ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নারীর জেল

প্রকাশিত: ০১:৪৫ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০১৪

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে পোস্টের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদে উৎসাহিত করার অভিযোগে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক ব্রিটিশ নারীকে পাঁচ বছর তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে যুক্তরাজ্যের একটি আদালত। বৃহস্পতিবার কিংস্টন ক্রাউন কোর্ট এ সাজা দেয়।

লুটনের বাসিন্দা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নারী রুনা খান ২০১৩ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সন্ত্রাসবাদের প্রকাশনা প্রচারের চারটি অভিযোগের কথা স্বীকার করেন। গত জুলাইতে তাকে আদালত দোষী সাব্যস্ত করে।

দি ইন্ডিপেন্ডেন্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রুনা খান (৩৫) ফেসবুকে কট্টর মতামত তুলে ধরে মুসলিম নারীদের তাদের স্বামী, সন্তান ও বন্ধুদের ‘জিহাদে’ পাঠানোর আহবান জানিয়েছিলেন। আত্মঘাতী পোশাক সংবলিত একটি ছবিও পোস্ট করেছিলেন। শুধু তাই নয়, ছয় সন্তানের মা রুনা খান ফেসবুকে তার শিশু ছেলের হাতে খেলনা বন্দুক দিয়ে ছবি তুলেছেন এবং আট বছরের আরেক ছেলেকে জিহাদে পাঠানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।

আদালতে তার বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণে বলা হয়, রুনা খান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রুনা খান ‘মুজাহিদ শিশুদের উত্থান’ শিরোনামের একটি নিবন্ধের প্রশংসা করেছিলেন। যেটিতে মূলত শিশুদের জিহাদের জন্য প্রস্তুত করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

বিচারক পিটার বার্টস বলেন, নিবন্ধটি অপরিহার্যভাবেই নারীদের জিহাদে উৎসাহিত করার একটি সারগ্রন্থ।

রুনা ফেসবুকে জিহাদের যেতে উৎসাহ দেয়ার জন্য লিখেছিলেন, ‘বোনরা, তোমরা যদি তোমাদের ছেলে, স্বামী ও ভাইদের ভালোবাসো, তবে আল্লাহর পথে যুদ্ধে প্রেরণের মাধ্যমে প্রমাণ করো। তারা জন্নাতে প্রবেশ করুক -এটা কি চাও না?

হোয়াটসঅ্যাপের ম্যাসেজেও বিভিন্ন বার সিরিয়া যাওয়ার ব্যাপারে তার আগ্রহের কথা প্রকাশ করেছেন রুনা খান। গ্রেফতারের পর পুলিশ রুনার দুই বছরের ছেলের হাতে খেলনা বন্দুকসহ একটি ছবি ও তার ফোনে জিহাদি বই উদ্ধার করে। তার বড় ছেলের সঙ্গে তরবারি নিয়ে তোলা একটি ছবিও পাওয়ার কথা আদালতে জানানো হয়।

উল্লেখ্য, সিরিয়ায় কথিত জিহাদে অংশ নেয়ার দায়ে গত সপ্তাহে তিন ব্রিটিশ নাগরিককে সাজা দেয় যুক্তরাজ্যের আদালত। এদের মধ্যে মাসুদুর চৌধুরী ও মোহাম্মদ আহমদ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এবং ইউসুফ সারওয়ার পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এবার রুনা খানকে কারাদণ্ড দেয়ার ঘটনা ঘটল। খবর-দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট ও বিবিসি