুরস্কার পাওয়া যায়

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:৫৩ পিএম, ২৬ অক্টোবর ২০২৩

গাছ, মাছ, গবাদিপশু, সোনা, রুপা, গাড়ি, আসবাবপত্রের মতো অস্থাবর সম্পত্তি জামানত রেখে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেওয়ার বিধান রেখে ‘সুরক্ষিত লেনদেন (অস্থাবর সম্পত্তি) বিল-২০২৩’ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের পক্ষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিলটি পাসের জন্য সংসদে তোলেন। পরে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়। বিদ্যমান ব্যবস্থায় শুধু স্থাবর সম্পত্তি (বাড়ি, জমি) জামানত রেখে ঋণ নেওয়া যায়। আইনটি কার্যকর হলে অস্থাবর সম্পত্তি জামানত রেখেও ঋণ নেওয়া যাবে।

বিলটির কঠোর সমালোচনা করেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা। তারা বলেন, অস্থাবর সম্পত্তি দিয়ে লুটপাটের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আইনটি নিয়ে আসা হয়েছে। স্থাবর সম্পত্তি দিয়ে ঋণ নিয়ে খেলাপি হওয়া ঋণগ্রহণকারীরাই অস্থাবর সম্পত্তি দিয়ে ঋণ নেবেন। আইনটির মাধ্যমে নতুন করে লুটপাটের সুযোগ করে দেওয়া হবে।

বিরোধী দলের সদস্যদের সমালোচনার জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ঋণ খেলাপি শুধু এখন হয় নাই। এর ইতিহাস বলতে গেলে সারারাত চলে যাবে। ঋণ খেলাপি শুধু বাংলাদেশেই নেই। সারা পৃথিবীতে আছে। যেখানে ঋণ দেওয়া হয়, সেখানে কিছু না কিছু ঋণ খেলাপি থাকে। যদি এমন হতো, ঋণ খেলাপির কালচার বন্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি, তাহলে উনারা বলতে পারতেন। ঋণ সুরক্ষিত ও উদ্ধারের জন্য সরকার উদ্যোগ নেয়।

আইনমন্ত্রী বলেন, মহাজন ও এনজিওদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে ঘটি-বাটি, বাড়ি-ঘর, শাড়ি এবং শেষ পর্যন্ত আর কী দিতে হয় সেটা আর বললাম না। এ রকম অবস্থা যেন না হয় সেজন্য সরকার উদ্যোগ নিয়েছে।

নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূসের প্রতি ইঙ্গিত করে আইনমন্ত্রী বলেন, ক্ষুদ্রঋণে ২০-৪০ শতাংশ সুদ নিয়ে নোবেল পুরস্কার পাওয়া যায়, কিন্তু মানুষের উন্নয়ন করা যায় না, মানুষের ক্ষতি হয়। এটার জন্য আইনটি করা হচ্ছে।

আইএইচআর/এমএইচআর/জেআইএম