ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

বিএনপি এখন পুরোনো গাড়ি, ব্যাটারি বসে গেছে: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:০০ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বিএনপি এখন পুরোনো গাড়ি, তাদের ব্যাটারি বসে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘তাদের দল পুরোনো গাড়ির মতো বসে গেছে। ব্যাটারি যাতে ডাউন না হয় সে কারণে নানা কর্মসূচি দিচ্ছে তারা। কিন্তু, পুরোনো গাড়ি যতই স্টার্ট দেন, তার ব্যাটারি যতই চার্জ দেন, চলতে গিয়ে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। বিএনপিও কয়েকদিন পর পুরনো গাড়ির মতো হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাবে। তারা আন্দোলন সামনের দিকে নিয়ে যেতে পারবে না।’

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

জাতীয় সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, সংসদ সদস্য নূরুল আমিন রুহুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুনসহ অন্যান্য নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেন।

এসময় হাছান বলেন, ‘আপনারা জানেন বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে, আগামী নির্বাচন ভন্ডুল করার উদ্দেশ্যে বিএনপি দেশে নানা কর্মসূচি ঘোষণা করে যাচ্ছে। সরকারি দল হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দায়িত্ব রয়েছে দেশে যাতে কেউ শান্তি-শৃঙ্খলা, জনজীবনে নিরাপত্তা বিনষ্ট করতে না পারে। সে কারণেই শান্তি সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে, কোনো কর্মসূচি হিসেবে নয়।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ডিসেম্বর মাসে বলেছিল নয়াপল্টনের সামনেই সমাবেশ হবে এবং সেখান থেকে কোনো অবস্থাতেই যাবে না। শেষ পর্যন্ত কোথায় গেলো-গরুর হাটে তারা গেলো। গরুর হাটে গিয়ে আন্দোলন মাঠে মারা গেলো। এরপর বিভিন্ন সময় বলেছে-সরকারকে ২৪ ঘণ্টা দিলাম, ৪৮ ঘণ্টা আল্টিমেটাম দিলাম। আলটিমেটাম দিয়ে দেখা গেলো বিএনপির নিজেদেরই দম ফুরিয়ে গেছে। তাদের সমাবেশে আগের মতো আর মানুষ হয় না। আর ভিসানীতি নিয়েও তাদের এত পুলকিত হওয়ার কিছু নেই।

গণমাধ্যমের ওপরও যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি প্রয়োগ করা হবে-এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আমি কাগজে এটি দেখলাম। আমাদের গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে, অবাধে কাজ করছে। শুধু তাই নয়, আমাদের গণমাধ্যম যে পরিমাণ ‘ভাইব্রেন্ট’, পৃথিবীর বহু উন্নয়নশীল দেশে তা নয়।

সুতরাং গণমাধ্যমের ওপর ভিসানীতি প্রয়োগের কথা শুনে আমি আশ্চর্য হয়েছি। আমি মনে করি, কারো অন্য দেশের গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করা সমীচীন নয়। অন্য কোনো দেশ আমাদের গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা সমীচীন নয়।

আইএইচআর/এমআইএইচএস/এমএস