ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ভারতের ভিসা সমস্যা সাময়িক, শিগগির স্বাভাবিক হয়ে যাবে

আসিফ আজিজ | নয়াদিল্লি থেকে | প্রকাশিত: ০২:৩৭ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০২৩

ভারতের আসতে বাংলাদেশিদের ভিসা নিয়ে যে সমস্যা হচ্ছে তা শিগগির স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (বাংলাদেশ-মিয়ানমার বিভাগ) স্মিতা পান্ত।

জাগো নিউজের এক প্রশ্নের জবাবে একথা জানান তিনি। সোমবার (১৬ অক্টোবর) ভারত সফররত বাংলাদেশের সাংবাদিক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

স্মিতা বলেন, গত বছর ভারত ১৬ লাখ বাংলাদেশির ভিসা ইস্যু করেছে। সম্প্রতি ভিসা নিয়ে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে তা সাময়িক। শিগগির এটা স্বাভাবিক হয়ে যাবে। আপনারা ভ্রমণ করলে ভারতই লাভবান হয়। সুতরাং এ সমস্যা কেটে যাবে।

তিনি আরও বলেন, গত ৭-৮ বছর নতুন মাত্রায় এগোচ্ছে। হয়তো কখনো একটু ধীর, কখনো দ্রুত গতিতে এগিয়েছে, কিন্তু এগিয়েছে। উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ৪৬টি প্রকল্প চলমান। এছাড়া ৬৪টি ক্ষুদ্র বিনিয়োগও আছে।

দুই দেশের যোগাযোগ খাতে ভারত বেশকিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে এবং করছে। চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেল যোগাযোগ, ত্রিপুরার সঙ্গে রেল ও নদীপথের যোগাযোগ উল্লেখযোগ্য। সবশেষ দুই বছর উন্নয়ন খাতে ভারত অনেক কাজ করেছে। ট্রানজিট ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে বাণিজ্য ও রপ্তানির সুযোগ দিচ্ছে ভারত। রপ্তানিকারকরা এতে লাভবান হচ্ছেন।

তিনি বলেন, দুই দেশের জনগণের সস্পর্ক কীভাবে আরও সহজ করা যায় সেটা নিয়েও কাজ করছে ভারত। ভারতে আসার জন্য এখন ডলার আনার দরকার নেই। টাকা-রুপি কার্ড চালু হয়ে গেলে ভ্রমণকারীরা ক্যাশলেস লেনদেন করতে পারবেন। ইউপে'র মাধ্যমে ভারতে সব ধরনের খরচ করতে পারবে।

ভারত এখন নিত্যনতুন উদ্ভাবন, সবুজ জ্বালানি, প্রযুক্তি প্রভৃতি দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বলেও জানান তিনি। এ সময় বাংলাদেশিদের জন্য ভারত আরও বেশি স্কলারশিপ ভবিষ্যতে বাড়াবে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ যুগ্ম সচিব বলেন, বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে এখন উন্নয়ন হচ্ছে এবং বাংলাদেশ সেখানেও বিনিয়োগ করছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কের সীমারেখা আকাশও নয় নিরাপত্তা ইস্যুতে, কানেক্টটিভি এবং উন্নয়ন সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ। কোভিড প্যানডেমিককালেও বাংলাদেশে ভারতের উন্নয়ন সহায়তা কার্যক্রম থেমে থাকেনি। তৃতীয় দেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ভারতের কলকাতা ও দিল্লি বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারছেন।

ভারতের ভিসা সমস্যা সাময়িক, শিগগির স্বাভাবিক হয়ে যাবে

আসন্ন নির্বাচন এবং এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর তৎপরতা ও এ প্রেক্ষাপটে ভারতের ভূমিকা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত সচিব অরিন্দম বাগচি বলেন, বাংলাদেশের বিষয়ে সেদেশের জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা চাই, সেখানে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকুক।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের সম্পর্ক বাংলাদেশের সঙ্গে, সেদেশের জনগণের সঙ্গে। কোনো নির্দিষ্ট দলের সঙ্গে নয়।

ব্রিকসে বাংলাদেশের সদস্যপদ না পাওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের বিরোধিতা ছিল বলে ছড়ানো তথ্যকে নাকচ করে দিয়ে স্মিতা পান্ত বলেন, যারা এসব তথ্য ছড়ায় তারা ব্রিকসের সম্প্রসারণ প্রক্রিয়া জানে না। ভারত সুযোগ পেলেই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে চায়। তারই অংশ হিসেবে নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশকে বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারত।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারতের সংবিধানে এমন কিছু নেই, ভারতে এমন কিছু হয় না। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সংবিধানে যা বলা আছে, হয়তো সেটাই হবে।

মতবিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী, যুগ্ম-সচিব (বাংলাদেশ-মিয়ানমার বিভাগ) স্মিতা পান্ত, পরিচালক (বাংলাদেশ-মিয়ানমার বিভাগ) নবনীতা চক্রবর্তী প্রমুখ।

এএসএ/জেআইএম