কুড়িগ্রামে ধর্মান্তরিত মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যার দায় স্বীকার আইএসের
অন্যের জন্য শিক্ষা হয়ে থাকবে উল্লেখ করে কুড়িগ্রামে ধর্মান্তরিত মুক্তিযোদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। অনলাইনে জঙ্গি কার্যক্রম পর্যবেক্ষণকারী গ্রুপ সাইট ইনটেলিজেন্সের বরাত দিয়ে বুধবার বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে কুড়িগ্রাম পৌরসভার গাড়িয়াল পাড়ায় হুসেন আলী (৬৮) নামে ওই মুক্তিযোদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
রয়টার্স বলছে, দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে চরমপন্থী সহিংসতার উত্থান দেখা গেছে, এর লক্ষ্য হয়েছে দেশটির সংখ্যালঘু মুসলিম মুক্তমনা কর্মী ও অন্যান্য ধর্মীয় গোষ্ঠীর সদস্যরা।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাইট ইনটেলিজেন্স বলছে, ঢাকার উত্তরে কুড়িগ্রাম জেলার হুসেন আলীকে হত্যার দাবি করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। সাইটের এক টুইট বার্তায় বলা হয়েছে, নিরাপত্তা বিচ্যুতিতে প্রচারককে হত্যা অন্যের জন্য শিক্ষণীয়।
পুলিশ বলছে, ৬৮ বছর বয়সী হুসেন আলী ১৯৯৯ সালে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেন, তবে তিনি প্রচারক ছিলেন না। কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার তবারক উল্লাহ বলেন, সকালে হাঁটাহাঁটি করার সময় তিন হামলাকারী তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আতঙ্ক তৈরি করার জন্য হামলাকারীরা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
গত কয়েক মাস আগে বাংলাদেশে দুই বিদেশিকে হত্যার দায় স্বীকার করে আইএস। কিন্তু পুলিশ সেই দাবি নাকচ করে দিয়ে বলছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত স্থানীয় জঙ্গিগোষ্ঠী জামায়াতুল মুজাহিদিন এসব হত্যার পেছনে জড়িত। গত নভেম্বর থেকে জামায়াতুল মুজাহিদিনের কমপক্ষে পাঁচ সদস্য বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে।
উল্লেখ্য, মুক্তিযোদ্ধা হুসেন আলী মোগলবাসা ইউনিয়নের চর সিতাই ঝাড়ের মৃত ছেপাত উল্লাহর ছেলে। তিনি পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক হিসেবে গত বছর অবসরে যান। চাকরির সুবাদে তিনি ২০ বছর আগে এই এলাকায় বাড়ি করেন। এর মধ্যে ১০ বছর আগে তিনি মুসলিম ধর্ম থেকে খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহণ করেন।
এসআইএস/এমএস