‘কমোডের ফ্লাশে প্রতি বাড়িতে ৫০-৮০ লিটার পানি অপচয়’
টয়লেটের ফ্লাশ ব্যবস্থাপনা আধুনিক ও পানি সাশ্রয়ী করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক (ডিজি) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরে বাসাবাড়িতে কমোডের ফ্লাশ ব্যবহারে প্রতি বাড়িতে দৈনিক ৫০-৮০ লিটার পানি অপচয় হয়। এমনকি ঢাকার বাইরের অনেক শহরেও ফ্লাশে পানির চরম অপচয় হচ্ছে। এভাবে তো চলতে পারে না। টয়লেটের ফ্লাশ ব্যবস্থাপনা আধুনিক করতে হবে। পানি সাশ্রয় হয় এমন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে কাজ করতে হবে।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে ‘পানি সম্পদের নৈতিক ও বিজ্ঞানসম্মত ব্যবহার’ শীর্ষক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী বলেন, নাগরিকরা পানি ব্যবহারে নৈতিক নয় বিধায় ভবন পরিষ্কার কাজে ও গাড়ি ধোয়ার কাজে বিপুল পরিমাণ পানি নষ্ট হয়। অর্থ ব্যয়ে উত্তোলিত কোটি কোটি লিটার পানির অপচয় রোধে আইনের কঠোর প্রয়োগ দরকার। তা না হলে ওয়াসার পানি ব্যবস্থাপনা আরও হুমকিতে পড়বে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মাদ বদরুল আলম। তিনি ওয়াসার পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ও চলমান প্রকল্পসমূহের সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন।
অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব নায়লা আহমেদ ও পরিকল্পনা বিভাগের যুগ্ম-সচিব) খোরশেদ আলম প্রমুখ।
সাভারে বাংলাদেশ লোক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ১০৯তম সিনিয়র স্টাফ কোর্সে অংশগ্রহণকারী ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের একটি টিম মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর পরিদর্শনে আসে। তাদের নিয়ে এ সেমিনার আয়োজন করা হয়। তিনজন সামরিক ও ১৭ জন বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা (যুগ্মসচিব পদমর্যাদা) এ সেমিনারে অংশ নেন।
সেমিনার শেষে অংশগ্রহণকারী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের প্রদর্শনীবস্তু পরিদর্শন ও চতুর্মাত্রিক দিক উপভোগ করেন।
এএএইচ/এমকেআর/এএসএম