ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

এমবিবিএস ডিগ্রি নেই, ১৬ বছর ধরে ভুয়া চিকিৎসা দিচ্ছিলেন খোরশেদ

নিজস্ব প্রতিবেদক | চট্টগ্রাম | প্রকাশিত: ১০:৫৬ এএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

এমবিবিএস ডিগ্রি নেই, নেই রেজিস্ট্রেশন। তারপরও ১৬ বছর ধরে নিউরোলজি বিশেষজ্ঞ হিসেবে ভুয়া চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন চট্টগ্রামের মোহাম্মদ খেরশেদ আলম (৪৫)। এ অপরাধে তাকে দুই মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে চকবাজার থানাধীন প্যারেড কর্নারের এক আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

স্ট্রোক আক্রান্ত এক বৃদ্ধাকে চিকিৎসা দেওয়ার সময় তাকে হাতেনাতে আটক করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. মহিউদ্দিন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন। ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই ভুয়া চিকিৎসককে দুই মাসের কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

দণ্ড পাওয়া খোরশেদ কক্সবাজারের রামু উপজেলার বাসিন্দা। তিনি চট্টগ্রাম মহানগরীর সরাইপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। ২০০৭ সাল থেকে ভুয়া চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন খোরশেদ। ২০০৭ ও ২০১১ সালেও একই অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আটক খোরশেধ আলম প্রকৃতপক্ষে কোনো নিবন্ধিত কিংবা রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত চিকিৎসক নন। অথচ এমবিবিএস (ডিএমসি), এফসিপিএস (মেডিসিন), এমডি (নিউরোলজি), ফেলো ইটারনেশনাল নিউরোলজি- এসব ডিগ্রি উল্লেখ করে ব্যবস্থাপত্রের প্যাড ছাপিয়ে রোগীদের চিকিৎসাসেবার নামে ২০০৭ সাল থেকে প্রতারণা করে আসছেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে এক রোগীকে চিকিৎসা দিতে গেলে রোগীর স্বজনদের সন্দেহ হয়। তার প্রেসক্রিপশনে সন্দেহ হলে রোগীর ছেলে উনার পরিচিত এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে বিষয়টি অবহিত করেন। ওই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক খোরশেধকে ভুয়া হিসেবে চিহ্নিত করেন। এরপর খবর পেয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পলিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. মহিউদ্দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত তন। এরপর আসেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০ অনুযায়ী কোনো মেডিকেল ডিগ্রি ছাড়া এবং রেজিস্ট্রেশন ছাড়া চিকিৎসা প্রদানের অপরাধে খোরশেদকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং দুই মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মহিউদ্দীন বলেন, তার কোনো ডিগ্রি নেই, এমবিবিএসও পাস করেনি। তিনি কখনো এসএসসি পাস. কখনো এইচএসসি পাস দাবি করেন। এর আগে বিগত কয়েক বছর ধরে তাকে ধরতে আমরা একাধিক স্থানে যাই। কিন্তু আমাদের আসার আগেই সে পালিয়ে যেতো। এবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে আমরা তাতে হাতেনাতে ধরেছি।

ইকবাল হোসেন/বিএ/এমএস