ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

চার প্রবাসীর সোনা চুরির বিষয়ে যা জানালো বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১১:৫৬ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০২৩

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চার যাত্রীর কাছ থেকে সোনাসহ মালামাল ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) রাতে বিমানবন্দরে নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম এই প্রতিবেদকের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে লিখিতভাবে জানান, ১৫ অক্টোবর আনুমানিক সন্ধ্যা ছয়টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সিঙ্গাপুর হতে ফ্লাইট (বিজি-৫৮৫) অবতরণ করে। বেল্ট থেকে লাগেজ সংগ্রহের পরে চারজন যাত্রীর মূল্যবান সামগ্রী লাগেজ থেকে খোয়া গেলে তারা অভিযোগ করেন।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়। তবে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই বিভ্রান্ত হয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

আরও পড়ুন: শাহজালালে প্রবাসীর সোনা চুরির অভিযোগ, ভিডিও ভাইরাল

কামরুল ইসলাম জানান, মূলত সিঙ্গাপুর বিমানবন্দরে নিয়মমাফিক চেকিং কাউন্টার, ইমিগ্রেশন ও নিরাপত্তা তল্লাশিতে এই চারজন যাত্রী থেকে পাঁচটি লাগেজ বহন করছিলেন। পরে বিমানে ওঠার আগ মুহূর্তে লাগেজ পাঁচটির সাইজ বড় ও ওভারওয়েট হওয়ায় তা কেবিন লাগেজ থেকে হোল্ড লাগেজে স্থানান্তরের জন্য যাত্রীদের জানানো হয়। এরপর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পরে লাগেজ খোলা অবস্থায় পাওয়া গেছে মর্মে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সদস্যরা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে জানায়।

এছাড়া র‍্যাম্প সিকিউরিটি সদস্যরা বিমান অবতরণের পরে লাগেজ খোলা অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে জানায়। পরে যাত্রীরা লিখিত অভিযোগ করেন এবং এই লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সিঙ্গাপুর বিমানবন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরেও বিষয়টি নিখুঁতভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সের কাছ থেকেও তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক জানান, যাত্রীদের আন্তর্জাতিক মানের যাত্রীসেবা দিতে সর্বদা সচেষ্ট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। আমাদের যাত্রীদের কাছে সঠিক ও গঠনমূলক তথ্য দ্রুততম পৌঁছে দেওয়ার জন্য এবং দেশের বিমান চলাচল ও পর্যটন খাতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার জন্য প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রিক মিডিয়াকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

এমএমএ/এমআরএম