ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়

আমরা ঘরপোড়া গরুর মতো, অতীতের ভয় থেকে ইসিতে এসেছি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:৩৫ পিএম, ১৭ অক্টোবর ২০২৩

কোনো আতঙ্কে ভুগছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে সম্প্রীতি বাংলাদেশের সভাপতি নাট্যকার পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, আমরা ঘরপোড়া গরুর মতো, অতীতের ভয় থেকে ইসিতে এসেছি। সাবধানের কোনো মার নেই।

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীরা যাতে অংশ নিতে না পারে, সে উদ্যোগ নিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছে সম্প্রীতি বাংলাদেশ নামের সামাজিক সংগঠন। একই সঙ্গে তারা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বানও জানিয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এমন চারটি দাবি উত্থাপন করেন সংগঠনটির নেতারা। লিখিত দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, ধর্মভিত্তিক প্রচারণা এবং তার ফলে সৃষ্ট পরিকল্পিত সাম্প্রদায়িক প্ররোচনা বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী এবং একাত্তরের পরাজিত শক্তি যাতে আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারে সে ব্যাপারে কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ, ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং শান্তিপ্রিয় নির্বাচনমুখী সাধারণ ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল চিহ্নিত করে নির্বাচনপূর্ব, নির্বাচনকালীন এবং নির্বাচনোত্তর সহিংসতা রোধে পর্যাপ্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।

আরও পড়ুন> হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট/ক্ষমতাসীনরা পূজায় হামলা করে অন্যদের ওপর দোষ চাপাতে পারে

বৈঠক শেষে পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, জাতীয় নির্বাচন এলেই সংখ্যালঘু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যারা বিশ্বাস করে, তাদের কপালে ভাঁজ পড়ে। আমরা এটা আর দেখতে চাই না। ইসিকে বলেছি শক্তভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। সম্প্রীতি বাংলাদেশের মতো অরাজনৈতিক সংগঠনগুলো সহায়তা করবে। ইসি সহমত পোষণ করেছে। ২০০১ সালের মতো ব্ল্যাক অক্টোবর আর বাংলাদেশে দেখতে চাই না। যে ভয়াবহতা, নৃশংসতা, যে অত্যাচার প্রায় ৭১ সালকে মনে করিয়ে দেয়। সে জিনিসগুলো আমরা বাংলাদেশ থেকে চিরতরে সরিয়ে দিতে চাই। যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে তাদের সরকারে এবং কোনো আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ায় দেখতে চাই না।

তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কোনো কাজ যদি তারা করেন আমরা সহযোগিতা দেববো। ২০০১ সালে আমরা সারাদেশ ঘুরে নির্যাতন, পাশবিকতার চিহ্ন দেখেছি, বর্বরতার চিহ্ন দেখেছি। সেটা যেন আর না হয়। আমরা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। আমরা চাই এদেশে বৃহত্তর জনগোষ্ঠী নির্বাচনমুখী হোক এবং এবারের ভোটারদের মধ্যে তরুণরা বেশি। তাদের আমরা নির্বাচনমুখী করতে বলেছি। এ জন্য কেবল ইসি নয়, দলগুলোরও ভূমিকা রয়েছে। সামাজিক সংগঠন, মিডিয়ার ভূমিকাও ফেলে দেওয়া যায় না। ভোটের উৎসব যদি তরুণদের মধ্যে ফিরিয়ে আনতে পারি তবে অচিরেই আমরা একটি খোলসমুক্ত নির্বাচন প্রক্রিয়া পাবো।

ইসির সঙ্গে বৈঠকে সম্প্রীতি বাংলাদেশের ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। ইসির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনাররা এবং ইসি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এমওএস/এসএনআর/জেআইএম